ঘোষিত হল ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের সাধারণ বাজেট। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর আয়কর ছাড়ের ঘোষণা মধ্যবিত্তদের স্বস্তি দিয়েছে। জানানো হয়েছে যারা বার্ষিক সাত লক্ষ পর্যন্ত আয় করেন তাদের আর কোনও কর দিতে হবে না
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ বাজেট। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ভোটমুখী এই বাজেটে জনমোহনী একাধিক দিক থাকবে বলেই আশা করেছিল বিশেষজ্ঞ মহল। সরকারের পক্ষ থেকে এই বাজেটকে মধ্যবিত্তের স্বার্থে করা বাজেট বলে উল্লেখ করা হলেও মোদীর 'অমৃতকালের প্রথম বাজেট নিয়ে দ্বিমত রয়েছে বিরোধী শিবিরে। তবে কি বলছেন টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেসের এমডি এবং সিইও রাজেশ গোপিনাথন। শুধু তিনিই নন, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন দেশের বিখ্যাত কিছু কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তারা।
রাজেশ গোপিনাথন বলছেন “মাননীয় অর্থমন্ত্রীর কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৩ ভারতের ডিজিটাল পরিকাঠামো উন্নত করা এবং ভারতীয় অর্থনীতির জন্য প্রবৃদ্ধির পথগুলিকে সক্ষম করার রাস্তা পরিষ্কার করবে। এগুলির উপর সরকারের ফোকাসকে আরও মজবুত করবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ফাইভ জি বাস্তবায়নে গবেষণা এবং মেক এআই ইন ইন্ডিয়ার জন্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি প্রশংসনীয়। ন্যাশনাল ডেটা গভর্নেন্স নীতিতে আনার পদক্ষেপও স্বাগত জানানোর মত সিদ্ধান্ত। সব মিলিয়ে এটি একটি দূরদর্শী বাজেট যা দেশের ডিজিটাল মেরুদণ্ডকে শক্তিশালী করবে।”
অন্যদিকে টাটা ক্যাপিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সরস আমরিয়ার কাছ থেকে বাজেটের পরে প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে। তিনি বলেন আমরা এই #AmritKaalBudget-এ সরকারের এই শক্তিশালী সমর্থনকে স্বাগত জানাই। ডিজি-লকার ডিজিটাল অ্যাপ্লিকেশনের প্রক্রিয়া সহজ করতে সাহায্য করবে এবারের বাজেট। সংশোধিত ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমে নয় হাজার কোটির বরাতও MSME-কে সাহায্য করবে। দুই লক্ষ কোটি টাকার অতিরিক্ত জামানত ছোট ব্যবসার জন্য কার্যকরী মূলধনের ব্যবধান পূরণ করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
বাজেটের পর প্রতিক্রিয়া দেন ভোলটাস লিমিটেডের এমডি ও সিইও প্রদীপ বক্সী। তাঁর মতে "বাজেট ২০২২-২৩ এই সেক্টর জুড়ে বৃদ্ধির জন্য একটি প্রেরণা যোগাবে, যা অর্থনীতিকে দ্রুত গতিতে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করবে৷ ২০২৩ সালের বাজেটে অর্থমন্ত্রীর নেওয়া পদক্ষেপগুলি কেবল দেশীয় সক্ষমতা তৈরিতে সহায়তা করবে না বরং পরিকাঠামোকেও উত্সাহিত করবে, যা শিল্প জুড়ে বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান উভয়ই তৈরি করবে। আমাদের মেক ইন ইন্ডিয়া এবং "আত্মনির্ভর ভারত" এর স্বপ্নের সাথে সামঞ্জস্য রেখে মূলধন ব্যয়ের সামগ্রিক বৃদ্ধি বাড়াবে।
পাশাপাশি ন্যাশনাল বাল্ক হ্যান্ডলিং কর্পোরেশন বা এনবিএইচসি-র এমডি ও সিইও রমেশ দোরাইস্বামী জানান, "ইউনিয়ন বাজেট ২০২৩-২৪ ফার্মগেটের পরিকাঠামোর উন্নতি এবং কৃষি ক্ষেত্রে আয়ের উন্নতির জন্য সহায়ক হবে। প্রযুক্তির ব্যবহার প্রচারের মূল ক্ষেত্রগুলির ওপর ফোকাস করার প্রস্তাব করে৷ কৃষির জন্য ডিজিটাল পাবলিক পরিকাঠামো তৈরি করার সিদ্ধান্ত বেশ প্রশংসনীয় কারণ এটি তথ্য পরিষেবার একটি উন্মুক্ত উত্স হবে।