পরীমণিকে নিয়ে উত্তাল বাংলাদেশ। মাদকচক্রের ঘটনার পরেই লাইভে আসেন ওপার বাংলার খ্যাতনাম পরিচালক মালেক আফসারী। লাইভে এসে তিনি জানান, 'আজ থেকে প্রায় সাত-আট মাস আগে পরী কিছু উল্টাপাল্টা ছবি ফেসবুকে দেয়, আমি দেখামাত্রই হুশিয়ার করছিলাম। বলেছিলাম এটা ঠিক নয়। উত্তরে পরীমণি বলেছিল, আপনি ডিরেক্টর ছবি ডিরেকশন দেওয়াটাই আপনার কাজ। আমাকে ডিরেকশন দিতে যাবেন না।' কিন্তু পরীর বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পরই ডিরেক্টর বলেন 'পরীমণি একজন নাটকবাজ'।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণিকে নিয়ে এই মুহূর্তে উত্তাল গোটা বাংলাদেশ। কিছুদিন আগেই ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ এনেছিলেন পরীমণি। অভিনেত্রীকে প্রথমে ধর্ষণ এবং তারপর মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে বলেই দাবি করেছেন পরী। এবার ওই বিতর্কের পরই পরীমণিকে নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের ঢাকা ট্রিবিউনে প্রকাশিত খবরেও দেখা যায়, গত বুধবার সকালে বাংলাদেশের ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (RAB) অভিনেত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চালায়। আচমকা তল্লাশি চালিয়ে যা বেরোল তা দেখে হতবাক সকলেই। পরীর বাড়িতে বিপুল পরিমাণে বিদেশি মদ পায় তারা।
সূত্রের খবর তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর বিদেশি মদের বোতল পাওয়া গেছে। সূত্রের খবর, তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৩০ টি বিদেশি মদের বোতল পাওয়া গেছে। এছাড়াও এলএসডি,ইয়াবা, আইস ড্রাগসের নেশা করত অভিনেত্রী। বেশ কিছু ব্লটিং পেপার এবং কিছু পরিমাণ মাদকও উদ্ধার হয়েছে। ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণির বাড়িতে অভিযান চালাতেই লাইভে এসে নিজের আতঙ্কের কথা জানান অভিনেত্রী। পরীমণি নিজের বাড়িকেই আস্ত একটা মিনি বার তৈরি করে ফেলেছিলেন, যেখানে মদ থেকে মাদক সবটাই মজুত ছিল। ২০১৬ সাল থেকেই মাদক সেবন করতেন অভিনেত্রী। তার এই মিনি বারে চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ এই সমস্ত মাদক সরবরাহ করতেন বলে জানা গেছে।
পরীমণিকে নিয়ে উত্তাল বাংলাদেশ। মাদকচক্রের ঘটনার পরেই লাইভে আসেন ওপার বাংলার খ্যাতনাম পরিচালক মালেক আফসারী। লাইভে এসে তিনি জানান, 'আজ থেকে প্রায় সাত-আট মাস আগে পরী কিছু উল্টাপাল্টা ছবি ফেসবুকে দেয়, আমি দেখামাত্রই হুশিয়ার করছিলাম। বলেছিলাম এটা ঠিক নয়। উত্তরে পরীমণি বলেছিল, আপনি ডিরেক্টর ছবি ডিরেকশন দেওয়াটাই আপনার কাজ। আমাকে ডিরেকশন দিতে যাবেন না।' কিন্তু পরীর বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পরই ডিরেক্টর বলেন 'পরীমণি একজন নাটকবাজ'।
আরও পড়ুন-পর্ণকাণ্ডের জালে এবার ঢাকা, অভিনেত্রী পরিমণি-র গ্রেফতারিতে কেঁচো খুঁড়তে বের হল কেউটে
ঢাকা বোট ক্লাবের প্রসঙ্গ টেনেও লাইভে অনেক কথা বলেছেন মালেক। তিনি বলেছেন,'পরীর হয়ে ঢাকা বোট ক্লাবের ঘটনায় কথা বলতে গিয়ে মানুষের নানা কথা শুনতে হয়েছে আমাকে'। আরও বলেন,'পরী তো নাটকবাজ। ওর পক্ষে কথা বললে বিপদ আছে আমার। কারণ এর আগেও খুব সমস্যায় পড়েছি '। এছাড়াও ব়্যাব-কে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেছেন, 'দেরিতে হলেও ভালো কাজে নেমেছেন আপনারা। এই অভিযান দরকার ছিল। না হলে আমাদের যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যেত। কিন্তু কথা একটাই হেলেনা, পিয়াসা, মৌ সর্বশেষ পরীমণিকে শুধু আটক করলে হবে না। এদের পিছনে বড় বড় রাঘব বোয়ালদের হাত রয়েছে, তাদের সবার আগে বার করতে হবে।'
