বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩ লক্ষ ছাড়াল, এবার ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ট্রায়ালের পথে অক্সফোর্ড

  • এবার দ্বিতীয় দফায় মানবদেহে প্রয়োগ হবে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের
  • ১০ হাজারের বেশি মানুষের উপর প্রয়োগ করা হবে ভ্যাকসিন
  • প্রথম দফায় ১৬০ জন মানুষের ওপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ হয়
  • দ্বিতীয় দফায় বয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদের উপর প্রয়োগ করা হবে

Asianet News Bangla | Published : May 23, 2020 5:35 AM IST

করোনা মহামারী রুখতে চাই ভ্যাকসিন। আর সেই ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টায় রাত-দিন কাজ করে চলেছেন বিভিন্ন দেশের গবেষক ও বিজ্ঞানীরা। এই অবস্থায় ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের প্রস্তুত করা করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিনটি নতুন করে আরও ১০ হাজার ২৬০ জন ব্যক্তির  উপর প্রয়োগ করার পরিক্লপনা করেছে ওষুধটির প্রস্তুতকারী সংস্থা আস্ট্রাজেনেকা। যার মধ্যে ৫০ থেকে ৭০ বছরের প্রাপ্তবয়স্ক ও প্রৌঢ় ব্যক্তি যেমন থাকবেন তেমনি এবার থাকবে শিশুরাও, এমনটাই জানাচ্ছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ।

নভেল করোনাভাইরাসের বিষাক্ত ছোবলে ভয়াবহ বিপর্যয়ে মুখে গোটা বিশ্ব। এরই মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩  লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৪০  হাজারেরও বেশি মানুষের। তবে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের অনুমোদিত ওষুধ বা টিকা আবিষ্কার হয়নি পৃথিবীতে। বিভিন্ন দেশে করোনা প্রতিরোধী টিকা ও ওষুধ আবিষ্কারের প্রচেষ্টা চলছে। এরমধ্যে মাত্র কয়েকটি ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলকভাবে মানুষের শরীরে  প্রয়োগ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আভাস দিয়েছেন, নিরাপদ ও কার্যকর রোগ প্রতিরোধী ভ্যাকসিন পেতে খনও  ১২-১৮ মাস সময় লাগতে পারে।

এই পরিস্থিতিতে গত ২৩ এপ্রিল মানুষের  শরীরে করোনাভাইরাসের টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করে অক্সফোর্ড ও আস্ট্রাজেনেকা। সেইসময় ১ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে এই টিকা প্রয়োগ করা হয়। তাদের বয়স ছিল ১৮ থেকে ৫৫ বছর। অক্সফোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এবার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ ধাপে ৫৬ বছর কিংবা তার বেশি বয়সীরা যেমন থাকবেন, তেমনি ৫ থেকে ১২ বছরের শিশুরাও থাকবে।

এর আগে সম্ভাব্য এই টিকাটি চ্যাডওক্স এনকোভ-১৯ নামে পরিচিত ছিল। এখন এটির এজেডডি১২২  নামকরণ করা হয়েছে। টিকাটি উদ্ভাবন করেছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি  আর উৎপাদনের  লাইসেন্স পেয়েছে আস্ট্রাজেনেকা।

অক্সফোর্ড গবেষণা দলের প্রধান এন্ড্রিউ পোলার্ড বলেন, মানবদেহের ওপর ভ্যাকসিনটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ খুব ভালোভাবে চলছে। এখন পর্যন্ত কোনো খারাপ খবর আমাদের কানে আসেনি। আমরা দেখছি, কীভাবে ভ্যাকসিনটি মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। এর প্রতিক্রিয়া কী এবং জনসাধারণের জন্য এটি নিরাপদ কি না। তবে এখনো নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না এটি সর্বসাধারণের ব্যবহারের উপযুক্ত হয়েছি কি হয়নি। তিনি আরও বলেন, এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছি না এই ভ্যাকসিন মানবদেহে সম্পূর্ণ কার্যকর হয়ে যাবে। গবেষণার সব ধাপ পার হলে তা পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Share this article
click me!