সূর্য মকর (Makar) রাশিতে প্রবেশ করলে বলা হয় মকর সংক্রান্তি। হিন্দু শাস্ত্রে যেমন মকর সংক্রান্তির বিশেষ গুরুত্ব আছে। পশ্চিম বঙ্গে ছাড়া অন্যান্য রাজ্যেও এই দিনে পালিত হয় কোনও না কোনও উৎসব। জেনে নিন, এই দিন কোথায় কোন উৎসব পালিত হয়।
হিন্দু শাস্ত্রে উল্লেখ আছে একাধিক পুজো ও ব্রতর। শাস্ত্রে যেমন উল্লেখ আছে ভগবান শিবের পুজো (Lord Shiv), গণেশ পুজো (Lord Ganesh), দেবী পার্বতীর পুজো তেমনই উল্লেখ আছে গুরু গোবিন্দ জয়ন্তী, ইতু ব্রত, প্রদোষ ব্রত (Prodosh Vrat), স্কন্দ ষষ্ঠী ব্রতর মতো একাধিক ব্রত। এমনই একটি গুরুত্ব উৎসব হল মকর সংক্রান্তি। এদিন সূর্য মকর রাশিতে প্রবেশ করে, তাই দিনটি মকর সংক্রান্তি নামে পরিচিত।
সূর্য বছরের বিভিন্ন সময় ১২টি রাশির মধ্যে দিয়ে যায়। যে রাশিতে সূর্য (Sun) প্রবেশ করে তাকে সেই সংক্রান্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তেমনই, সূর্য মকর (Makar) রাশিতে প্রবেশ করলে বলা হয় মকর সংক্রান্তি। হিন্দু শাস্ত্রে যেমন মকর সংক্রান্তির বিশেষ গুরুত্ব আছে। পশ্চিম বঙ্গে ছাড়া অন্যান্য রাজ্যেও এই দিনে পালিত হয় কোনও না কোনও উৎসব। জেনে নিন, এই দিন কোথায় কোন উৎসব পালিত হয়।
বিহার (Bihar) ও গুজরাতে (Gujrat) মকর সংক্রান্তির দিন উত্তরায়ণ নামে পরিচিত। এদিন এই সকল অঞ্চলে সূর্য দেবতার পুজো হয়। এদিন ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হয়। উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) ও ঝাড়খন্ডে মকর সংক্রান্তির দিন পালিত হয় খিচড়ি পরব। পঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল, জম্মুতে এই উৎসব লোহরি নামে পরিচিত। কৃষকরা পালন করেন লোহরি। এদিন তারা নতুন ফসল বপন করেন এবং ফসল কাটেন।
কাশ্মীরে (Kashmir) মকর সংক্রান্তিকে বলা হয় শায়েব ক্রান্ত। সেখানেও এই দিনে আনন্দে মেতে ওঠেমন সকলে। মধ্যপ্রদেশে বলা হয় সুকরাত নামে পরিচিত এই দিনটি। সেখানেও পূণ্য অর্জনের জন্য পবিত্র নদীতে স্নানের রীতি আছে। তামিলনাড়ুতে পোঙ্গল নামে পরিচিত মকরসংক্রান্তি। এই দিনটি ফসল কাটার উৎসব হিসেবে পরিচিত।
কর্ণাটকে (Karnatak) মকর সংক্রমনা বা ইল্লু বিল্লাহ পালিত হয় সংক্রান্তির দিন। এদিন তিলের লাড্ডু, গুড় দিয়ে তৈরি খাবার বানানো হয়। অসবে ভোগলি বিহু নামে পরিচিত। পৌষ পার্বণকে বরণ করতে পালিত হয় ভোগলি বিহু। সেখানের মহিলারা এদিন লোকসংগীত, লোক নৃত্য পরিবেশন করেন।
এক এক রাজ্যে এক একটি নামে পালিত হয় মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti)। তবে, এই দিন সব জাতির মানুষই সূর্য দেবের পুজো করেন। পুণ্য অর্জনের জন্য পবিত্র নদীতে স্নান ও দান ধ্যানের রীতি প্রচলিত আছে।