
অবসর গ্রহণের পর, যদি আপনার কোনও আয়ের উৎস না থাকে, তাহলে আপনি আর্থিক সমস্যায় পড়তে পারেন।
জাতীয় পেনশন স্কিম (এনপিএস) প্রথমে পুরানো পেনশন স্কিমের (OPS) আওতাধীন একটি স্কিম, যেটি সরকারি কর্মচারীদের জন্য ২০০৪ সালে চালু করা হয়েছিল। আর গত ২০০৯ সালে, এটি বেসরকারি এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মচারীদের জন্যও চালু করা হয়েছিল।
সেইজন্য কর্মীদের নিজেদের কর্মজীবনের সময়কালে মাসিক বা বার্ষিক ভিত্তিতে বিনিয়োগ করতে হবে। এই স্কিমে যত আগে আগে যোগদান করা যাবে, অবসরকালীন তহবিল তত বেশি বাড়বে।
৭৫ বছর বয়সের পরেও এনপিএস অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ চালিয়ে যেতে পারেন এবং ট্যাক্স সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন।
তবে ট্যাক্স সঞ্চয়ের কথা মাথায় রেখে এনপিএস স্কিমে যোগদান করলে, ধারা ৮০C (১.৫ লক্ষ টাকা) এবং উপধারা ৮০CCD 1B) (৫০,০০০ টাকা) এর আওতায় বছরে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ট্যাক্স সুবিধা পেতে পারেন।
বাকি ৪০% বাধ্যতামূলকভাবে বার্ষিকী প্ল্যানে বিনিয়োগ করতে হবে। তবে, নতুন এনপিএস নির্দেশিকা অনুসারে, যদি মোট তহবিল ৫ লক্ষ টাকা বা তার কম হয়, তাহলে বার্ষিকী প্ল্যান বাদ দিয়ে পুরো টাকা তুলে নেওয়া যাবে।
কারণ এনপিএস স্কিম একটি EEE স্কিম। অর্থাৎ, বিনিয়োগ, আয় এবং মেয়াদপূর্তির অর্থের উপর কোন ট্যাক্স নেই। তাই এটি ট্যাক্স সঞ্চয়ের জন্য একটি উত্তম স্কিম হিসেবে জনপ্রিয়।
উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি ২০ বছর বয়সে এনপিএস এ বিনিয়োগ শুরু করেন এবং ৬০ বছর বয়সে অবসর গ্রহণের পর, মাসিক ১ লক্ষ টাকা পেনশন পেতে চান তাহলে কীভাবে বিনিয়োগ করবেন তা দেখে নেওয়া যাক।
এনপিএস এ ২০ বছর বয়স থেকে মাসে ৭,৮৫০ টাকা বিনিয়োগ শুরু করে ৬০ বছর বয়সে অবসর গ্রহণ পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে হবে। ৪০ বছরে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ হবে ৩৭,৬৮,০০০ টাকা। এই বিনিয়োগের উপর প্রায় ১০% রিটার্ন পাওয়া যাবে বলে ধরে নিলে, সুদ থেকে ৪,৬২,৮৯,৭৯২ টাকা পাওয়া যাবে। এভাবে, মোট পেনশন তহবিল ৫,০০,৫৭,৭৯২ টাকা হবে।
বাকি ৬০% (৩,০০,৩৪,৬৭৫ টাকা) এককালীন উত্তোলন করতে পারেন। বার্ষিকী প্ল্যানে বিনিয়োগ করা অর্থের উপর ৬% রিটার্ন পেলে, মাসিক পেনশন ১,০০,১১৬ টাকা জীবনব্যাপী পাওয়া যাবে। সুতরাং, ৪০ বছর ধরে মাসিক ৭,৮৫০ টাকা বিনিয়োগ করে, ৬০ বছর বয়সে মাসিক ১ লক্ষ টাকা পেনশন পাওয়া যেতে পারে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।