চুনি বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। তবে উৎকৃষ্ঠ চুনির রং হয় লাল। এ ছাড়া বাদামী লাল, কালচে লাল, কমলা ইত্যাদি, কালচে গোলাপি রঙের চুনিও পাওয়া যায়। এর আরেক নাম রত্নরাজ। চুনিকে সূর্যকান্তমণিও বলা হয়। ফারসি ও আরবিতে এটিকে এয়াকুত বা ইয়াকুত বলা হয়। সংস্কৃততে একে বলা হয় পদ্মরাগ। চুনা পাথরের ভিতরে এটির জন্মস্থান বলেই একে বলা হয় চুনি। আফগানিস্তান, সুইজারল্যাণ্ড, অস্ট্রেলিয়া, মায়ানমার, তাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, নরওয়ে, ও ব্রাজিলে চুনি পাওয়া যায়।
রত্নবিশেষজ্ঞ বা জেমোলজিস্ট-এর মতে খাঁটি চুনি কষ্ঠি পাথরে ঘষলেও ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না। তবে আপনি যদি রত্নবিশেষজ্ঞ না হন, তবে আপনি কি করে চিনবেন আসল কোনটা আসল আর কোনটা নকল চুনি? তবে জেনে নেওয়া যাক খাঁটি চুনি চেনার উপায়-
খাঁটি চুনির উপর সূর্যের আলো পড়লে সেই প্রতিফলিত আলো তীব্রতর হয়ে শুকনো কাগজ বা ঘাসকে জ্বালিয়ে দিতে পারে। অনেকটা ঠিক আতস কাঁচের মত। এর কারণ হল চুনি আলোর মধ্যে দিয়ে ছোট তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের নীল আলোকে শুষে নিয়ে তাকে বড় তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের লাল আলোতে রূপান্তরিত করে আর এর ফলেই শুকনো কাগজ বা ঘাসপাতায় আগুন লেগে যায়।
খাঁটি চুনি রুপোর পাত্রে রেখে সূর্যের আলোতে ধরলে পাত্রটি রক্তবর্ণ ধারণ করবে।
কাঁচা গরুর দুধে তিন চার ঘণ্টা খাঁটি চুনি ডুবিয়ে রাখলে দুধের রং গোলাপি হয়ে যাবে।
চুনি আসল হলে চোখের পাতায় রাখলে তার শীতলতা অনুভব করা যায়।