
আপনি যদি এই নিয়মগুলি অনুসরণ না করেন, তাহলে আপনাকে কর ফাঁকির মামলায় জরিমানা দিতে হতে পারে এবং আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে।
অর্থ লেনদেনের নিয়ম: ভারতে আয়কর আইনের অধীনে, অর্থ লেনদেনের বিভিন্ন নিয়ম এবং সীমা রয়েছে। এই নিয়মগুলি অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক। এর মাধ্যমে আপনার অর্থকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব। আয়কর বিভাগের দৃষ্টিতে, অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত অনিয়মকে কর ফাঁকি হিসেবে বিবেচনা করা হতে পারে। কর ফাঁকি দিলে কঠোর জরিমানা এবং আইনি ব্যবস্থার সম্মুখীন হতে হবে। তাই এই লেখায় অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নিয়মগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
একদিনে ২ লক্ষ টাকা: ভারতীয় আয়কর আইন অনুসারে, একই দিনে ২ লক্ষ টাকার বেশি নগদ গ্রহণ করলে, তা নিয়মের পরিপন্থী। একজন ব্যক্তি যদি একই দিনে বিভিন্ন উৎস থেকে ২ লক্ষ টাকার বেশি নগদ গ্রহণ করেন, তবে তা বেআইনি বলে বিবেচিত হবে। ফলস্বরূপ, আয়কর বিভাগ আপনাকে জরিমানা করতে পারে। ধারা ২৬৯ST এর অধীনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।
ব্যবসায়িক খরচ: আপনি যদি ব্যবসার জন্য খরচ করেন, তাহলে মনে রাখতে হবে যে ১০,০০০ টাকার বেশি নগদ খরচ করা যাবে না। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি কোনও সরবরাহকারীকে নগদ ১৫,০০০ টাকা প্রদান করেন, তাহলে এই খরচ আপনার কর গণনায় অন্তর্ভুক্ত হবে না। পরিবহনকারীদের জন্য এই সীমা ৩৫,০০০ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায় অতিরিক্ত নগদ ব্যবহার রোধ করতে এবং কর ফাঁকির ঘটনা কমাতে এই ধরনের খরচ নিয়ম থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
ঋণ গ্রহণ / প্রদান: আয়কর আইন অনুসারে, ২০,০০০ টাকার বেশি নগদ ঋণ বা আমানত গ্রহণ বা প্রদান করলে, তা নিয়ম লঙ্ঘন। অর্থাৎ কারও কাছ থেকে নগদ ২৫,০০০ টাকা ঋণ নিলে তা আইনবিরুদ্ধ। এই ধরনের লেনদেনের জন্য ১০০% জরিমানা হতে পারে। ২৬৯SS এবং ২৬৯T ধারায় ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
বিবাহ এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত খরচ: বিবাহের মতো ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে ২ লক্ষ টাকার বেশি নগদ প্রদান করলেও আয়কর আইনের আওতায় ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এই সীমার বেশি নগদ প্রদান করলে, উভয় পক্ষকেই আয়কর বিভাগের তদন্তের সম্মুখীন হতে হতে পারে।
প্যান কার্ড বাধ্যতামূলক: ব্যাংকে ৫০,০০০ টাকা বা তার বেশি নগদ জমা করার সময়, আপনার প্যান নম্বর প্রদান করা বাধ্যতামূলক। এছাড়াও, একটি অর্থবছরে আপনার জমা করা মোট অর্থ যদি ১০ লক্ষ টাকার বেশি হয়, তাহলে আয়কর বিভাগকে অবহিত করতে হবে।
সম্পত্তি ক্রয় / বিক্রয়: ২ লক্ষ টাকার বেশি সম্পত্তি ক্রয় বা বিক্রয় করলে, নগদ ব্যবহার নিষিদ্ধ। এই ধরনের লেনদেনের জন্য আপনাকে চেক, ডিমান্ড ড্রাফ্ট বা অনলাইন লেনদেনের মতো ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করতে হবে।
সতর্কতা প্রয়োজন: আয়কর বিভাগ অর্থ লেনদেনের উপর বিশেষ নজর রাখছে। আপনি যদি এই নিয়মগুলি অনুসরণ না করেন, তাহলে আপনাকে কর ফাঁকির মামলায় জরিমানা দিতে হতে পারে।
এড়াতে, সব লেনদেন নিয়ম মেনে করতে হবে।
এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে আয়কর সংক্রান্ত সমস্যা এড়ানো যাবে।