কন্ট্রোভার্সি যেন পিছু ছাড়ছে না পরীমণির। বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ অফিসার মহম্মদ গোলাম শাকলায়েনের সঙ্গে অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। শাকলায়েনের মুখে এক টুকরো কেক রেখে সেই কেকেই কামড় বসালেন পরীমণি। শুধু তাই নয়, তারপরেই ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুমুও খেলেন তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের ঠোঁটে। ঝড়ের গতিতে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
একের পর এক নয়া বিতর্ক। কন্ট্রোভার্সি যেন পিছু ছাড়ছে না পরীমণির। বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণিকে নিয়ে এই মুহূর্তে উত্তাল গোটা বাংলাদেশ। এবার বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ অফিসার মহম্মদ গোলাম শাকলায়েনের সঙ্গে অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তারপরেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকী তদন্তকারী এই অফিসার নাকি পরীমণির প্রেমে পড়েছেন। সেই কথা নিজের মুখেই স্বীকার করে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন-ফ্ল্যাট থেকে গাড়ি, একাধিক ব্যাঙ্কে লক্ষ লক্ষ টাকার লোন, কত টাকা সম্পত্তির মালিক সায়ন্তিকা
আরও পড়ুন-অনস্ক্রিনে নগ্ন হয়ে সঙ্গমে রাজি হলেও এই ভয়েই চুম্বনে সটান না, কেন এমনটা করেছিলেন করিনা
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ অফিসার মহম্মদ গোলাম শাকলায়েনের জন্মদিন পালন করা হচ্ছে। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণি। নীল-কালে বেলুন দিয়ে সাজানো ঘর। শাকলায়েনের সামনে রাখা বড় কেক। পাশেই গোলাপি-কালো শাড়ি পড়ে রয়েছেন পরীমণি। একসঙ্গে হাত ধরে কেক কাটলেন পরীমণি ও শাকলায়েন। তারপরেই শাকলায়েনের মুখে এক টুকরো কেক রেখে সেই কেকেই কামড় বসালেন পরীমণি। শুধু তাই নয়, তারপরেই ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুমুও খেলেন তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের ঠোঁটে। ঝড়ের গতিতে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখা মাত্রই ছিঃ ছিক্কারে ভরে গিয়েছে ওপার বাংলা।
কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (RAB) অভিনেত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চালায়। আচমকা তল্লাশি চালিয়ে যা বেরোল তা দেখে হতবাক সকলেই। পরীর বাড়িতে বিপুল পরিমাণে বিদেশি মদ পায় তারা। সূত্রের খবর তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর বিদেশি মদের বোতল পাওয়া গেছে। এছাড়াও এলএসডি-র নেশা করত অভিনেত্রী , যার জন্য বেশ কিছু ব্লটিং পেপার এবং কিছু পরিমাণ মাদকও উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও আইস ড্রাগস ও ইয়াবাও উদ্ধার হয়েছে অভিনেত্রীর বাড়ি থেকে। এবার অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসবাদ করে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশের সিআইডি। উচ্চবিত্তের শারীরিক চাহিদা নাকি মেটাতে হতো পরীমণিকে।
শুধু লোকলজ্জার ভয়ে তিনি নাকি চুপ করে ছিলেন। পরীমণির এই বয়ানকে ঘিরে জোর চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। পরীমণির বয়ানের সত্যতা কতটা এবার তা যাচাই করা হবে। এবং ঘটনার সত্যতা প্রমাণ হলে সেইমতো ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। গত রবিবার মালিবাগে সিআইডি-র সদর দপ্তরে এই তথ্য দিয়েছেন সাংবাদিক ফারুক। এবং এই ঘটনার সঙ্গে আরও অন্যান্য পেশার লোকজনও জড়িত রয়েছেন। তাদের নামও উঠে আসছে একে একে। তবে পরীমণি বয়ানে যাদের নাম উল্লেখ করেছেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হতে পারে। এবং অপরাধী যতই প্রভাবশালী হন না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। গত ৪ আগস্ট বাংলাদেশের ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (RAB) অভিনেত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চালায়। এবং ব়্যাবের হাতেই গ্রেফতার নন অভিনেত্রী। পরেরদিন আদালতে তোলা হলে চারদিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয় অভিনেত্রীকে।
মাদক মামলার এই তদন্তের সময়ে শাকলায়েনের সঙ্গে সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন পরীমণি। একসঙ্গে গাড়ি নিয়ে ঘুরতেও বেড়াতেন তারা। এমনকী পরীমণির বাড়িতে যাতায়াতও ছিল পুলিশকর্তার। পরীমণির সঙ্গে অপেশাদার আচরণের জন্য শাকলায়েনকে তার নিজের দায়িত্ব থেকেও সরিয়ে দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। সূত্রের খবর, শাকলায়েনের সরকারি বাসভবনে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মোট ১৮ ঘন্টা সময় কাটিয়েছিলেন পরীমণি। সেই খবর পেতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। তারপরেই বাসভবনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। যেখানে দেখা যায়, গাড়ি থেকে সাদা পোশাকে নামলেন পরীমণি এবং যখন বেরোলেন তখন পোশাকের রং বদলে কালো হয়ে যায়।