শনি দেবতাই মানুষকে কর্মফলের শাস্তি ও আশীর্বাদ দিয়ে থাকেন বলে কথিত আছে। তাঁর পুজো করার সময় কয়েকটি ভুল অবশ্যই এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
হিন্দুধর্ম অনুযায়ী, শনি দেবতার দৃষ্টি মানুষের ভাগ্যের জন্য মোটেই সুখকর হয় না। অত্যন্ত ভয়ের সঙ্গেই ভক্তরা তাঁর পুজো করে থাকেন। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, শনিকে শিবের অবতার বলা হলেও পুরাণে শনিদেবকে শনিগ্রহের ঐশ্বরিক মূর্তিকে বোঝায়। মনে করা হয় যে, দেবতা হলেও তাঁর দৃষ্টি হল দুর্ভাগ্য ও অশুভের প্রতীক। শাস্ত্রে আছে যে, তিনি হলেন ভালো বা খারাপের বিচারকর্তা। তিনিই মানুষকে কর্মফলের শাস্তি ও আশীর্বাদ দিয়ে থাকেন। তাঁর পুজো করার সময় কয়েকটি ভুল অবশ্যই এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
-
শনিদেবের মূর্তি বা ছবি কখনই বাড়ির ভেতরে রাখা উচিত নয়। এর দ্বারা নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করে। শনিদেবের চোখে নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে বলে মনে করা হয়, এই কারণে তাঁর চোখের সামনে কখনওই যাওয়া উচিত নয়।
-
শনিদেবের পুজো করে আশীর্বাদ পেতে হলে অবশ্যই নৈবেদ্যের মধ্যে রাখা উচিত খিচুড়ি, তিল এবং গুড়। এই জিনিসগুলি নিবেদন করলে ভগবান প্রসন্ন এবং তুষ্ট হন বলে মনে করা হয়।
-
কখনও বাড়ির ভেতরে নয়, সবসময় মন্দিরে গিয়ে শনিদেবের পুজো করা উচিত। পুজো করার সময় তাঁর মূর্তির সামনে কখনও প্রদীপ জ্বালানো উচিত নয়। এর পরিবর্তে মন্দিরের সামনে অথবা পিপল গাছের নীচে প্রদীপ জ্বালালে শনিদেব প্রসন্ন হন।
-
শনিদেবকে পুজো করার সময় মিষ্টি হিসেবে সন্দেশ অথবা নকুলদানা নয়, গোলাপজাম বা পান্তুয়া নিবেদন করাই শ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয়। কথিত আছে যে, এই নৈবেদ্য নিবেদন করলে শনিদেবের রাগ কমে যায়।