তিথি অনুসারে এবছর লম্বোদরা সংকষ্টী চতুর্থী ব্রত (Lambodara Sankasthi Ganesh Chaturthi Vrat) পালিত হবে ২১ জানুয়ারি। পৌষ, কৃষ্ণপক্ষ চতুর্থী তিথি পড়েছে ২১ জানুয়ারি। এদিন সকাল ৮.৫১ মিনিটে শুরু হবে শুভ সময়। আর চলবে ২২ জানুয়ারি সকাল ৯.১৮ পর্যন্ত। এদিন ব্রত পালন করতে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ব্রত রাখতে হয়।
প্রতি মাসের চতুর্থী তিথি (চতুর্থ দিন), কৃষ্ণপক্ষ (চন্দ্রচক্রের ক্ষয়প্রাপ্ত পর্যায়) দিন পালিত হয় গণেশের (Lord Ganesh) ব্রত। এই ব্রতকে বলা হয় সংকষ্টী ব্রত। আর পৌষ অথবা মাঘ মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থী তিথিতে গণেশের যে ব্রত পালিত হয় তা লম্বোদরা সংকষ্টী চতুর্থী ব্রত (Lambodara Sankasthi Ganesh Chaturthi Vrat) নামে পরিচিত। সংকষ্টী শব্দের অর্থ হল কষ্ট থেকে পরিত্রাণ পাওয়া। নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে এই ব্রত পালনে যে কোনও কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
তিথি অনুসারে এবছর লম্বোদরা সংকষ্টী চতুর্থী ব্রত পালিত হবে ২১ জানুয়ারি। পৌষ, কৃষ্ণপক্ষ চতুর্থী তিথি পড়েছে ২১ জানুয়ারি। এদিন সকাল ৮.৫১ মিনিটে শুরু হবে শুভ সময়। আর চলবে ২২ জানুয়ারি সকাল ৯.১৮ পর্যন্ত। এদিন ব্রত পালন করতে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ব্রত রাখতে হয়। সিদ্ধিদাতা গণেশের (Lord Ganesh) কৃপা পেতে নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে লম্বোদরা সংকষ্টী চতুর্থী ব্রত পালন করতে হয়।
লম্বোদরা সংকষ্টী চতুর্থী ব্রত পালনের নিয়ম-
লম্বোদরা সংকষ্টী চতুর্থী ব্রত পালন করতে হবে এই শুভ তিথিতে। এদিকে সকালে ঘুম থেকে উঠে গঙ্গা কিংবা কোনও পবিত্র নদীতে স্নান করুন। এবার পরিষ্কার পোশাক (Dress) পরুন। ঠাকুর ঘরে গণেশের মূর্তি প্রতিস্থাপন করুন। ‘ওঁম গণেশায় নমঃ’ মন্ত্র জপ করুন। দেবতার পায়ে ফুল অর্পন করুন। ধূপ জ্বালান। ফল, নৈবেদ্য, মিষ্টান্ন নিবেদন করুন। পাঠ করুন লম্বোদরা সংকষ্টী চতুর্থী ব্রতকথা। এদিন সারাদিন উপবাস থাকতে হবে। ব্রত শেষে ফল খেতে পারেন। এদিন চাল, গম. মুসুর ডাল কিংবা কোনও আমিষ ভোজন করবেন না। সূর্যাস্তের শেষে ফল, দুধ খেতে পারেন।
আরও পড়ুন: Ganesha Jayanti 2022: এই ব্রত পালনের ফলে জীবনের যাবতীয় দুঃখ ও সমস্যা দূর হয়, জেনে নিন ব্রত পালনের তিথি ও সময়
লম্বোদরা সংকষ্টী চতুর্থী ব্রতকথা-
লম্বোদরা সংকষ্টী চতুর্থী (Lambodara Sankasthi Ganesh Chaturthi) ব্রতকথায় একটি কাহিনি বর্ণিত আছে। একবার এক কঠিন সমস্যা থেকে উদ্ধারের জন্য দেবতারা ভগবান শিবের স্মরণাপন্ন হয়ে ছিলেন। মহাদেব দেবতাদের সাহায্য নিজে সাহায্য না করে, তাঁর দুই ছেলেকে দায়িত্ব দেন। তিনি কার্তিক ও গণেশের পরীক্ষা করেন। দেবতাদের সেই সমস্যা থেকে উদ্ধার করতে একজনকে দায়িত্ব দেবেন বলে স্থির করেন। দায়িত্ব অর্পনের আগে কার্তিক ও গণেশের পরীক্ষা নেন দেবাদিদেব। তিনি দুজনকে পৃথিবী অর্থাৎ ধরিত্রী পরিক্রম করার নির্দেশ দেন। বলেন যে ধরিত্রী পরিক্রম করে তাঁর কাছে আগে আসতে পারবে, তিনি তাঁকে দায়িত্ব দেন। এই কথা শুনে কার্তিক পরিক্রমের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু, গণেশ দেবী পার্বতী (Devi Parvati) ও মহাদেবকে (Lord Shiv) পরিক্রম করেন। বলেন, তাঁর কাছে মহাজগত হল তাঁর পিতা-মাতা। গণেশের কথায় তুষ্ট হন মহাদেব। তখন থেকেই শুরু হয় সিদ্ধিদাতার আরাধনা।