আমাদের দেশ সাধারণত ঐতিহ্যের দেশ। সেখানে বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের রীতি প্রচলিত রয়েছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তা পালন হয়ে চলেছে। কিন্তু, সেই রীতিগুলির পিছনে সঠিক কী কারণ রয়েছে তা অনেকেরই অজানা।
মাঝে মধ্যেই দেখা যায় নদীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কোনও না কোনও ব্যক্তি কয়েন ছুড়ে দিচ্ছেন। আর কোনও মন্দিরে যদি পুকুর থাকে তাহলে তো বলার কোনও কথাই নেই। পুকুরের নিচে একাধিক কয়েন পড়ে থাকতে দেখা যায়। দেশের প্রায় সব প্রান্তেই এই রীতি প্রচলিত রয়েছে। এমনকী, অনেক গানের দৃশ্যেও নায়ক-নায়িকাকে এই কাজ করতে দেখা যায়। কিন্তু, কেন নদীতে কয়েন ফেলা হয় তা হয়তো অনেকের কাছএই অজানা রয়েছে। অনেকেই মনে করেন যে নিজের মনস্কামনা মনে মনে বলে নদীতে যদি কয়েন ফেলা হয় তাহলে তা পূরণ হয়। সেই কারণে অনেকেই ফেলেন। যদিও এর আসল কারণ জানলে অবাক হয়ে যাবেন।
আমাদের দেশ সাধারণত ঐতিহ্যের দেশ। সেখানে বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের রীতি প্রচলিত রয়েছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তা পালন হয়ে চলেছে। কিন্তু, সেই রীতিগুলির পিছনে সঠিক কী কারণ রয়েছে তা অনেকেরই অজানা। রীতি মেনে শুধু তা পালন করা হয়। নদী বা কোনও জলাশয়ের মধ্যে কয়েন ফেলার বিষয়টিও ওইরকমই। এর পিছনে থাকা আসল কারণ হয়তো অনেকেরই অজানা রয়েছে।
পৌরাণিক কারণ
অনেকের মধ্যেই ধারণা রয়েছে নদীতে কয়েন বা মুদ্রা ফেললে তাতে সৌভাগ্য ফেরে। এই বিশেষ প্রথার পিছনে লুকিয়ে রয়েছে বেশ কিছু কারণ। জানা যায়, যেই সময় নদীতে কয়েন ফেলার এই প্রথা চালু হয়েছিল সেই সময় তামার মুদ্রার প্রচলন ছিল। জলকে বিশুদ্ধ রাখার জন্য তামার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর সেই কারণেই নদীর জল বিশুদ্ধ রাখতে এই প্রথার চল শুরু হয়েছিল। নদীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একটি করে তামার মুদ্রা ফেলে দিতেন অনেকেই। আর সেই নিয়ম এখনও প্রচলিত রয়েছে। তবে এখন তা হয় কুসংস্কার হিসেবে।
এই প্রথা সম্পর্কে জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা হয়েছে, মানুষ যদি তার নিজের কোনও দোষ ত্রুটি দূর করার চেষ্টা করে তাহলে তার জন্য জলের মধ্যে কয়েন বা মুদ্রা এবং তার সঙ্গে কিছু পুজোর উপকরণ ফেলতে পারে। প্রবহমান জলের মধ্যে রুপোর কয়েন বা মুদ্রা ফেললে তাতে দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া মনস্কামনা পূরণের জন্যও অনেকে কয়েন ফেলেন।
একসময় তামার মুদ্রা ব্যবহার করা হত। সেই সময় জল বিশুদ্ধ রাখার কথা ভেবে নদীতে তামার মুদ্রা ফেলত মানুষ। তবে এখন আর তামার মুদ্রার প্রচলন নেই। কিন্তু, নদী বা জলাশয়ে কয়েন ফেলার রীতি অব্যাহত রয়েছে। তার কিছুটা কুসংস্কারের বশবর্তী হয়েই মানুষ ফেলে থাকেন।