আবেদনকারীকে নিকটতম ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যেতে হবে এবং একটি আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। আবেদনপত্রের সাথে প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হবে।
আপনি যদি খুব কম খরচে নিজের ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার আপনাকে ঋণ নেওয়া থেকে শুরু করে ভর্তুকি পর্যন্ত সুবিধা দিতে পারে। ছোটখাটো ব্যবসা হলেও শুরু করতে বেশ ভালো পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হয়ে থাকে। তবে এই বিনিয়োগের অর্থ নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না। আপনি সরকারের সহায়তায় একটি বড় সেটআপ স্থাপন করতে পারেন। এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার আপনাকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণও দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থান সৃষ্টি কর্মসূচি (PMEGP) হল একটি ক্রেডিট-লিঙ্কড সাবসিডি প্রোগ্রাম যা ক্ষুদ্র, মাঝারি ও শিল্প মন্ত্রক (MSME Ministry) দ্বারা পরিচালিত হয়। PMEGP এর উদ্দেশ্য দেশব্যাপী যুবকদের অকৃষি ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র উদ্যোগ স্থাপনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান করা। এতে ঋণের সুদের হার কম এবং ঋণের মেয়াদ দীর্ঘ। PMEGP এর অধীনে, ঋণের সুদের হার ১০.৫% থেকে ১২% প্রতি বছর। আর PMEGP এর অধীনে, ঋণের মেয়াদ ৫ বছর। এটি আবেদনকারীদের তাদের ঋণ পরিশোধের জন্য পর্যাপ্ত সময় দেয়। এই কর্মসূচির অধীনে, সরকার বেকার যুবকদের ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করে, যার মধ্যে ৩৫% পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হয়।
PMEGP এর জন্য, আবেদনকারীকে নিকটতম ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যেতে হবে এবং একটি আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। আবেদনপত্রের সাথে প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হবে। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান আবেদনটি পরীক্ষা করবে এবং ঋণ অনুমোদন করবে বা প্রত্যাখ্যান করবে। ঋণ অনুমোদিত হলে, আবেদনকারীকে ঋণ পাবে।
এছাড়া আবেদনকারীর একটি বৈধ আবাসস্থল প্রমাণের নথি জমা দিতে হবে। যেমন বিদ্যুত্ বিল, জলের বিল, টেলিফোন বিল ইত্যাদি। আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রমাণের নথি জমা দিতে হবে। যেমন মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট, উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট ইত্যাদি। আর সর্বশেষ আবেদনকারীকে একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা জমা দিতে হবে।
PMEGP এর জন্য, আবেদনকারীকে নিম্নলিখিত যোগ্যতা মানদণ্ডগুলি পূরণ করতে হবে:
১) বয়স: আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছরের বেশি হওয়া উচিত।
২) শিক্ষাগত যোগ্যতা: আবেদনকারীর কমপক্ষে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
৩) স্থায়ী ঠিকানা: আবেদনকারীর ভারতের একটি স্থায়ী ঠিকানা থাকতে হবে।
৪) স্বচ্ছ আর্থিক অবস্থা: আবেদনকারীর স্বচ্ছ আর্থিক অবস্থা থাকতে হবে।
PMEGP এর জন্য, আবেদনকারীকে একটি বৈধ পরিচয় প্রমাণের নথি জমা দিতে হবে। যেমন আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার আইডি ইত্যাদি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।