৭০ ঘন্টা, ৯০ ঘন্টা, ১২০ ঘন্টা কাজ নিয়ে दिग्गजদের মন্তব্যের পর এবার বিল গেটস। ধনী হওয়ার পরেও সপ্তাহে ৮০ ঘন্টা কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। আইটি কর্মক্ষেত্রে কর্মঘন্টা নিয়ে বড়সড় পরিবর্তন আসছে কি?
নয়াদিল্লি (ফেব্রুয়ারি ১০): সপ্তাহে কত ঘন্টা কাজ করতে হবে, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি সপ্তাহে ৭০ ঘন্টা কাজ अनिवार्य বলেছিলেন। এল অ্যান্ড টি-র চেয়ারম্যান এস এন সুব্রহ্মণ্যম ৯০ ঘন্টা কাজের কথা বলেছিলেন। এরপর এলন মাস্ক ১২০ ঘন্টা কাজের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছিলেন। এবার বিল গেটসের পালা। মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এবার সপ্তাহে ৮০ ঘন্টা কাজের কথা বলেছেন। বিল গেটসের এই মন্তব্যের পর কর্মঘন্টা নিয়ে বড়সড় পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিতর্কের মধ্যেই সিএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিল গেটস কর্মঘন্টা নিয়ে কথা বলেছেন। ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি সফলতা পাননি। অনেক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে তাঁর জীবন কেটেছে। কিন্তু কঠোর পরিশ্রমের ফলে মাইক্রোসফট একটি বৃহৎ সংস্থায় পরিণত হয়েছে। মাইক্রোসফট গড়ে তোলার জন্য তিনি ভালো অবস্থানে পৌঁছেছেন। ধনী হওয়ার পরেও তিনি সপ্তাহে ৮০ ঘন্টা কাজ করতেন বলে জানিয়েছেন বিল গেটস।
কর্মঘন্টা নিয়ে বিতর্কের বিষয়ে বিল গেটসও কথা বলেছেন। ৮০ ঘন্টা কাজ अनिवार्य ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। একের পর এক दिग्गज কর্মঘন্টা বাড়ানোর কথা বলছেন। এর প্রভাব কর্মীদের উপর পড়তে পারে। কারণ নারায়ণ মূর্তি সপ্তাহে ৭০ ঘন্টা কাজ করার কথা বলে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন। নারায়ণ মূর্তি এবং এস এন সুব্রহ্মণ্যমের বক্তব্য ভারতে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। কর্মী, বেশ কয়েকজন সিইও, প্রতিষ্ঠাতা এই অবস্থানের বিরোধিতা করেছিলেন। আন্তর্জাতিক स्तরে এই বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ার পর বেশিরভাগ दिग्गज সমর্থন জানিয়েছিলেন।
বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যবসায়ী এলন মাস্ক সপ্তাহে ১২০ ঘন্টা কাজ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। আমেরিকার কর্মকর্তারা ১২০ ঘন্টা কাজ করার কথা বলেছিলেন। এইভাবে সপ্তাহের সাত দিনই কাজ করতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ১৪ থেকে ১৭ ঘন্টা কাজ করতে হবে। সপ্তাহান্তে, অর্থাৎ শনিবার ও রবিবার ছুটি নিতে হলে প্রতিদিন ২৪ ঘন্টা কাজ করতে হবে। এই বিতর্কের পর বিল গেটসও ৮০ ঘন্টা কাজের কথা বলেছেন।