ব্রিটেন থেকে হাজার হাজার টন সোনা ভারতে নিয়ে আসছে ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ইউনাইটেড কিংডম বা ব্রিটেন থেকে প্রায় ১০০ টন বা এক লক্ষ কিলোগ্রাম সোনা ধার নিয়েছে। ভারতের ভল্টে ইতিমধ্যেই নিয়ে এসেথে। ১৯৯১ সালের পর এই প্রথম ভারত এই বিপুল পরিমাণ সোনা মজুদ স্থানান্তর করেছে। সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে বিজনেট টুডে-তে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। আরবিআই -এর অর্ধেকেরও বিশে সোনা রিজার্ভ বিদেশে ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ড ও ব্যাঙ্ক অব ইন্টারন্যাশানাল সেটেলমেন্টের কাছে নিরাপদ হেফাজতে রাখা হয়। যেখানে প্রায় এক তৃতীয়াংশ অভ্যন্তরীণভাবে সংরক্ষণ করা হয়।
এটি বিশেষভাবে লক্ষ্য করা হয় যে এই পদক্ষেপটি আরবিআইকে বর্তমান ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ডকে দেওয়া স্টোরেজের খরচ বাঁচাতে সাহায্য করবে বলেও আশা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক গত ৩১ মার্চ ২০২৪ সাল পর্যন্ত বৈদিশিক মুদ্রার রিজার্ভের অংশ হিসেবে ৮২২.১০ টন সোনা নিয়েছিল, যা গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর এই সময়েই ভারত ৭৯৪.৫৩ টন সোনা নিয়েছিল।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ সঞ্জীব সান্ন্যাল বলেছেন, 'যখন কেউ দেখছিল না আরবিআই তার ১০০ টন সোনার মজুত যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।' তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ দেশই তাদের সোনা ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ডের ভল্টে রাখা হয়। ভারত এখন তার বেশিরভাগ সোনা তার নিজস্ব ভল্টে রাখবে। তিনি আরও বলেন, 'আমরা অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছি, একটি সংকটের মধ্যে ১০০১ সালের রাতারাতি সোনার পাঠানোর জন্য। ' তিনি আরও বলেন, তাঁর প্রজন্ম ১৯৯০-৯১ সালে সোনার এই হস্তান্তরের ব্যর্থতার মূহূর্ত কখনই ভুলবে না। কারণ এই সোনা ফিরিয়ে আনার একটি বিশেষ অর্থ রয়েছে।
১৯৯১ সালের ঘটনা-
সেই সময় ভারসাম্যের সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত সরকার। চন্দ্রশেখর সরকার তহবিল সংগ্রহের জন্য সোনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেই সময় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, ব্যাঙ্ক অব জাপানের কাছে ৪৬.৯১ টন সোনার প্রতিশ্রুতি আদায় করেছিল। যার কারণে ৪০০ মিলিয়ন ডলার হাতে পেয়েছিল ভারত।
মাত্র ১৫ বছর আগে মনোমহন সিং সরকারের সময় আরবিআই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে ২০০ টন সোনা কিনেছিল, বিনিয়োগ করেছিল ৬.৭ বিলিয় ডলার। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আরবিআই ধারাবাহিকভাবে সোনা রিজার্ভ তৈরি করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বর্ণ ধারণের কৌশলটি মূলত তার বৈদেশিক মুদ্রা সম্পদের বৈচিত্র্যকরণ, মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে হেজিং এবং বৈদেশিক মুদ্রার ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যে।