হিন্দুধর্মের বারো মাসে তোরো পার্বনের মধ্যে জন্মাষ্টমী হল অন্যতম প্রধান উৎসব। তবে যে কোনও অষ্টমী তিথিকে খুব একটা শুভ দিন বলে মানা হয় না। গোকূলে দেবকীর অষ্টম গর্ভে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টম দিনে বা অষ্টম তিথিতে জন্ম হয় কৃষ্ণের। এই জন্মাষ্টমী তিথির আর এক নাম গোকূল অষ্টমী। তারপর থেকেই সারা ভারতবর্ষে প্রতি বছর এই জন্মাষ্টমীর গুরুত্ব বাড়তে শুরু করে। আজ জন্মাষ্টমী। সারা দেশ জুড়ে পালিত হবে জন্মাষ্টমী। ইতিমধ্যেই তোড়জোড় চলছে জোরকদমে। এই বছর জন্মাষ্টমীতে অতি উত্তম সংযোগ রয়েছে। দুলর্ভ জয়ন্তী যোগে পালিত হবে কৃষ্ণের জন্মোৎসব। মধ্যরাত্রিতে কৃষের জন্মাষ্টমী পালন করা হবে। জন্মাষ্টমীর রাতে নিষ্ঠাভরে এই বিশেষ কাজগুলি করলেই কেটে যাবে সমস্ত বাধা ও বিপত্তি। কৃষ্ণের আশীর্বাদ লাভ করবেন এবং সাফল্য আসবে চাকরিতে।
হিন্দুধর্মের বারো মাসে তোরো পার্বনের মধ্যে জন্মাষ্টমী হল অন্যতম প্রধান উৎসব। তবে যে কোনও অষ্টমী তিথিকে খুব একটা শুভ দিন বলে মানা হয় না। গোকূলে দেবকীর অষ্টম গর্ভে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টম দিনে বা অষ্টম তিথিতে জন্ম হয় কৃষ্ণের। এই জন্মাষ্টমী তিথির আর এক নাম গোকূল অষ্টমী। তারপর থেকেই সারা ভারতবর্ষে প্রতি বছর এই জন্মাষ্টমীর গুরুত্ব বাড়তে শুরু করে। আজ জন্মাষ্টমী। সারা দেশ জুড়ে পালিত হবে জন্মাষ্টমী। ইতিমধ্যেই তোড়জোড় চলছে জোরকদমে। এই বছর জন্মাষ্টমীতে অতি উত্তম সংযোগ রয়েছে। দুলর্ভ জয়ন্তী যোগে পালিত হবে কৃষ্ণের জন্মোৎসব। মধ্যরাত্রিতে কৃষের জন্মাষ্টমী পালন করা হবে। জন্মাষ্টমীর রাতে নিষ্ঠাভরে এই বিশেষ কাজগুলি করলেই কেটে যাবে সমস্ত বাধা ও বিপত্তি। কৃষ্ণের আশীর্বাদ লাভ করবেন এবং সাফল্য আসবে চাকরিতে।
জন্মাষ্টমীর দিন রাত ১২ টা নারের পায়েসে কৃষ্ণের বাল স্বরূপের জন্ম করান। এই পায়েসকে দেবকীর গর্ভের প্রতীক বলে মনে করা হয়।
কৃষ্ণের জন্মের পর শঙ্খের মধ্যে দুধ ভরে অভিষেক করুন। এবং এই দুধের মধ্যে দই, মধু , ঘি , গঙ্গাজল অবশ্যই রাখুন। এতে কৃষ্ণ প্রসন্ন হন।
কৃষ্ণের অভিষেক হওয়ার পরই তাকে নতুন পোশাক, মুকুট, বাশি সব দিয়ে সাজিয়ে তুলুন। তারপর সাজানো দোলনায় বসান শ্রীকৃষ্ণকে।
গোপালের প্রিয় খাবার হল মাখন ও মিছরি। কারণ এই দুটো খাবারই নন্দগোপালের ভীষণ প্রিয়। তাই ভোগের মধ্যে অবশ্যই মাখন ও মিছরি দিন।
জন্মাষ্টমীর পুজোর সময় তুলসী ব্যবহার করুন। এদিন ধর্মীয় কোনও স্থানে গিয়ে ফল ও অন্ন দান করলে শুভ বলে মানা হয়।
জন্মাষ্টমীর দিনে কৃষ্ণকে হলুদ বস্ত্র পরান এবং হলুদ চন্দন লাগান। এছাড়া হরসিঙ্গার, পারিজাত বা শেফালির ফুল অর্জন করুন।
জন্মাষ্টমীর দিনে ১ থেকে ৫ বছরের মধ্যে কোনও বাচ্চাকে নিজের হাতে মাখন খাওয়ানো ভাল বলে মনে করা হয়। এতে কৃষ্ণ প্রসন্ন হয় এবং কৃষ্ণের আশীর্বাদও লাভ হয়।
জন্মাষ্টমীর দিনে কোনও গরু কিংবা বাছুরের প্রতিমা বাড়িতে এনে পুজো করলে কৃষ্ণ প্রসন্ন হয় এবং কৃষ্ণের আশীর্বাদও লাভ হয়।
জন্মাষ্টমীর ব্রত পালনের সময় নিয়ম মেনে পুজো করলে সুফল পাওয়া যায়। যেমন পুজোর প্রয়োজনীয় উপকরণ অর্থাৎ ফুল, পঞ্চগব্য, পঞ্চগুড়ি, আতপ চাল, ফলের নৈবেদ্য, তুলসীপাতা, দূর্বা, ধূপ, দীপ, পাট, বালি,তুলসীপাতা, দূর্বা, পঞ্চবর্ণের গুড়ো, মধু পর্কের বাটি, আসন-অঙ্গুরী সংগ্রহ করতে হয়।
জন্মাষ্টমীর দিন সঠিক নিয়ম মেনে পুজো করলে তবেই কিন্তু সঠিক ফল পাওয়া যাবে। জন্মদিনের দিন একেবার নবরূপে সুসজ্জিত করতে হয় শ্রী কৃষ্ণকে। সেখানে রাখা হয় ঝুলন, নতুন জামা, ময়ূরের পালক লাগানো মুকুট, পাঞ্চজন্য শঙ্খ, বাঁশি, সুদর্শন চক্র, ফুলের মালা, হাতে বালা, এই সব দিয়ে সাজিয়ে তুলতে হবে শ্রী কৃষ্ণকে।