হাজারো কাজ শেষ করতে গিয়ে রাতে দেরিতে ঘুমোতে যাচ্ছেন আবার সকাল উঠেই বেরিয়ে পড়ছেন কর্মক্ষেত্রে। আর এসবের কারণেই ঘুমটা পর্যাপ্ত পরিমাণে হচ্ছে না। এই অনিয়মিত ঘুমের কারণেই শরীরে দানা বাঁধছে নানান রোগ। অনেকেই ভাবছেন শরীর একদম সুস্থ আছে, কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কাজের চাপ, মানসিক স্ট্রেস, কম ঘুমের জন্যই জটিল রোগের শিকার হচ্ছেন আপনি। অপর্যাপ্ত ঘুমই ডেকে আনছে এই বিপদগুলি।
সারাদিনে অক্লান্ত পরিশ্রমের পর রাতের ঘুম ভীষণ জরুরি। কিন্তু সেটাই আর সম্ভব হচ্ছে না। হাতের কাজ শেষ হতে না হতেই আরেকটা কাজ এসে উপস্থিত। আর কাজের চাপের ফলে ঘুমটাই আর হচ্ছে না। হাজারো কাজ শেষ করতে গিয়ে রাতে দেরিতে ঘুমোতে যাচ্ছেন আবার সকাল উঠেই বেরিয়ে পড়ছেন কর্মক্ষেত্রে। আর এসবের কারণেই ঘুমটা পর্যাপ্ত পরিমাণে হচ্ছে না। এই অনিয়মিত ঘুমের কারণেই শরীরে দানা বাঁধছে নানান রোগ। অনেকেই ভাবছেন শরীর একদম সুস্থ আছে, কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কাজের চাপ, মানসিক স্ট্রেস, কম ঘুমের জন্যই জটিল রোগের শিকার হচ্ছেন আপনি। অপর্যাপ্ত ঘুমই ডেকে আনছে এই বিপদগুলি।
কম ঘুমের জন্য নানা রোগের সৃষ্টি হয়। যেমন অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে বেড়ে যায় হৃদরোগের সম্ভাবনা। কম ঘুম হৃদপিন্ডের স্পন্দনে ব্যাঘাত ঘটায়। দীর্ঘদিন কম ঘুমোলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা যেমন বেড়ে যায় তেমনি এর পাশাপাশি হার্ট ফেইলিওরও হতে পারে। এছাড়া ব্লাডপ্রেসার, ডায়াবেটিস-এর মতো কঠিন রোগগুলি চিরতরে বাসা বাঁধবে আপনার শরীরে। কম ঘুমের জন্য শরীর ম্যাজম্যাজে লাগে। যার ফলে কোনও কাজই করতে ভাল লাগে না। সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব লাগবে। যখনই এরকম কোনও লক্ষণ দেখবেন তখনই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ডাক্তারের পরিভাষায় এই রোগকে নারকোলেন্সি বলে। এটি খুবই মারাত্মক একটি রোগ। এই রোগ না ঘুমের কারণেই হয়। সারাদিন ঝিমঝিম ভাব,কী কাজ করছেন মনে রাখতে পারছেন না, কাজ করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ছেন। এইগুলি হলে আগেই সাবধান হতে হবে।
অনেকসময় ঘুমের মধ্যে স্লিপিং প্যারালাইসিস হবারও সম্ভাবনা বেশি থাকে। কম ঘুমের কারণে অনেকসময় হাত পা শিথিল হয়ে আসে। ঠিকমতো নাড়ানো পর্যন্ত যায় না। তাই সারাদিনে খুব কম করেও ৬-৭ ঘন্টা ঘুমোনো অবশ্যই দরকার। দীর্ঘদিন এই কম ঘুম হলে ধীরে ধীরে শরীরে বাসা বাধবে নানান রোগ। যেমন হাইপ্রেসার,মাথা ব্যথা, চোখের সমস্যার মতো নানা রোাগ শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে। তাই রাতে ভাল মতো ঘুমানোর জন্য ভাল খাবারও খেতে হবে। ডিজিট্যাল মাধ্যমে আপডেট থাকাই যেন নতুন প্রজন্মের কাছে হাল ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। এছাড়া ক্লাস থেকে শুরু করে অফিস সবটাই অনলাইনে চলছে বর্তমানে। বলতে গেলে দিনের অর্ধেকটা সময়ই কেটে যাচ্ছে ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারে। যত দিন যাচ্ছে, তত মানুষ যেন মেশিনে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। সারাদিনের ২৪ ঘন্টা যেন কম হয়ে যাচ্ছে প্রতিটা মানুষের জন্য। সারাদিনতো আছেই, এর পাশাপাশি রাতের ঘুমোনোর সময়েও বাড়েছে মোবাইল ঘাটার প্রবণতা। যতক্ষণ ঘুম আসছে না ততক্ষণই চলতে থাকে ফেসবুক,হোয়াটসঅ্যাপও এছাড়া আরও নানা সাইটে চোখ বোলানো। যা চরম ক্ষতি করছে শরীরের পাশাপাশি মস্তিষ্ক ও চোখের।