লোকবিশ্বাস অনুসারে, নিষ্ঠা ভরে কালভৈরবের পুজো করলে কালভৈরবের আশীর্বাদে অশুভ শক্তিকে দূরে সরিয়ে জীবনে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি ফিরে আসে।
প্রতি মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে কালাষ্টমী উপবাস পালন করা হয়। কাল ভৈরব নাথ, ভগবান শিবের অগ্নিরূপ, কালাষ্টমী উপবাসে পূজা করা হয়। শবনে কাল ভৈরব নাথ ব্রত পালন করে অনেক উপকার পাবেন। কালাষ্টমীর দিনে শিবের পূজা করাও খুব শুভ বলে মনে করা হয়। শবন মাসে কাল ভৈরব ও শিবের পূজা করলে শত্রু, অকাল মৃত্যু, ভয় ও অশুভ শক্তির হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
লোকবিশ্বাস অনুসারে, নিষ্ঠা ভরে কালভৈরবের পুজো করলে কালভৈরবের আশীর্বাদে অশুভ শক্তিকে দূরে সরিয়ে জীবনে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি ফিরে আসে। তবে কালভৈরবের পুজোতে কোনরকম ভুলভ্রান্তি করা একেবারেই উচিত নয়। কারণ মহাদেবের সবচেয়ে রাজি রূপ হল কালভৈরব। পূরণে কথিত আছে সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা পাঁচটি মস্তকের অধিকারী ছিলেন। একদিন ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং শিবের মধ্যে তর্ক বাধে যে তাঁদের মধ্যে কার ক্ষমতা বেশি? এই বাকবিতন্ডা চলাকালীন ব্রহ্মা শিবকে অপমান করে বসেন। তার ফলে মহাদেব অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁর কপাল থেকে কালভৈরব বেরিয়ে আসেন। তাই আসুন আপনাদের বলি সাওন কালষ্টমী উপবাসের তিথি, শুভ সময় ও গুরুত্ব সম্পর্কে।
স়াওন কালাষ্টমীর তারিখ
প্রতি মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমীতে কালাষ্টমী উপবাস পালন করা হয়। সাওয়ানে এই তারিখটি শুরু হচ্ছে ৯ জুলাই ২০২৩ সন্ধ্যা ৭.৫৯- এ। যা পরের দিন ১০ জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬.৪৩টায় শেষ হবে। নিশিতাকালে কালাষ্টমীতে পূজা হয়। এমন পরিস্থিতিতে এই উপবাস পালিত হবে ৯ জুলাই ২০২৩ তারিখে।
কালাষ্টমীর উপবাসের গুরুত্ব
কাল ভৈরবের উগ্র রূপের পূজা করলে সকল পাপ বিনষ্ট হয়। এই দিনে উপবাস করলে ভগবান শিবের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। রাহুর রাশি থেকে রাহু দোষ দূর করতেও এই উপবাস করা যেতে পারে। আপনার যদি কোনো ধরনের ভয় বা ভীতিকর স্বপ্ন থাকে, তাহলে উপবাস রেখে এই সমস্যাটিও দূর করা যায়।
কালাষ্টমীর উপাসনা পদ্ধতি
- কালাষ্টমীর উপবাসে শিবলিঙ্গে দুধ ও দই দিয়ে অভিষেক করতে হবে।
- লাল চন্দন দিয়ে ২১টি বেলপত্রে ওম লিখে ভগবান শিবকে অর্পণ করুন।
- প্রতিটি পাতা অর্পণ করার সময়, "ওম হান শান নান গন কান সান খান মহাকাল ভৈরাবায় নমঃ" মন্ত্রটি জপতে হবে। এতে ভগবান কাল ভৈরব প্রসন্ন হন।
- ভৈরব নাথের বাহন কুকুর। এমন অবস্থায় এই দিনে কুকুরকে রুটি ও গুড় খাওয়ালে কাল ভৈরব প্রসন্ন হন।
এদিন শিব ও পার্বতীর পুজো করে ভৈরব বাবার কাহিনি পাঠ করার রীতি প্রচলিত আছে। কাল ভৈরবকে ১৬ ভাবে পুজো করা যায়। কাল ভৈরবের বাহন হলেন কুকুর। তাই এদিন কুকুরকে খাওয়ানোও শুভ। বিশ্বাস করা হয় যে শনি বা মঙ্গলবার এই কালাষ্টমী পড়লে তার গুরুত্ব হয় অনেক বেশি।