৩ বছরে আসা এই একাদশী অত্যন্ত বিশেষ, কারণ অধীকামা এবং একাদশী উভয়ই নারায়ণের প্রিয়। এই উপবাস পালন করলে সারা বছরের একাদশীর পুণ্য পাওয়া যায়। আসুন জেনে নিই মলমাসের পদ্মিনী একাদশীর তিথি, শুভ সময় ও গুরুত্ব।
১৮ জুলাই ২০২৩ থেকে শুরু হয়েছে অধিকার। হিন্দুধর্মে অধীকামাস একটি পুণ্য মাস হিসেবে মনে করা হয়। মলমাসের শুক্লপক্ষের একাদশী পদ্মিনী একাদশী, পুরুষোত্তমী একাদশী এবং সুমাদ্রা একাদশী নামেও পরিচিত। ৩ বছরে আসা এই একাদশী অত্যন্ত বিশেষ, কারণ অধীকামা এবং একাদশী উভয়ই নারায়ণের প্রিয়। এই উপবাস পালন করলে সারা বছরের একাদশীর পুণ্য পাওয়া যায়। আসুন জেনে নিই মলমাসের পদ্মিনী একাদশীর তিথি, শুভ সময় ও গুরুত্ব।
পদ্মিনী একাদশী ২০২৩ তারিখ
পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, পদ্মিনী একাদশীর উপবাস শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩। পাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই ব্রতকে শুভ বলে মনে করা হয়। এই ব্রত দানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। অধীকামাসে ভগবান নারায়ণের পূজা করলে অন্যান্য মাসের তুলনায় ১০ গুণ ফল পাওয়া যায়।
পদ্মিনী একাদশী ২০২৩ মুহুর্ত-
পঞ্চাং অনুসারে, আদিক মাসের শুক্লপক্ষের পদ্মিনী একাদশী তিথি ২৮ জুলাই ২০২৩ তারিখে ২টো ৫১ মিনিটে শুরু হবে এবং পরের দিন ২৯ জুলাই ২০২৩ তারিখে ১ টা ৫ মিনিটে শেষ হবে।
পূজার সময় - সকাল ৭ টা ২২ মিনিট- ৯ টা ০৪ মিনিট পর্যন্ত
পদ্মিনী একাদশী ব্রত পরান - সকাল ৫ টা ৪১ মিনিট- ৮ টা ২৪ মিনিট পর্যন্ত (৩০ জুলাই ২০২৩)
পদ্মিনী একাদশীর তাৎপর্য
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে যে ব্যক্তি মলমাসের একাদশীতে উপবাস করেন তিনি সকল প্রকার আনন্দ ভোগ করে ভগবান নারায়ণের বাসস্থান লাভ করেন। পুরাণে বলা হয়েছে এই উপবাসের চেয়ে বড় কোনও যজ্ঞ, তপস্যা বা দান নেই। মলমাসের একাদশীতে উপবাস ও ভগবান নারায়ণের পূজার পাশাপাশি নিয়ম ও সংযম মেনে ভগবান বিষ্ণু প্রসন্ন হন।
পদ্মিনী একাদশী পূজা বিধি-
একাদশীর দিন সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠে তীর্থস্নান করা উচিত।
জলে তিল, কুশ ও আমলা সামান্য গুঁড়া মিশিয়ে স্নান করুন।
জাফরান মিশ্রিত জলে শ্রী হরির অভিষেক করুন।
ভজন বা ভগবানের মন্ত্র পাঠ করতে হবে এবং ব্রতকথা শুনতে হবে।
শ্রী হরির সহস্ত্রনাম পাঠ করুন এবং ব্রাহ্মণদের দান করুন।