বিশ্বকর্মা পুজোর দিন পান্তা, এর আগের রাতেই থাকে অমাবস্যা, এদিন সারা রাত ধরে চলে অরন্ধন, রান্না পুজো। এই বিশেষ তিথিতে ঠিক কী কী করা হয়!
ঠিক ১৯ দিনের মাথায় মহালয়া। এই বিশেষ তিথিতেই শুরু দেবীপক্ষ। আর ভাদ্র মাসে পিতৃপক্ষের শেষ লগ্নে এসে বাঙালির শেষ উৎসব অরন্ধন। এই বিশেষ তিথিতে সারভর রান্না চলে রকমারি। পরের দিন বিশ্বকর্মা পুজো। এদিন আগুল জ্বলে না উনুনে। তাই পান্তা। সবটাই রান্না করে রাখা হয় এই ঠিক আগের দিন। তাই আজ ঘরে ঘরে ব্যস্ততা তুঙ্গে। রান্না পুজোর নিয়ম হল ভাদ্র মাসে রান্না, তা আশ্বিনের প্রথম সকালে খাওয়া।
আরও পড়ুন- লেখাপড়ায় পন্ডিত হতে চান, তবে জ্যোতিষ শাস্ত্রের এই নিয়ম পালন করলেই হবে স্বপ্নপূরণ
মনসা পুজোরই অংশ এই রান্না পুজো। মনসা ঠাকুরের ঘট বলিয়ে নিয়ে তা সাজিয়ে সারা রাত ধরে চলে রান্না। এদিন মনসা পুজো, তাই এই দিন এই পার্বণ পালন করা হয়। এই দিন বাড়িতে গরম রান্না করা হয় না, তাই আগেই সবটা রান্না করে বাসি করে নিতে হয়। আর সেই খাবারই খাওয়া হয়। পদে থাকে, নানান রকমের ভাজা, মাছ, সব্জি, চালতা টক, কচু শাক প্রভৃতি। তবে এদিন রান্না মেনুতে চিংড়ি ও ইলিশ থাকতেই হয়। এছাড়াও তালের বড়া, নানান ধরনের সবস্বাদু পদে ভরে ওঠে পাত। সঙ্গে নারিকেল ভাজাও থাকা চাই।
ঘটি পরিবারে এই রীতির চল বেশি, এই সময় থেকেই শুরু হয়ে যায় দূর্গাপুজোর কাউনডাউন। এই তিথি পালন করলে কথিত আছে, সংসারে সুখ সমৃদ্ধি বজায় থাকে। পাশাপাশি পরিবারের সকলের মঙ্গল হয়। এই তিথিতে পরিবারের ওপর কোনও কালো ছায়া থাকলে তাও কেটে যায় ও কোনও দিন সংসারে অভাবে থাকে না।