Paush Purnima: শাস্ত্র মতে পৌষ পূর্ণিমা একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন, জেনে নিন পৌষ পূর্ণিমার সময় ও তারিখ

হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, পৌষ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমাকে বলা হয় পৌষ পূর্ণিমা (Paush Purnima)। শাস্ত্রে, পৌষ পূর্ণিমা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে বিবেচিত। এই দিন ভক্তরা পবিত্র নদীতে স্নান করলে পূর্ণিমা অর্জন করা সম্ভব, এমনই রীতি প্রচলিত। 

Sayanita Chakraborty | Published : Jan 16, 2022 4:52 AM IST

হিন্দু শাস্ত্রে অমাবস্যা ও পূর্ণিমার মাহাত্ম্য বিস্তর। প্রত্যেক মাসে পূর্ণিমা ও অমাবস্যা পড়ে। পূর্ণিমা শুক্লপক্ষে ও অমাবস্যা কৃষ্ণপক্ষে হয়। এই পূর্ণিমা ও অমাবস্যার তিথি দেখে পুজোর সময় নির্ধারণ করা হয়। শাস্ত্রে, পূর্ণিমার দিনগুলোকে সবচেয়ে শুভ মনে করা হয়। একটি পূর্ণিমা ও একটি অমাবস্যা সহ দুটি চন্দ্র পাক্ষিক একটি হিন্দু মাস তৈরি করে। বছরে ১২টা পূর্ণিমা হয়। প্রতি মাসে একটি করে। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, পৌষ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমাকে বলা হয় পৌষ পূর্ণিমা (Paush Purnima)। শাস্ত্রে, পৌষ পূর্ণিমা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে বিবেচিত। এই দিন ভক্তরা পবিত্র নদীতে স্নান করলে পূর্ণিমা অর্জন করা সম্ভব, এমনই রীতি প্রচলিত। 

শাস্ত্র মতে, এবছর পৌষ পূর্ণিমা ব্রত (Paush Purnima Vrat) পালিত হবে ১৭ জানুয়ারি। পূর্ণিমা তিথি শুরু হচ্ছে ১৭ জানুয়ারি ভোর ৩.১৮ মিনিটে। আর শেষ হচ্ছে ১৮ জানুয়ারি ৫.১৭ মিনিটে। পূর্ণিমার শুভ তিথিতে পূণ্য অর্জনের জন্য যে কোনও পবিত্র নদীতে স্নান করে ব্রত পালন করেন অনেকে। 

ভক্তরা সূর্যোদয় থেকে চন্দ্রোদয় পর্যন্ত পৌষ পূর্ণিমা ব্রত পালন করেন। ব্রত শুরু হয় পবিত্র নদীতে স্নানের মধ্য দিয়ে। ভোরবেলা পবিত্র নদীতে ডুব দিয়ে স্নান (Bath) করতে হয়। এতে মন ও শরীর শুদ্ধ হয় বলে মনে করা হয়। এর সূর্যদেবকে অর্ঘ্য দান করা হয়। সারাদিন ব্রত পালন করা হয়। এদিন দরিদ্রকে দান করার রীতি আছে। পূণ্য স্নানের পাশাপাশি পৌষ পূর্ণিমা তিথিতে সত্যনারায়ণ পুজো করার রীতি আছে। এদিন অনেকে কুল দেবতার পুজো করেন।

 
পৌষ পূর্ণিমার পর মাঘ মাস শুরু হয়। আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি একটি বৃহত্তর তাৎপর্যপূর্ণ দিন। উত্তর প্রদেশের কাশী, ত্রিবণী সঙ্গম এবং হরিদ্বারা ভক্তদের পূণ্য স্নান করতে দেখা যায়। এদিন হাজার হাজার ভক্তরা গঙ্গা ও যমুনা নদীতে স্নান করেন। পুরাণ অনুসারে, পৌষ পূর্ণিমার দেবী শাকম্ভরী পুজিত হন। ইনি দেবী দুর্গার অবতার। তিনিই খরা দূর করেছিলেন। তিনি উদ্ভিদের দেবী হিসেবেও পুজিত হন। এই পৌষ পূর্ণিমার তিথি উৎসর্গ করা হয় দেবী শাকম্ভরীকে।  এদিন দেবীর উপাসনা করলে সকল মনষ্কামনা পূরণ হয়। দূর হয় জীবনের সকল প্রতিবন্ধকতা। তাই নিয়মনিষ্ঠার সঙ্গে এদিন ব্রত পালন করুন। এতে সকল কাজে সফল হবেন।  

আরও পড়ুন: Pisces Monthly Horoscope: নতুন বছরের প্রথম মাস কেমন প্রভাব ফেলবে মীন রাশির

আরও পড়ুন: Numerology Prediction: জেনে নিন সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে ১৬ জানুয়ারি দিনটি কেমন, আজ কার হবে পদোন্নতি

Share this article
click me!