শ্রাবণের তৃতীয় শনিবার ২০২২ সালের ৩০ জুলাই। এই দিনে ভারিয়ান যোগ গঠনের কারণে এই দিনের গুরুত্ব বাড়ছে। জ্যোতিষশাস্ত্রে এই যোগ শুভ কাজের জন্য শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত হয়।
শনিবারকে শনিদেবকে উৎসর্গ করা হয়। শনিবার শনিদেবের প্রতিকার ও পূজা করলে শনি দোষের অশুভ প্রভাব কমবে বলে বিশ্বাস করা হয়। শাস্ত্রেও শ্রাবণ মাসের শনিবারের গুরুত্ব বর্ণিত হয়েছে। শ্রাবণ মাস ভগবান শঙ্করকে উৎসর্গ করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্রে, শনিদেবকে ভগবান শিবের পরম শিষ্য হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এমন অবস্থায় শ্রাবণ তৃতীয় শনিবার শনিদেব ও ভগবান শঙ্করের পূজা করলে শনির অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শনিদেব ও ভোলেনাথের আশীর্বাদে জীবনে সুখ আসে।
শ্রাবণ মাসের তৃতীয় শনিবার কখন?
শ্রাবণের তৃতীয় শনিবার ২০২২ সালের ৩০ জুলাই। এই দিনে ভারিয়ান যোগ গঠনের কারণে এই দিনের গুরুত্ব বাড়ছে। জ্যোতিষশাস্ত্রে এই যোগ শুভ কাজের জন্য শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত হয়।
এই পাঁচটি রাশির জাতকরা শনি দোষে ভুগছেন
বর্তমানে শনি মকর রাশিতে অবস্থান করছে বিপরীতমুখী অবস্থায়। শনির এই অবস্থান ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে। মকর রাশিতে শনির আগমনের কারণে ধনু, মকর ও মীন রাশিতে শনির অর্ধশতকাল চলছে। মিথুন ও তুলা রাশির জাতক-জাতিকাদের উপর শনির অর্ধশতকের প্রভাব। শনি দোষ কমাতে ধনু, মকর, মীন, মিথুন ও তুলা রাশির শনি মাসের শনিবারে শনি পূজা করা উচিত।
শনির অশুভ প্রভাব কমাবে এই ব্যবস্থা-
সাওয়ান মাসের শনিবারে ভগবান শঙ্করের সঙ্গে শনিদেবের পুজো করুন। সেই সঙ্গে পিপল গাছের সামনে সরষের তেলের প্রদীপ জ্বালান।
শনি মন্দিরে শনি চালিসা পাঠ করুন। শনি গ্রহ সম্পর্কিত জিনিস দান করুন।
শনি দোষ কমাতে আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী গরীবদের সাহায্য করুন। গরুকে রুটি খাওয়ান।
জ্যোতিষশাস্ত্রে শনির গমন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয় কারণ শনি কর্ম অনুসারে ফল দেয়। শনি এই সময়ে বিপরীতমুখী এবং কুম্ভ রাশিতে অবস্থান করছে। ১২ জুলাই, বিপরীতমুখী শনি মকর রাশিতে পরিবর্তিত হতে চলেছে। শনি জানুয়ারি পর্যন্ত মকর রাশিতে থাকবে এবং এই ৬ মাসে ৩ টি রাশির উপর তার আশীর্বাদ বর্ষণ করবে। এই শনি রাশি পরিবর্তন এই ব্যক্তিদের জন্য একটি বর হিসেবে প্রমাণিত হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিপরীতমুখী শনির গ্রহের কারণে কোন কোন মানুষের ভাগ্য উজ্জ্বল হতে চলেছে।
শাস্ত্র মতে, গ্রহের অবস্থানের ওপর ব্যক্তির ভালো ও খারাপ সময় শুরু হয়। আর রইল শনি গ্রহের কথা। হিন্দু শাস্ত্রে উল্লেখ আছে ১৩৩ কোটি শক্তির। বিভিন্ন তিথিতে পুজিত হন সকল দেবতারা। প্রতিটি দেব-দেবীর জন্য আলাদা আলাদা তিথির উল্লেখ আছে শাস্ত্রে। গ্রহের অবস্থানের ওপর নির্ভর করে এই সকল তিথি স্থির করা হয়।