ফোর্বসের মতে এলন মাস্ক আর বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি নন। টেসলার শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় এখন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির শিরোপা লুই ভিটনের সিইও বার্নার্ড আর্নল্ট -এর মাথায়।
বিশ্বমন্দার যুগে হু হু করে কমছে বিশ্বের ধনকুবেরদের আয়। কিছুদিন আগে এক সমীক্ষা দাবি করেছিল যে বিশ্বমন্দায় সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন টুইটার , মেটা অ্যামাজন ও টেসলার মতো কোম্পানির কর্ণধাররা। কারণ করোনাকালের পর থেকেই পুরোপুরি ধ্বসে গেছে বিশ্বের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা। সম্প্রতি ফোর্বসের একটি রিপোর্ট এই বিষয়টির চুলচেরা বিশ্লেষণ করে বলেন যে এই দাবি সর্বৈব সত্য।
ফোর্বসের মতে এলন মাস্ক আর বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি নন। টেসলার শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় এখন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির শিরোপা লুই ভিটনের সিইও বার্নার্ড আর্নল্ট -এর মাথায়।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইনডেক্স অনুসারে এই মঙ্গলবার পর্যন্ত ছিল টেসলার শেয়ারের মূল্য ছিল ১৬৪ ডলার এবং সেই জায়গায় লুই ভিটনের শেয়ার মূল্য হয় ১৭১ ডলার। মঙ্গলবার শেয়ার প্রতি এলন ৪ ডলার করে ক্ষতি করেছেন সেই জায়গায় ৭৩ বছর বয়সী আর্নল্ট শেয়ার প্রতি লাভ করেছেন ৪.১৩ ডলার।
অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোজকে পিছনে ফেলে ২০২১ এর সেপ্টেম্বরে এলন হয়ে ওঠেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। কিন্তু সেই শিরোপা এখন ছিনিয়ে নিলেন আর্নল্ট। বিশ্বের বৃহত্তম বিলাসবহুল দ্রব্যের ফার্ম হিসেবে তিনি তৈরী করেন লুই ভিটন, টিফানি, সেলিন এবং ট্যাগ হিউয়ের-এর মতো ব্র্যান্ড। ২০২০ তে এই ব্যবসায় খানিক টানাপোড়েন দেখা গেলেও। কোরোনাকাল কাটতেই বদলে যায় মার্কেট। তাই ২০২১ এ আবার নতুন স্ট্রাটেজি নিয়ে শুরু করেন ব্যবসা। রিহানা, লুই ভিটন, মার্ক জ্যাকবস, ডম পেরিগনন (ওয়াইন), এবং লুই ভিটন (মেক-আপ) এর ফেন্টি বিউটি সহ প্রায় ৭০ টি ব্যবসার মালিক আর্নল্ট ঘুরে দাঁড়ান ২০২১ সাল থেকেই। এখন তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি।
পরিসংখ্যান বলছে টেসলার বিক্রি হার প্রতি বছরই অর্ধেক হতে হতে এখন সেটি প্রায় বন্ধের মুখে। টুইটার কেনার পর টেসলার বিক্রি সামান্য হারে বাড়লেও। টুইটার নিয়ে আলোচনা বন্ধ হতেই ফের পরে যায় টেসলার ব্যবসা।