এই মন্ত্রের ৩৩টি অক্ষরে লুকিয়ে রয়েছে সুখ, সমৃদ্ধি, ঐশ্বর্যের গোপন রহস্য, জানুন মন্ত্রটি জপ করার নিয়ম

এই মন্ত্রের গোপনীয়তা  প্রয়োজন। মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্রের অর্থ নিজের জীবনকে আরও সুন্দর করে তোলার জন্য দেবতার আর্শীবাদ পাওয়া। স্বীকৃত মন্ত্রের প্রতিটি অক্ষরে লুকিয়ে রয়েছে ঐশ্বর্য, সমৃদ্ধির আর সুস্থ জীবনের রহস্য। 
 

Web Desk - ANB | Published : May 24, 2022 12:23 PM IST


মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র- হিন্দুধর্মের মন্ত্রগুলির মধ্যে এটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মন্ত্র অত্যান্ত শুভ বলেও মনে করা হয়। ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে নিত্যপুজো- প্রতিদিন যদি এই মন্ত্র জপ করেন তাহলে সুফল আপনি পাবেন। এই মন্ত্রের বলে সুখ, সমৃদ্ধি, সুস্থ জীবন আর ঐশ্বর্য সবই পাওয়া যায় বলে প্রাচীন বিশ্বাস। এই মন্ত্রটি মানুষের মনে ইতিবাচক শক্তি জোগায়। মহামৃতুঞ্জয় মন্ত্রে মাত্র ৩৩টি অক্ষর রয়েছে। প্রতিটি অক্ষরের নিজস্ব বিশেষ অর্থ রয়েছে। ৩৩টি অক্ষর ৩৩টি দেবতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। এবার চলুন মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্রের প্রতিটি অক্ষরের তাৎপার্য বুঝে নিন। 


মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র হল- 
ওম এ্যম্বকম, যজমগে সুগবন্ধিম পুষ্টীবর্ধনম উর্ভারুকমিভা বন্ধনন মৃত্যুমুখি মমৃতাত।।

মন্ত্রের উপকারিতা- এই মন্ত্রের গোপনীয়তা  প্রয়োজন। মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্রের অর্থ নিজের জীবনকে আরও সুন্দর করে তোলার জন্য দেবতার আর্শীবাদ পাওয়া। স্বীকৃত মন্ত্রের প্রতিটি অক্ষরে লুকিয়ে রয়েছে ঐশ্বর্য, সমৃদ্ধির আর সুস্থ জীবনের রহস্য। 

মন্ত্রের ৩৩টি অক্ষরের অর্থঃ

ওম- ঈশ্বর
ত্রি- ধুব্রবসু হল প্রাণের ঘোটক ( মাথায় অবস্থিত)
যম- অধ্বভাসুর হল প্রাণের ঘোটক (মুখে অবস্থিত)
খ- সোমবসু  হল শক্তির চিহ্নি (ডান কানে অবস্থিত)
কম - জল হল বাসু দেবতার চিহ্নি ( বাম কানে অবস্থিত)
য -বায়ু হল ঘোটক (দক্ষিণ বাহুয়তে অবস্থিত)
জা- অগ্নি হল ঘোটক (বাম বাহুতে অবস্থিত)
ম- প্রত্যুবশ বসু শক্তির চিহ্ন (ডান হাতের মাঝখানে অবস্থিত)
হে- প্রচেষ্টা বসু মণিবন্ধনে অবস্থিত
সু- বীরভদ্র রুদ্র প্রাণের মূর্ত প্রতীক (ডান হাতের আঙ্গুলের মূলে অবস্থিত)
গ-শুম্ভ হল রুদ্রেরর ঘওটক ( ডান হাতের আঙুলের ডগায় অবস্থিত)
ধীম- মূল  গিরিশ রুদ্র শক্তি হল ঘওটক (বাম হাতের মূলে অবস্থিত)
পু- রুদ্রের শক্তির প্রতীক (হাতের মাঝখানে অবস্থিত)
ষ্টি- অহরব্যধ্য়াত হল রুদ্রের ঘোটক ( হাতের মণিবন্ধে অবস্থিত)
ব - পিণকী রুদ্র হল প্রাণের ঘোটক (বাম হাতের আঙুলের মূলে অবস্থিত)
র্ধ- ভবানীশ্বর হল রুদ্রের ঘোটক (হাতের আঙুলের সামনের অংশ অবস্থিত)
নম- কাপালি হল রুদ্রের ঘোটক (উরুর উৎপত্তিস্থলে অবস্থিত)
উ- দিকপতি হলেন রুদ্রের ঘোটক (যক্ষ জানুতে অবস্থিত)
বা- স্তনু বলে রুদ্রের ঘটোক (যক্ষ উপসাগরে অবস্থিত)
রু- ভার্গ হল রুদ্রের ঘোটক (চক পদঙ্গুলীর মূলে অবস্থিত)
উঃ- ধাতা হল আদিত্যের ঘোটক (যক্ষের পায়ের আঙুলের ডগায় অবস্থিত)
মি- আর্যামা হল আদিত্যের ঘওটক (বাম জানুতে অবস্থিত)
ভ- মিত্র আদিত্যের ঘওটক (বাম জানুতে অবস্থিত)
ধা- অংশু আদিত্যের ঘোটক (পায়ের আঙুলে অবস্থিত) 
নাত- ভগ্যদিত্যের চিহ্ন (বাম পায়ের আঙুলের ডগার অগ্রভাবে অবস্থিত)
মৃ- বিভাসবান সূর্যের চিহ্ন  (দক্ষিণ দিকে থাকে)
ত্যু- দন্ডাদিত্যের চিহ্ন 
মু হল পুষাদিত্যমের চাৎপর্যতা 
খী- পর্জন্যা হল আদিত্যের চিহ্ন 
য- তবনাশতান হল আদিত্যধ 
মা- বিষ্ণু বলেন আদিত্যের চিহ্ন 
মৃ - প্রজাপতির চিহ্ন  (গলার অংশ)
তাত- অমিত হল সূর্যের জ্যোতি 
 

Share this article
click me!