২০২০ সালেই লকডাউনের কোপ পড়তে দেখা গিয়েছে বিনোদন জগতে। দিনের পর দিন ধরে সম্প্রচার হয়েছে পুরোনো এপিসোড। কখনও কখনও স্পেশাল শো করতে দেখা গিয়েছে সেলেবদের বাড়ি থেকে। তবে এবার ছবিটা ছিল অন্য। অধিকাংশ ধারাবাহিকই ব্যাঙ্কিং শ্যুট করে রেখেছিল। যার ফলে প্রথম ধাপের লকডাউনে তেমন কোনও সমস্যাই দেখা যায়নি। এরপরই বাড় এর মেয়াদ। এতেই বিপাকে সকলে। অধিকাংশ দর্শক মহলের কাছে ধারাবাহিকই এক কথায় লকডাউনের ভরসা।
আরও পড়ুন- বিছানায় ফেলে চুম্বন থেকে একাধিক নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক, লিপলকে কি 'পিএইচডি' করেছেন রণবীর
তাই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ার ফলে যখন বেজায় সমস্যায় পড়তে হয় বিভিন্ন মহলকে, ঠিক সেই সময়ই বেশ কিছু প্রযোজক বাড়ি থেকে শ্যুটিং চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। যেমন কৃষ্ণকোলি থেকে শুরু করে যমুনা ঢাকি, পর্ব শেষ, কিন্তু ধারাবাহিকের গল্প ধরে রাখতেই বাড়ি থেকেই সব তারকারা শ্যুট করে পাঠিয়ে দিচ্ছে চ্যানেলকে, এতেই প্রশ্ন করে বসে ফেডারেশন। ফেডারেশন অব সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে পাঠানো হয় চিঠি, বাড়িতে শ্যুটিং-এর কথা কেন জানানো হয়নি!
এরপরও থামে না বিবাদ। ফেডারেশনের কথায়, কেবল ওয়ার্ক ফর্ম হোমের মত, শ্যুট ফর্ম হোম করেই ক্ষ্যান্ত নেই প্রযোজক সংস্থারা, বরং বিষয়টা গিয়েছে উল্টে। রীতিমত হোটেল ভাড়া করে কেউ আবার হোটেলে থেকে শ্যুটিং চালাচ্ছেন। লকডাউনের নিয়ম বিধি মেনে কেবল এই টুকুই হয়েছে যে স্টুডিও পাড়া বন্ধ। অথচ দেদার শ্যুট চালাচ্ছে ‘মিঠাই’, ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’, ‘বরণ’, ‘খেলাঘর’ এতেই এবার ১৫ পাতার একটি বিবৃতি দিতে বিস্ফোরক মন্তব্য করে ফেডারেশন। লকডাউনের আইন লঙ্ঘন করা হচ্ছে। বলা হয়েছিল জরুরী পরিষেবা ছাড়া আর কিছুই খোলা থাকবে না। ধারাবাহিক নিঃসন্দেহে জরুরী ছিল না। তবে না জানিয়ে কেন এই পদক্ষেপ, এই নিয়ে রীতিমত সওয়াল তুলল ফেডারেশন, খতিয়ে দেখতে প্রশাসনের সহযোগিতাও নেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।