পরীমণিকে নিয়ে গোটা বাংলাদেশ উত্তাল হলেও এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ বাংলাদেশের লেখিকা তসলিমা নাসরিন। শুধু তাই নয় পুলিশের রিপোর্টের ভিত্তিতে আট পয়েন্টের পরীমণির অপরাধ তালিকাও সাজিয়েছেন তসলিমা। কী কী অপরাধ করেছে পরীমণি, দেখে নিন একনজরে,
পিরোজপুর থেকে ঢাকায় এসে স্মৃতিমণি ওরফে পরীমণি সিনেমায় চান্স পেয়ে গিয়েছে রাতারাতি।
পরীমণির বাড়িতে বিদেশি মদের বোতল পাওয়া গেছে।
পরীমণি প্রচুর পরিমাণে মদ্যপান করে, বর্তমানে সে মাদকাসক্ত।
পরীমণি নিজের বাড়িকেই আস্ত একটা মিনি বার তৈরি করে ফেলেছিলেন, যেখানে মদ থেকে মাদক সবটাই মজুত ছিল।
২০১৬ সাল থেকেই মাদক সেবন করতেন অভিনেত্রী। তার এই মিনি বারে চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ এই সমস্ত মাদক সরবরাহ করতেন বলে জানা গেছে।
নজরুল ইসলাম নামের এক প্রযোজক তাকে সাহায্য করেছিল সিনেমায় নামতে। পরীমণির বাড়িতে আসে মাঝেমধ্যেই তারা একসঙ্গে মদ্যপান করে।
এলএসডি,ইয়াবা, আইস ড্রাগসের নেশা করত অভিনেত্রী পরিমণি। ডিজে পার্টি হতোও পরীমণির বাড়িতে।
মদ খাওয়ার বা সংগ্রহ করার লাইসেন্স আছে পরীমণির, তবে তার মেয়াদ পার হয়ে গেছে, সে এখনও রিনিউ করেনি ।
তসলিমা নাসিরন দাবিতে জানিয়েছেন, এগুলো কোনও অপরাধের মধ্যে পড়ে না, কিন্তু তাতেও কেন পরীকে গ্রেফতার করা হল। প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেছেন,পরীমণি পর্নো ছবির সঙ্গে যুক্ত ছিল। না এটিরও প্রমাণ কিছু দেখানো হয়নি। মদ খাওয়া, মদ রাখা, ঘরে মিনিবার থাকা কোনওটিই অপরাধ নয়। বাড়িতে বন্ধু বান্ধব আসা, এক সঙ্গে মদ্যপান করা অপরাধ নয়। বাড়িতে ডিজে পার্টি করা অপরাধ নয়। কারও সাহায্য নিয়ে সিনেমায় নামা অপরাধ নয়। কারো সাহায্যে মডেলিং এ চান্স পাওয়া অপরাধ নয়। কোনও উত্তেজক বড়ি যদি সে নিজে খায় অপরাধ নয়। ন্যাংটো হয়ে ছবি তোলাও অপরাধ নয়। লাইসেন্স রিনিউ-এ দেরি হওয়াও তো অপরাধ নয়।পরীমণির নাকি একাধিক বিয়ে করেছে, সেটিও কোনও অপরাধ নয়। অপরাধ তবে কোথায়? যে অপরাধের জন্য দামি গ্লেনফিডিশ হুইস্কিগুলো বাজেয়াপ্ত করা হলো, মেয়েটাকে গ্রেফতার করা হলো, রিমাণ্ডে নেওয়া হলো! যে কটা মদ ভর্তি বোতল দেখা গেল পরীমণির বাড়িতে, মদের লাইসেন্সধারীদের বেসমেন্টের সেলারে এর চেয়ে অনেক বেশি থাকে। একটা দুটো পার্টিতেই সব সাবাড় হয়ে যায়। পরীমণি আবার মদ শেষ হয়ে গেলে খালি বোতল জমিয়ে রাখে। বোতলগুলো দেখতে ভালো বলেই হয়তো। কী জানি, এও আবার অপরাধের তালিকার মধ্যে পড়ে কিনা। সত্যিকার অপরাধ খুঁজছি। কাউকে কি জোর করে মাদক গিলিয়েছে, মদ গিলিয়েছে, কারও সঙ্গে প্রতারণা করেছে মেয়েটি? ধাপ্পা দিয়ে ব্যাংকের হাজার কোটি টাকা পকেটে ভরেছে? কাউকে খুন করেছে? অনেকে বলছিল খুব গরিব ঘর থেকে উঠে এসে ধনী হয়েছে পরীমণি। গরিব থেকে ধনী হওয়া পুরুষগুলোকে মানুষ সাধারণত খুব প্রশংসা করে, কিন্তু মেয়ে যদি গরিব থেকে ধনী হয়, তাহলেই চোখ কপালে ওঠে মানুষের। কী করে হলো, নিশ্চয়ই শুয়েছে। যদি শুয়েই থাকে, তাহলে কি জোর করে কারো ইচ্ছের বিরুদ্ধে শুয়েছে? ধর্ষণ করেছে কাউকে? পুরুষেরা যেমন দিন রাত ধর্ষণ করে মেয়েদের, সেরকম কোনও ধর্ষণ। অপরাধ খুঁজছি। নাকি মেয়ে হওয়াটাই সবচেয়ে বড় অপরাধ?