হুহু করে দাম বাঁড়ছে পেঁয়াজের। আর সেই কারণেই পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে রীতিমত চোখের জলে নাকের জলে হতে হচ্ছে বাংলাদেশের বাসিন্দাদের। ঢাকার কাজীপাড়া বাজারে বৃহস্পতিবারই দেশী পেঁয়ার বিক্রি হয়েছিল ৫৫ টাকা কিলোদরে। কিন্তু শনি আর রবিবার সেই পেঁয়াজেরই জাম পৌঁছে গিয়েছে ৭০-৮০ টাকায়। আর ভারত থেকে যে পেঁয়াজ যাচ্ছে তা বিক্রি হচ্ছে কিলো প্রচি ৬০ টাকায়।
কিন্তু মাসখানেক আগেও ছবিটা ছিল একদম অন্যরকম। দেশী পেঁয়াজ বিক্রিয় গয়েছে মাত্র ৪০ টাকা কিলো দরে। আর ভারতের পেঁয়াজের দাম ছিল ২৫-৩০ টাকায়। বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের এই দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ভারতকেই দায়ি করা হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, প্রবল বৃষ্টির কারণে মজুত পেঁয়াজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর সেই কারণেই নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসতেও দেরী হবে। আর সেই কারণে রীতিমত আশঙ্কায় রয়েছেন বাংলাদেশের বাসিন্দারা। কারণে তাঁদের চাহিদার অনেকটাই পুরণ হয় ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজে। ইতিমধ্যেই স্থানীয় বাসিন্দা পেঁয়াজ মজুত করতে শুরু করেছেন। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন গত বছর তাঁকে ২৫০ টাকা কিলো দরে পেঁয়াজ কিনতে হয়েছিল। তাই এবার আগে থেকেই পেঁয়াজ মজুত করে রেখেছেন তিনি। ভারত থেকে আমদানি হওয়ার পেঁয়াজের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে বাংদেশের উৎপন্ন হওয়ার পেঁয়াজেরও দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন আড়তদার ও বিক্রেরা। এমনই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।
চিন-কে আটকাতে ভারতীয় সেনার সঙ্গে কাঁধ মেলাচ্ছে লাদাখবাসী, কালা পাহাড়ে যাচ্ছে জল ও খাবার ...
শীতের লাদাখ আর প্যাংগং-এ কেমন কাটবে ভারতীয় জওয়ানদের দিনরাত, চিনের পাশাপাশি লড়াই করতে হবে প্রকৃতির ব
'পাপ্পু' থেকে 'রাশি' হলেন রাহুল গান্ধী, সম্বিত পাত্রের পর এবার আসরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ...
গত বছর থেকেই পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি হতে শুরু করে। গতবছর পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৩ সেপ্টেম্বর ভারতে নিজেদের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাঁধে দিয়েছিল। একই সঙ্গে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজের রফতানি বন্ধও রাখা হয়েছিল। তাতেই প্রবল সংকটের মুখে পড়তে হয় বাংলাদেশকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আসরে নামতে হয়েছিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। কিন্তু চলতি বছর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের পথে হেঁটেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে বন্যা ও একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখিও হতে হয়েছে এই দেশটিকে। তাই সাধারণ মানুষের আয় অনেকটাই কমে গেছে। তারওপর নিত্যপ্রয়োজনীয় পেঁয়াজের এই মূল্যবৃদ্ধি ভাবিয়ে তুলেছে জনগণকে। শুধু পেঁয়াজ নয় একই সঙ্গে দাম বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস- চাল, ডালেরও। তাই ভবিষ্য়ৎ নিশ্চিত করতে অনেকেই মজুত করছে পেঁয়াজ।