Nag Panchami: কালসর্প দোষ বা রাহু-কেতুর দশা, নাগ পঞ্চমীতে মিলবে মুক্তি, জেনে নিন ব্রত পালনের তারিখ ও নিয়ম
কুণ্ডলীতে থাকা কালসর্প দোষ, রাহু বা কেতুর দশা অথবা রাশিফলের যেকোনও গোলযোগ, সমস্ত ধরনের দুর্দশা থেকেই মানুষকে মুক্ত করে নাগ পঞ্চমীর ব্রত। জেনে নিন ব্রতের তারিখ, সময় ও নিয়ম।
Web Desk - ANB | Published : Jun 25, 2023 8:46 AM IST / Updated: Jun 25 2023, 02:24 PM IST
শ্রাবণ মাসে নাগ পঞ্চমীর ব্রত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, কুণ্ডলীতে থাকা কালসর্প দোষ, রাহু বা কেতুর দশা অথবা রাশিফলের যেকোনও গোলযোগ, সমস্ত ধরনের দুর্দশা থেকেই মানুষকে মুক্ত করে এই ব্রত। শ্রাবণ মাসে দুটি নাগ পঞ্চমীর ব্রত রয়েছে। একটি শুক্লপক্ষে এবং একটি কৃষ্ণপক্ষে। সঠিক তারিখ ও সময়ের মধ্যে নিয়ম মেনে এই ব্রত পালন করতে পারলে সমস্ত দুর্দশা কেটে গিয়ে সৌভাগ্যের অধিকারী হবেন। জেনে নিন ব্রতের তারিখ, সময় ও নিয়ম।
শাস্ত্র অনুযায়ী, শুক্লপক্ষে নাগপঞ্চমী তিথির গুরুত্ব বেশি। এই দিনে নাগ দেবতাকে বিশেষভাবে পুজো করা হয়। তাদের দুধ দিয়ে স্নান করানো হয়। এবছর কৃষ্ণপক্ষের নাগপঞ্চমী পড়েছে ৭ই জুলাই এবং শুক্লপক্ষের নাগপঞ্চমী পড়েছে ২১শে অগাস্ট। কৃষ্ণপক্ষের পঞ্চমী, অর্থাৎ ৭ই জুলাই পালিত যেটি হবে, সেটি শুধুমাত্র রাজস্থান, বিহার এবং ঝাড়খন্ড রাজ্যে হবে। এগুলি ছাড়া দেশের বেশিরভাগ রাজ্যে ২১ অগাস্ট নাগ পঞ্চমীর উৎসব পালিত হবে।
নাগপঞ্চমী তিথি ও মুহূর্ত:
৭ই জুলাই পঞ্চমী তিথি শুরু হবে ভোর ৩.১৩ মিনিটে এবং শেষ হবে ৭ তারিখ মধ্যরাতে ১২.১৮ মিনিটে।
২১ অগাস্ট, শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথি শুরু হবে ২০ অগাস্ট দুপুর ১২.২৩ মিনিটে। এরপর ২১ তারিখ রাত ২.০১-এ তিথি শেষ হবে।
কাল সর্প দোষ থেকে মুক্তি পেতে করুন এই কাজগুলো:
কালসর্প দোষ থেকে মুক্তি পেতে জরুরি হল রুদ্রাভিষেক । অর্থাৎ, ভগবান শিবকে স্নান করানো। এইদিন রুদ্র দেবতাকে দুধ দিয়ে স্নান করাতে হয়। মহাদেবের আশীর্বাদে কাল সর্প দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
এছাড়াও, নাগ পঞ্চমীতে একটি নদীতে রুপোর সাপ ভাসিয়ে দিন। রুপো না থাকলে রুপোলী রঙের সাপ ভাসিয়ে দিলেও প্রতিকার মিলবে। এর দ্বারা কাল সর্প দোষ কেটে যাবে। এছাড়াও যাদের কুণ্ডলীতে রাহু ও কেতুর দশা আছে তাদেরও নাগ দেবতার পূজা করা উচিত। এর ফলে রাশিফলের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
মনে রাখবেন যে, এই দিনে, শুধুমাত্র একটি পিতলের পাত্র থেকে শিবলিঙ্গে জল নিবেদন করা উচিত।
নাগ পঞ্চমীর দিনে কী করবেন
নাগ পঞ্চমীর দিন তিথির সূচনাকাল থেকে উপবাস শুরু করতে হবে। সর্প দেবতার পুজো করলে মানুষের সাপের ভয় কমে যায়। পুজো করার পর পঞ্চমীর মন্ত্র জপ করতে হবে।