দেবীর উদ্দেশ্যে অর্পণ করা হয়ে থাকে ঠাণ্ডা জাতীয় ফল। কোন তিথিতে চলবে পূজাপাঠ, কোন মন্ত্র উচ্চারণে মনোবাঞ্ছা পূরণ হবে, জেনে নিন এখনই।
গাধার পিঠে চড়ে ঝাঁটা ও কলস হাতে নিয়ে আবির্ভূতা হন মা শীতলা।
বসন্তকালে গুটিবসন্ত, জল বসন্ত, হাম, ইত্যাদি রোগের প্রাদুর্ভাব কমাতে দেবী শীতলার স্মরণাপন্ন হন মর্ত্যবাসী।
দেবী শীতলাকে স্বাস্থ্যবিধি পালন বা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার দেবী বলা হয়। তাঁর হাতে ঝাঁটা এবং ময়লা ফেলার পাত্র লক্ষ্য করা যায়।
শীতলা পুজোর মাধ্যমে আমরা স্বাস্থ্য বিধি ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সচেতন হয়ে থাকি।
চলতি বছরে শীতলা সপ্তমী তিথি শুরু হবে ১৩ মার্চ ০৯.২৭ মিনিট থেকে। শেষ হবে ১৪ মার্চ ০৮.২২ মিনিটে।
পুজোর সময় সকাল ৬টা বেজে ৩১ মিনিট থেকে শুরু করে সন্ধ্যা ৬টা বেজে ২৯ মিনিট পর্যন্ত চলবে।
শীতলা অষ্টমী শুরু হবে ১৪ মার্চ রাত ৮টা বেজে ২২ মিনিট থেকে। চলবে ১৫ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা বেজে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত।
পূজার প্রণাম মন্ত্রটি হল: ওঁ নমামি শীতলাং দেবীং রাসভস্থাং দিগম্বরীম্। মার্জ্জনীকলসোপেতাং সূর্পালঙ্কৃতমস্তকাম্।
এর অর্থ, গর্দভ বাহন মার্জনী (ঝাঁটা) ও কলস-হস্তা শীতলা দেবীকে প্রণাম করি।
দেবী শীতলার হাতে থাকে পূর্ণকুম্ভ ও সম্মার্জনী।
কথিত আছে সম্মার্জনীর মাধ্যমে তিনি অমৃতময় শীতল জল ছিটিয়ে রোগ, তাপ, শোক দূর করে শীতল করেন।
শীতলা মায়ের পুজোয় ঠাণ্ডা জাতীয় ফলের প্রয়োজন হয়।
পেঁপে, নারিকেল, তরমুজ, কলা, আখের রস ও অন্যান্য মিষ্টিজাতীয় উপকরণ দেবীর উদ্দেশে সমর্পণ করা হয়।
সপ্তমী তিথিতে ক্ষীর তৈরি করে অষ্টমীতে দেবীর উদ্দেশ্যে অর্পণ করা হয়ে থাকে।