হিন্দু ধর্মে দইকে পঞ্চ অমৃত বলা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে সাদা পনির খেয়ে বাড়ির বাইরে যাওয়া খুবই শুভ। একাগ্রতা ইতিবাচকতা মনে আসে, যার কারণে যে কোনও কাজ ভালভাবে করা যায়।
কথিত আছে যে যখনই কোনও শুভ কাজ হয় বা কোনও ইন্টারভিউ বা পরীক্ষা দিতে যান বাড়ির ছোটরা, তখন বাড়ির বড়রা দই চিনি খাওয়ান। বিয়ে হোক বা অন্য যেকোন শুভ অনুষ্ঠান, তার আগে দই চিনি খাওয়ানোর প্রথা কিন্তু বহু যুগের। কিন্তু যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানে কেন দইয়ের ব্যবহার করা হয়। কেন দই চিনি খাওয়ানোর প্রথা দীর্ঘদিনের। জেনে নিন সেই কারণ। হিন্দু মতে
হিন্দু ধর্মে দইকে পঞ্চ অমৃত বলা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে সাদা দই খেয়ে বাড়ির বাইরে যাওয়া খুবই শুভ। একাগ্রতা ইতিবাচকতা মনে আসে, যার কারণে যে কোনও কাজ ভালভাবে করা যায়। ঘর থেকে বের হওয়ার আগে দই খেলে নেতিবাচক শক্তি শেষ হয় এবং আমাদের মনে পজিটিভ শক্তি সঞ্চারিত হয়। যার ফলে মন শান্ত হয়।
দইকে হিন্দু ধর্মে পাঁচটি অমৃতের একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। জ্যোতিষীদের মতে, যখনই কেউ সাদা জিনিস খেয়ে বাড়ির বাইরে যান, তখন মনের একাগ্রতা এবং ইতিবাচকতা বৃদ্ধি পায়। যার দ্বারা যে কোন কাজ ভালোভাবে করা যায়। ঘর থেকে বের হওয়ার আগে দই খেলে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়। এর পাশাপাশি আমাদের মনে ইতিবাচক শক্তির যোগাযোগ রয়েছে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে দই খেলে মস্তিষ্ক দ্রুত কাজ করে। এটিও বিশ্বাস করা হয় যে আপনি যদি কোনও ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হন এবং কী করবেন তা বুঝতে না পারলে দই খান। এতে আপনার মন শান্ত হবে।
দই আমাদের শরীরে সুপার ফুডের মতো কাজ করে এবং দই স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। দই খেলে অন্ত্র ফুলে যায়। দই খাওয়া হজমেও সাহায্য করে। দই দীর্ঘকাল ধরে ভারতীয় প্লেটের একটি অংশ। বিগত কয়েক বছর ধরে মানুষের খাদ্যতালিকায়ও দই জায়গা করে নিয়েছে। দুধকে বলা হয় সম্পূর্ণ খাদ্য।
দুধ থেকে তৈরি দইতেও অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। প্রতিদিন দই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার দেয়। দই একটি সুপার ফুড। দই ভিটামিন, প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। এর পাশাপাশি এতে রয়েছে ল্যাকটোজ, আয়রন এবং ফসফরাসের গুণাগুণ, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া দইয়ে ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে যা হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তাই সব কাজেই প্রয়োজন পড়ে দইয়ের।