শুধুমাত্র বসন্ত পঞ্চমী নয়, মা সরস্বতীকে পুজো করা হয় সারা বছর ধরেই। কলকাতার খুব কাছেই রয়েছে এই মন্দির।
পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা ভারতে সরস্বতী ঠাকুরের মন্দির রয়েছে হাতে গোনা মাত্র কয়েকটাই। ব্রিটিশ শাসিত ভারতেই তৈরি হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের প্রথম সরস্বতী মন্দির, সেই মন্দির রয়েছে কলকাতার খুব কাছেই হাওড়া জেলার পঞ্চাননতলায়। হাওড়া স্টেশন থেকে বাস ধরে পঞ্চাননতলা এসে উমেশ চন্দ্র দাস লেন নামের সরু গলিতেই রয়েছে এই শতাব্দী প্রাচীন মন্দির, যেখানে শুধুমাত্র বসন্ত পঞ্চমী (Vasant Panchami) নয়, মা সরস্বতীকে পুজো করা হয় সারা বছর ধরেই।
-
মন্দিরের চূড়ায় রয়েছে তামার ত্রিশূল এবং চক্র। চূড়ার চার কোণে রয়েছে পদ্ম ফুল, তার নীচে রয়েছে দেবী সরস্বতীর (Saraswati Puja) বাহন হাঁস , এবং তার নীচে রয়েছে দেবীর বাদ্যযন্ত্র বীণা।
-
এই মন্দিরে মা সরস্বতীর ৩-৪ ফুটের মূর্তিটি শ্বেত পাথর দ্বারা নির্মিত । দেবী প্রতিষ্ঠিত রয়েছেন দাঁড়ানো অবস্থায়, নিজের বাহন রাজহাঁসের পিঠের ওপর। উমেশ চন্দ্র দাস সুদূর রাজস্থান থেকে শ্বেত পাথর নিয়ে এসে নিজের বাড়িতে এই মূর্তি প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন বলে কথিত আছে। তিনি না পারলেও, পরবর্তীকালে তাঁর ছেলে রমেশ চন্দ্র দাস রাজস্থান থেকে এই মূর্তি নিয়ে এসেছিলেন এবং পুজো শুরু করে দিয়েছিলেন।
-
১৯২৩ সালের ২৮ জুন তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয় পঞ্চাননতলার বিখ্যাত সরস্বতী মন্দির। সারা বছর ধরে পুজো হলেও সরস্বতী পুজোর দিন বিশেষভাবে দেবীকে সাজানো হয়, মন্দিরকে সাজিয়ে আলোকিত করে তোলা হয়। ১০৮টি মাটির খুড়িতে বড় বাতাসা আর ফল রাখা হয় দেবীর নৈবেদ্য হিসেবে। একশো বছর ধরে এই রীতিই দাস বাড়ির সরস্বতী পুজোয় বিদ্যমান।