বুধবার নিরাপত্তা বৈছক সেরেই সাংবাদিক সম্মেলন করেন হাসিনা সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি জানান মূলত নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই বন্ধ করা হয়েছে মুখোশ পরে শোভাযাত্রা। কেউ চাইলে মুখোশ হাতে অংশ নিতে পারেন। মূলত সন্ত্রাস রুখতেই হাসিনা সরকারের এই পদক্ষেপ।
প্রায় তিন দশক ধরে চলে আসা সাংস্কৃতিক রেওয়াজে ছেদ পড়তে চলেছে। পয়লা বৈশাখ উপলক্ষ্যে আয়োজিত বাংলাদেশের মঙ্গল শোভাযাত্রায় এবার আর দেখা যাবে না মুখোশ পরিহিত মানুষ। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এই বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্বৈরাচারী শাসনের বিরূদ্ধে সাধারণ মানুষের ঐক্য এবং একইসঙ্গে শান্তির বিজয় ও অপশক্তির অবসান কামনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের উদ্যোগে ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রবর্তন হয়। তখন এর নাম ছিল আনন্দ শোভাযাত্রা। প্রথম থেকেই এই আনন্দ শোভাযাত্রার অন্যতম আকর্ষণ ছিল হাতি, ঘোড়াস কুমীর, লক্ষ্মীপ্যাঁচা ইত্যাদির বিচিত্র মুখোশ। ২০১৬ সালে এই মঙ্গল শোভাযাত্রাকে কুর্ণিশ জানিয়েছে ইউনেস্কো। জুটেছে অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তকমা। সেই শোভাযাত্রা থেকেই এবার বাদ পড়তে চলেছে মুখোশ।
বুধবার নিরাপত্তা বৈছক সেরেই সাংবাদিক সম্মেলন করেন হাসিনা সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি জানান মূলত নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই বন্ধ করা হয়েছে মুখোশ পরে শোভাযাত্রা। কেউ চাইলে মুখোশ হাতে অংশ নিতে পারেন। মূলত সন্ত্রাস রুখতেই হাসিনা সরকারের এই পদক্ষেপ।
প্রসঙ্গত শুধু মুখোশ নয়, আরও বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করে হয়েছে এ বারের শোভাযাত্রায়। যেমন:
১ শোভাযাত্রায় ভুভুজোলা জাতীয় বাজনা সঙ্গে আনা চলবে না।
২ মাঝপথে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করা চলবে না।
৩ সন্ধে ৬টার মধ্যে অনুষ্ঠান চত্বর ত্যাগ করতে হবে।
৪ বিশেষ কয়েকটি গাড়ি ছাড়া কোনও গাড়ি ১৩ এপ্রিল অর্থাৎ অনুষ্ঠানের আগের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।
প্রসঙ্গত সন্ত্রাসের আশঙ্কা দূর করতে গোটা এলাকাই কড়া নজরদারিতে মুড়ে ফেলতে চাইছে হাসিনার সরকার। থাকছে পুরোদস্তুর অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাও।