একবার মা পার্বতীর কপালে ঘাম জমেছিল এবং মন্দার পাহাড়ে সেই ফোঁটা পড়েছিল। সেই সময়ে বেল গাছের জন্ম হয়।
বেল পাতা অর্থাৎ বিল্বপত্র ভগবান শিবের খুব প্রিয়। কথিত আছে যে এই পাতা শিবের মনকে শান্তিতে রাখে এবং মনে শান্তি দেয়। ভগবান সর্বদা প্রকৃতির সুরক্ষার জন্য উদ্বিগ্ন, তাই তাকে অর্পণ করা পত্র, ফুল এবং ফুলের ব্যবহারও প্রকৃতির সুরক্ষার উপর জোর দেয়।
কখন বেল পাতা ভাঙ্গা উচিত নয়
মনে রাখবেন চতুর্থী, অষ্টমী, নবমী, চতুর্দশী এবং অমাবস্যা তিথি, সংক্রান্তি এবং সোমবারে বেল পাতা একেবারে ভাঙা উচিত নয়। এই তিথিতে আপনি ভাঙা বেল পাতা শিবকে নিবেদন করতে পারেন না।
বেল পাতা ছেঁড়ার নিয়ম
এগুলো ছেঁড়ার নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। প্রকৃতির সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই নিয়ম তৈরি করা হয়েছে। খেয়াল রাখতে হবে পাতা তোলার সময় শুধু পাতাগুলো ভেঙ্গে দিতে হবে যাতে গাছের ডালের কোনো ক্ষতি না হয়।
অর্পণ করার সময় যত্ন নিন
শিবলিঙ্গে বেল পাতা অর্পণ করার সময় মনে রাখবেন পাতার মসৃণ অংশ যেন নীচে থাকে। বেল পাতা চক্র ছাড়া হওয়া উচিত, বেলপত্র তিন থেকে ১১ পাতা বিশিষ্ট হতে পারে। বেল পাতায় বেশি অক্ষর থাকলে ভালো মনে করা হয়। এই পাতা কখনও বাসি হয় না। যদি আপনার বেল পাতা না থাকে তবে অন্যের দেওয়া বেল পাতা ধুয়ে শিবকে আবার নিবেদন করতে পারেন। শুধু বেল পাতাকে অসম্মান করবেন না।
বেল পাতার জন্ম
মা পার্বতীর ঘাম থেকে বেল গাছের জন্ম। এই কাহিনি স্কন্দপুরাণে বর্ণিত আছে। একবার মা পার্বতীর কপালে ঘাম জমেছিল এবং মন্দার পাহাড়ে সেই ফোঁটা পড়েছিল। সেই সময়ে বেল গাছের জন্ম হয়। কথিত আছে যে বেল পত্রের গাছে পাঁচ দেবী গিরিজা, মহেশ্বরী, দক্ষিণানী, পার্বতী এবং মাতা গৌরী বাস করেন।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে বেলগাছ অত্যন্ত পবিত্র। অনেক তীর্থস্থানে এই গাছকেই দেবতা রূপে পুজো করা হয়। এই গাছকে দেবাদিদেব মহাদেবের আরেক রূপ হিসেবে গন্য করা হয়। সেই কারনেই শিবের আরাধণার অন্যতম উপকরণ হল বেলপাতা। এই পাতা তিনটি একত্রে ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বর বলে মনে করা হয়। আর তিনটি বেলপাতা একত্রে থাকলে তবেই তা পুজোর উপকরণের নিঁখুত বেলপাতা হিসেবে ব্যবহার করা হয়।