মহাদেবকে বিয়ে করার জন্য মা পার্বতীকে পর পর ৭ বার জন্ম নিতে হয়েছিল। দেবাদিদেব মহাদেব এবং মা পার্বতীর চিরন্তন প্রেম উদযাপন করার জন্যই প্রতি বছর পালিত হয় মহাশিবরাত্রি।
ভারতের একটি সুপরিচিত উৎসব হল মহাশিবরাত্রি (MahaShivRatri 2024), এটি ভগবান শিবের মহান রাত হিসেবে পূজিত হয়। দেবাদিদেব মহাদেব এবং মা পার্বতীর চিরন্তন প্রেম উদযাপন করার জন্যই প্রতি বছর পালিত হয় মহাশিবরাত্রি। এটি মহাবিশ্বের দুটি সর্বশ্রেষ্ঠ শক্তির পবিত্র মিলনকে স্মরণ করা হয় এই তিথিতে। এই শুভ দিনে মা পার্বতী ও মহাদেবের বিয়ে হয়েছিল এবং মহাদেব তান্ডব নামক ঐশ্বরিক নৃত্য পরিবেশন করেছিলেন বলে বর্ণিত আছে।
-
ভোলানাথকে বিয়ে করার জন্য দেবী পার্বতী কঠোর তপস্যা করেছিলেন। মনে করা হয় যে, মহাদেবকে বিয়ে করার জন্য মা পার্বতীকে পর পর ৭ বার জন্ম নিতে হয়েছিল। এবং অবশেষে ফাল্গুন মাসে কৃষ্ণপক্ষের ১৩ তম দিনে মহাদেব ও মা পার্বতীর বিয়ে হয়েছিল।
কথিত আছে যে, পার্বতীর পিতা হিমবান (Himawan) মহাদেবের তপস্বী এবং বাউন্ডুলে জীবনযাপনের কারণে নিজের মেয়েকে তাঁর সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হননি। তিনি বলেছিলেন যে, তিনি একজন রাজা এবং কোনও ঋষির সঙ্গে কিছুতেই নিজের মেয়ের বিয়ে দেবেন না। কিন্তু মা পার্বতী মহাদেবকেই নিজের স্বামী হিসেবে মেনে নিয়েছিলেন এবং তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, তিনি শুধুমাত্র মহাদেবকেই বিয়ে করবেন, অন্যথায় তিনি কাউকে বিয়ে করবেন না। তাই মা পার্বতী মহাদেবকে রাজি করানোর জন্য কঠোর তপস্যা শুরু করেন।
পার্বতী এই কঠোর তপস্যার কারণে বিশ্বাস করা হয় যে, মহাশিবরাত্রির দিনে মা পার্বতী ও মহাদেবের পূজা করলে অবিবাহিত নারীরা কাঙ্খিত পুরুষকে স্বামী হিসেবে পায়।
মহাশিবরাত্রি আমাদের এই বার্তাও দেয় যে, কেউ যদি নিজের ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করতে চায়, তাহলে তাকে মা পার্বতীর মতো সমস্ত গুণ ও অপূর্ণতা সহ একজন সঙ্গীকে গ্রহণ করতে হবে। মহাদেবকে বিয়ে করা ছাড়া তাঁর আর কোনও বাসনা ছিল না। তিনি একজন রাজকন্যা ছিলেন , কিন্তু, ভালোবাসার টানে একজন ঋষিকে বিয়ে করে কৈলাস পর্বতে থাকতেও রাজি হয়ে গিয়েছিলেন। মহাদেবও মা পার্বতীর ভালোবাসাকে শ্রদ্ধা করতেন। ভগবান শিব এবং দেবী শক্তির এই পরিপূর্ণতাই নারী ও পুরুষের মিলনকে আদর্শময় করে তোলে। এই কারণে, মহাশিবরাত্রি এক প্রেমময় তিথি।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।