২০২২ সালের কৌশিকী অমাবস্যার তিথি ও বিশেষ ক্ষণ, নিয়ম মেনে মায়ের পুজো করলেই পূরণ হবে মনের ইচ্ছে

এই বিশেষ তিথির সঙ্গে তারাপীঠের এক গভীর যোগ রয়েছে। কারণ, এদিন তন্ত্র সাধনা, যোগ্য বা মনের কোনও ইচ্ছা পূরণ করার মক্ষম তিথি। আর তাই তারাপীঠে মা কালীর আরাধনা শুরু হয় সকাল থেকেই। 
 

Web Desk - ANB | Published : Aug 25, 2022 5:00 AM IST

কৌশিকী অমাবস্যা ২০২২, বিশেষ এই তিথিতে তারাপীঠে মায়ের বিশেষ পুজোর আয়োজন হয়। এই অমাবস্যা তিথি শুরু হলেই রাজবেশ সহকারে রাতে মায়ের পুজো করা হয়। এই বিশেষ তিথির সঙ্গে তারাপীঠের এক গভীর যোগ রয়েছে। কারণ, এদিন তন্ত্র সাধনা, যোগ্য বা মনের কোনও ইচ্ছা পূরণ করার মক্ষম তিথি। আর তাই তারাপীঠে মা কালীর আরাধনা শুরু হয় সকাল থেকেই। 

কৌশিকী অমাবস্যা ২০২২-র তিথি-
২৬ অগাস্ট শুক্রবার, বাংলার ১০ ভাদ্র দুপুর ১২ টা বেজে ৩৩ মিনিট থেকে শুরু হচ্ছে। এটি থাকবে শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২২ তারিখে দুপুর ১ টা বেজে ৪৬ মিনিট পর্যন্ত।
শিব যোগ- ২৭ আগস্ট, বাংলার ১১ ভাদ্র, শনিবার ভোররাত ২ টো ১২ মিনিট থেকে ২৮আগস্ট ২ টো ৭ মিনিট পর্যন্ত থাকবে।



কৌশিকী অমাবস্যা-
শুক্রবার দুপুর থেকেই এই অমবস্যা লাগবে। যা থাকবে দিনভর। তবে অনেক ক্ষেত্রেই কৌশিকী অমাবস্যার দিন হিসেবে শনিবারকেই চিহ্নিত করা রয়েছে। কারণ এদিন রয়েছে শিবযোগে অমাবস্যা।  মনে করা হয়, সঠিক রীতি নীতি মেনে ভাদ্রমাসের এই তিথিতে পুজো করলে মেলে সুফল। এই বিশেষ দিনেই ব্রহ্মাকে তুষ্ট করেছিলেন শুম্ভ-নিশুম্ভ। তাঁদের সাধনায় মুগ্ধ হয়ে বরও দিয়েছিলেন ব্রহ্মা। যে কাহিনি মহালয়ার প্রাতঃকালে সকলেই শুনে থাকেন। কথিত আছে, এদিন মন থেকে নিয়ম মেনে পুজো করলে, মনের সকল বাসনা পূর্ণ হয়। আর সেই সুবাদেই তারাপীঠে এই বিশেষ দিনে উপচে পড়ে ভিড়। এই বিশেষ তিথিতে অনেক পরিবারে মা কালী পূজিত হন। তবে মানতে হয় বিশেষ কিছু নিয়ম। 
 

আরও পড়ুন- এদিন চাঁদ দেখা নিষেধ, দেখলে হতে পারে সম্মানহানি, জেনে নিন কারণ ও তিথি

আরও পড়ুন- গণেশ চতুর্থীতে প্রতিটি ইচ্ছা হবে পূরণ, কেবল এই প্রিয় জিনিসগুলি গণপতিকে নিবেদন করুন

আরও পড়ুন- দুর্বল বুধের প্রভাব জীবনে আনে অসংখ্য সমস্যা, জেনে নিন দুর্বল বুধের কী কী লক্ষণ


এই কালীপুজোয় কোনও রকমের ত্রুটি রাখা চলবে না। ক্রটি মুক্ত হতে হবে পুজো। পুজোর প্রতিটা জিনিস দেখে নিয়ম করে গুছিয়ে নিতে হয় আগে থেকেই। যাতে সময় সময় তা পাওয়া যায়। এদিন মায়ের আসনের পাশে সারাক্ষণ ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখতে হয়। নজর রাখতে হবে তা যেন কোনও মতেই নিভে না যায়। পুজোর সরঞ্জামের মধ্যে অবশ্যই যেন থাকে সামান্য আতপ চাল, নারিকেল ও ১০৮টা জবা ফুল। 

Share this article
click me!