কর্পূর হিন্দু পুজো পদ্ধতিতে খুব বিশেষ একটি উপাদান। কর্পূর পুজোর সময় আরতিতে ব্যবহৃত হয়। কর্পূর ছাড়া পুজোর আরতি অসম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভারতীয় উপাসনা পদ্ধতিতে কর্পূরের ব্যবহারের গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য রয়েছে। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোন থেকে মনে করা হয় ঘরে কর্পূর জ্বালালে ঘরের ক্ষতিকারক ব্যাকটিরিয়া মরে যায়। আর বাস্তুমতে, ঘরে কর্পূর পোড়ালে নেতিবাচকতক শক্তিকে ইতিবাচক শক্তিতে রূপান্তরিত করে। কর্পূর চিকিত্সার ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়। তাই শাস্ত্রের পাশাপাশি আয়ুর্বেদেও কর্পূরের বিশেষ উল্লেখ রয়েছে। কর্পূর জ্যোতিষশাস্ত্র এবং স্থাপত্য ব্যবস্থায়ও উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যবহৃত হয়।
কর্পূরের ব্যবহার-
কর্পূর সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক গবেষণার ভিত্তিতে এটিও বলা হয় যে এর সুগন্ধি ব্যাকটিরিয়া, ভাইরাস এবং রোগজনিত অন্যান্য জীবানুকে মেরে ফেলে। এটি পরিবেশকে সুরক্ষিত করে রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। বিজ্ঞানের মতে, আমরা যখন পুজো বা যজ্ঞের সময় কর্পূর জ্বালিয়ে দিই, তখন এর থেকে বের হওয়া ধোঁয়া পার্শ্ববর্তী নেতিবাচক শক্তিকে বিলীন করে দেয়।
প্রতিদিন কর্পূর জ্বালালে চারপাশের বাতাস শুদ্ধ হতে শুরু করে। খারাপ বাতাস ঘর থেকে বেরিয়ে যায় এবং আশেপাশের বায়ু শুদ্ধ করে। সকালে এবং সন্ধ্যায় কর্পূর পোড়ালে ঘরের বাহ্যিক নেতিবাচক শক্তি ঘরে প্রবেশ করতে পারে না। মনে করা হয়, দূষিত অঞ্চলে বাস করা লোকদের রোগ এড়াতে ঘরে কর্পূর জ্বালানো উচিত। কর্পূর জ্বালিয়ে শুধু পুজোই নয় ব্যাকটিরিয়া, জীবাণু, মশা ইত্যাদি ঘরে প্রবেশ করতে দেয় না। কর্পূর ভালো করে গুঁড়ো করে তা জলে দিয়ে ঘর মুছলে পিঁপড়া পোকা ঘরে প্রবেশ করতে পারে না।