গ্রাহক পোস্ট অফিসের রেকারিং ডিপোজিট স্কিমে টাকা বিনিয়োগ করে থাকেন তাহলে তিনি ভবিষ্যতে সেখান থেকে ঋণ নিতে পারেন।
রীতিমত অবাক করার মতই স্কিম পোস্ট অফিসের। পোস্ট অফিসের রেকারিং ডিপোজিট স্কিমে যে কোনও ব্যক্তি অর্থ বিনিয়োগ করতে পারেন। এই স্কিমের আওতায় প্রতি মাসেই টাকা জমা দিলে ম্যাচিউরিটির পরে দুর্দান্ত রিটার্ন পাওয়া যায়। যারা ছোট ব্যবসা করেন বা যারা কর্মরত তারা রেকারিং ডিপোসিট স্কিমের মাধ্যমে প্রচুর টাকা রিটার্ন পেতে পারেন। এই স্কিম তাদের জন্য বিশেষ সহায়ক।
যদি কোনও গ্রাহক পোস্ট অফিসের রেকারিং ডিপোজিট স্কিমে টাকা বিনিয়োগ করে থাকেন তাহলে তিনি ভবিষ্যতে সেখান থেকে ঋণ নিতে পারেন। রেকারিং স্কিমের সুদ আগের থেকে অনেকটাই বাড়িয়েছে সরকার। এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে টাকা তোলার কোনও সমস্যা নেই। আপনার যদি হঠাৎ টাকা তোলার প্রয়োজন হয় তাহলে তাও পারবেন। সরকারের থেকে লোন নেওয়াও অনেকটা সুবিধেজনক।
রেকারিং ডিপোজিট স্কিমে আপনি যত টাকা বিনিয়োগ করবেন তার ৫০ শতাংশ পর্যন্ত টাকা তুলতে পারবেন। এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে অ্য়াকাউন্টও বন্ধ করতে পারবেন। ভবিষ্যতের জন্য যদি কেউ টাকা জমা করতে না চান তাহলে দ্রুত অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে পারেন। এই স্কিমের মেয়ার হল মাত্র পাঁচ বছর। নিয়ম অনুযায়ী প্রথম পাঁচ বছরের জন্য কোনও টাকা আপনি তুলতে পারবেন না। যদি টাকা জমি দিতে না পারেন, তাহলে তিন বছর বিনিয়োগের পর অ্যাকাউন্ট একদম বন্ধ করে দিতে পারেন।
পোস্ট অফিসের এই স্কিমের মাধ্যমে আপনি কমপক্ষে ১০০ টাকা বিনিয়োগ দিয়ে শুরু করতে পারেন। একজন ব্যক্তি একাধিক অ্যাকাউন্ট খুলে বিনিয়োগ করতে পারে। এতে ভাল রিটার্ন পাওয়া যায়। এই স্কিমে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ বাড়তে থাকে। যদি এই স্কিমে যদি দিনে ৩০০ টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে মাতে ৬ হাজার টাকা হয়। সেক্ষেত্রে পাঁচ বছরে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা জমা পড়বে। সরকার থেকে ৬.৭০ শতাংশ হারে ৬৮১৯৭ টাকা সুদ পাওয়া যাবে। মেয়াদ শেষে আপনি হাতে পেতে পারেন ৮,২৮১৯৭ টাকা।