আজ ৩ রা সেপ্টেম্বর মহানায়কের জন্মবার্ষিকী। মহানায়কের জন্মবার্ষিকীতে বাঙালির মন ভারাক্রান্ত। বাংলা ছবির প্রাণপুরুষ তিনি, উত্তমের ম্যাজিকে আজও মজে আপামর বাঙালি। বিখ্যাত চিত্র সাংবাদিক উৎপল সরকার তার তোলা বিভিন্ন দুর্লভ ছবি একটা সময়ে সংবাদপত্রের শিরোনামে স্থান পেয়েছে। এমনকী ক্রিকেটের ময়দান থেকে ফুটবল ম্যাচে তোলা বহু ছবিও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও স্থান করে নিয়েছিল একটা সময়ে। সেই চিত্র সাংবাদিক উৎপল সরকার তার কর্মজীবনের শুরুর দিনগুলোর কথা শেয়ার করেছেন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার সঙ্গে। সেই সময় তিনি এক উঠতি চিত্র সাংবাদিক এবং অ্যাসাইনমেন্টে গিয়েই মহানায়কের সঙ্গে দেখা হয় উৎপল সরকারের। অভিনেতার জন্মদিনে স্মৃতির সরনি বেয়ে পুরোনো দিনে ফিরে গেলেন চিত্রসাংবাদিক উৎপল সরকার।
বাঙালির হার্টথ্রব উত্তম কুমার। মহানায়কের জীবনটাই যেন পুরো একটা সিনেমার গল্প। আজ তিনি আর নেই, পরে রয়েছে শুধু স্মৃতিটুকুই। তবে যা কিছু তিনি দিয়ে গেছেন, তা আর দ্বিতীয়টি গড়ে তোলা সম্ভব হবে না। কারণ তিনি হলেন বাঙালির মহানায়ক। তাকে নিয়ে নানান গল্প রয়েছে বাঙালির মননে। তার মৃত্যু যেন বাঙালির সিনেমার এক অধ্যায়ের শেষের সূচনা। আজ ৩ রা সেপ্টেম্বর মহানায়কের জন্মবার্ষিকী। মহানায়কের জন্মবার্ষিকীতে বাঙালির মন ভারাক্রান্ত। বাংলা ছবির প্রাণপুরুষ তিনি, উত্তমের ম্যাজিকে আজও মজে আপামর বাঙালি।
বিখ্যাত চিত্র সাংবাদিক উৎপল সরকার তার তোলা বিভিন্ন দুর্লভ ছবি একটা সময়ে সংবাদপত্রের শিরোনামে স্থান পেয়েছে। এমনকী ক্রিকেটের ময়দান থেকে ফুটবল ম্যাচে তোলা বহু ছবিও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও স্থান করে নিয়েছিল একটা সময়ে। সেই চিত্র সাংবাদিক উৎপল সরকার তার কর্মজীবনের শুরুর দিনগুলোর কথা শেয়ার করেছেন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার সঙ্গে। সেই সময় তিনি এক উঠতি চিত্র সাংবাদিক এবং অ্যাসাইনমেন্টে গিয়েই মহানায়কের সঙ্গে দেখা হয় উৎপল সরকারের। অভিনেতার জন্মদিনে স্মৃতির সরনি বেয়ে পুরোনো দিনে ফিরে গেলেন চিত্রসাংবাদিক উৎপল সরকার।
পার্ক হোটেলে 'অমানুষ' সিনেমার গোল্ডেন জুবিলির পার্টিতে 'মহানায়ক' উত্তম কুমারের সঙ্গে চিত্রসাংবাদিক উৎপল সরকার
চিত্রসাংবাদিক উৎপল সরকার জানিয়েছেন, ভদ্র লোক আমার কোমরে হাত দিয়ে ছবি তুলেছেন। আমি ভাগ্যবান সেদিন এই ডায়লগটা ছিল এরকম, 'এই যে ফোটোগ্রাফার সবার ছবি যে তুলছ, তোমরটা কে তুলবে? এস দেখি তো '। সেদিনের ছবিটা তুলেছিলেন শ্রদ্ধেয় পরিচালক অজয় বিশ্বাস। পার্ক হোটেলে 'অমানুষ' সিনেমার গোল্ডেন জুবিলির পার্টিতে। সালটা সম্ভবত ১৯৮০। আসলে সবার ছবি তুলতে তুলতে আমারও খুব ইচ্ছা হচ্ছিল ওনার সঙ্গে একটা ছবি তোলার। উনিও ঠিক লক্ষ করেছিলেন। তাই আজও শাহরুখ কিংবা অমিতাভ নয়, আজও আমার ফ্লিমিগুরু উত্তম বাবু। জন্মদিনে তাই আবারও বলি 'জয় গুরু'। মহানায়কের সঙ্গে তোলা ছবি স্মৃতির মণিকোঠায় আজও উজ্জ্বল। উত্তমের ম্যাজিক আজও অমলিন চিত্রসাংবাদিক উৎপল সরকারের হৃদয়ে। তবে এই মহানায়কের জীবনটা ছিল যেন একটা জীবন্ত সিনেমা। কেরিয়ারের শুরুতেই ৭ টি ছবি পরপর ফ্লপ। ইন্ডাস্ট্রি 'ফ্লপ মাস্টার জেনারেল' উপহার দিয়েছিল উত্তমকে। তারপরই তার নায়কসত্ত্বা বেরিয়ে এসেছিল। দাপুটে নায়কই ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছিলেন মহানায়ক। প্রথম দিকে ভাল সংলাপ না বলতে পারা উত্তম কুমারই নিজের প্রতিভা আর শ্রমকে অন্য উচ্চতায় তুলে আনেয ১৯৬৫-এর পরবর্তী সময়ে উত্তম যেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। ১৯৭০ -এর পর থেকে উত্তম হয়ে উঠেছিলেন সকলের 'মহানায়ক'।
আরও পড়ুন-মৃত্যুর হাত থেকে কীভাবে বেঁচে ফিরেছিলেন উত্তম কুমার, জন্মদিনে ফিরে দেখা 'মহানায়ক'-কে