এ হারানোর যন্ত্রণা ঠিক মুখে প্রকাশ করার করার নয়। লিখে কিংবা ব্যক্ত করার চেষ্টাই বৃথা। কত বড় ক্ষতি তা প্রতিটা মানুষ জানেন। সাংস্কৃতিক জগতের এ যেন এক স্তম্ভ পতন। চলচ্চিত্র জগতের এক বড় ধ্বস। রবিবার রবীন্দ্র সদনে নেমেছিল হাজার হাজার মানুষের ঢল। শেষযাত্রায় সামিল প্রায় সকলেই। তবে থাকতে পারলেন না পরমব্রত চট্টোরপাধ্যায়।
শ্যুটিং-এর কাজে তিনি এখন ব্যস্ত। হিমাচলে থাকার কারণেই তিনি থাকতে পারলেন নাশে যাত্রায়। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় চলে যাওয়াটা কত বড় ক্ষতির আর কতটা কষ্টের তা ব্যক্ত করার চেষ্টাই ভুল। বললেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করে তুলে ধরলেন সেই কথাই।
লিখলেন-
অনেকে ওনাকে গুরু মানেন , শিক্ষক বলেন , আমার কাছেও অবশ্যই তাই , আমার নিজের একান্ত নিজের উদয়ন মাস্টার , কিন্তু সব ছাড়িয়ে উনি ছিলেন একজন পরম বন্ধু ! গত দেড় বছরে বিশেষ করে , যেমন তৈরি হয়েছিল শ্ৰদ্ধা , ভালোবাসা , তেমন ই হতো ছোট খাটো মতান্তর ও , যেমন হয় বন্ধুদের |
আজ জীবনের একটা অংশ চলে গেলো , বাদ হয়ে গেলো | একই সঙ্গে একজন শিক্ষক , পথ প্রদর্শক এবং বন্ধু হারালে কিরকম লাগে সেটা বলার চেষ্টা করে বৃথা | সে পথ এ যাবো না| কাজের কারণ এ হিমাচল প্রদেশ এ আছি | শেষ যাত্রা এ থাকতে পারছি না | এক দিকে ভালোই , এ দুঃখ নিভৃতে,নির্জনে, একান্তেই মানায় | হাত জোড় করে অনুরোধ করছি সংবাদ মাধ্যম এর বন্ধু দের কাছে , 'প্রতিক্রিয়া ' জানতে চেয়ে ফোন করবেন না ! এ বারের টায় ছেড়ে দিন ! এ বিয়োগ বড়ো ব্যক্তিগত , এ কষ্ট শব্দের নয়, একার |