ভূত চতুর্দশীতে কেন খাবেন ১৪ শাক ও জ্বালাবেন ১৪ বাতি? জেনে নিন পৌরানিক কাহিনি
কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে ভূত চতুর্দশী পালিত হয়। এই দিন ১৪ টি প্রদীপ জ্বালানো এবং ১৪ রকম শাক খাওয়ার রীতি প্রচলিত। এই রীতির পিছনে রয়েছে বিশেষ কাহিনি। জেনে নিন।
তিনি অনুসারে কালী পুজোর আগের দিন বা কোনও কোনও বছর কালীপুজোর দিনই পালিত হয় ভূত চতুর্দশী।
কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয় ভূত চতুর্দশী। তিথি অনুসারে এবছর কালীপুজোর ঠিক আগের দি পড়েছে ভূত চতুর্দশী।
পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, এবছর ভূত চতুর্দশী পালিত হবে ৩০ অক্টোবর। সেদিন দুপুর ১.১৫ মিনিটে পড়েছে ভূত চতুর্দশী।
আবার অনেকে তার পরদিন অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর ভূত চতুর্দশী পালন করত পারেন। কারণে ভূত চতুর্দশী তিথি থাকবে ৩১ অক্টোবর দুপুর ৩.৫২ পর্যন্ত। ভূত চতুর্দশীর তিথি শেষ হলে শুরু হবে অমাবস্যা। এই তিথিতে কালীপুজো হয়ে থাকে।
প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, ভূত চতুর্দশীর দিন কিছু সময়ের জন্য স্বর্গ ও নরকের দ্বার খুলে যায়। তখন আত্মারা মর্ত্যে আসেন।
ভুত-প্রেত নিয়ে এদিন রাজা বলিও মর্ত্যে আসেন। এই দিন অশুভ শক্তির প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। অশুভ শক্তিকে দূর করতে ১৪ প্রদীপ জ্বালানো হয়। যেহেতু দিনটি চতুর্দশী তাই ১৪টি প্রদীপ জ্বালানো হয়ে থাকে।
আবার প্রচলিত আরও একটি ধারণা অনুসারে, ভূত চতুর্দশীর দিন পূর্বপুরুষেরা মর্ত্যে আসেন। আবার তারা ফিরে যান। তাদের পথ দেখাতে ১৪টি প্রদীপ জ্বালানো হয়ে থাকে।
কেউ কেউ বিশ্বাস করেন, এই দিন যমরাজের নামে ১৪টি বাতি দেওয়া হয়। এই ১৪ যম হলেন ধর্মরাজ, মৃত্যু, অন্তক, সর্বভূতক্ষয়, বৃকোদয়, বৈবস্বত, উড়ুম্বর, কাল, যম, দধ্ন, পরমেষ্ঠী, নীন, চিত্র এবং চিত্রগুপ্ত।
এই দিন ১৪ ধরনের শাক খাওয়ার রীতি প্রচলিত আছে। এই দিন ওল, কেও, বেতো কালকাসুন্দা, নিম, সরষে শালিঞ্চা বা শাঞ্চে, জয়ন্তী, গুলঞ্চ, পলতা, ঘেঁটু, হিঞ্চে, শুষনি, শেলু শাক খাওয়া হয়।
ভূত প্রেতদের থেকে দূরে থাকতেই খাওয়া হয় ১৪ শাক। আবার এই ঋতু পরিবর্তনের সময় এই সকল শাক রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। সুস্থ থাকার কারণে অনেকে মনে করেন এই শাক খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শাস্ত্রকাররা।