What Is A Debit Card: ডেবিট কার্ড কীভাবে কাজ করে? তাদের সুবিধা এবং কীভাবে আবেদন করতে হয়, জেনে নিন

নগদ লেনদেনের বিকল্প হিসেবে ডেবিট কার্ড ব্যবহার করা হয়। এই প্রবন্ধে ডেবিট কার্ডের ইতিহাস, ব্যবহার, প্রকার, সুবিধা, অসুবিধা এবং নিরাপত্তা টিপস ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

ডেবিট কার্ড কী?

ডেবিট কার্ড হলো, নগদ লেনদেনের সুবিধাজনক বিকল্প হিসেবে ব্যাংক কর্তৃক জারি করা একটি পেমেন্ট কার্ড। এটি ব্যবহারকারীদের জিনিসপত্র কিনতে এবং এটিএম থেকে নগদ টাকা তুলতে দেয়, সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ডেবিট করে।

Latest Videos

ডেবিট কার্ডের ইতিহাস

প্রথম ডেবিট কার্ড: ১৯৬৬ সালে, ডেলাওয়্যার ব্যাংক ব্যবসায়ীদের তাদের রাজ্যের বাইরের ব্যাংকগুলির সঙ্গে সংযুক্ত করার প্রযুক্তির অভাব মোকাবিলা করার জন্য একটি পাইলট ডেবিট কার্ড প্রোগ্রাম চালু করে। এই উদ্ভাবনের লক্ষ্য ছিল নগদ এবং চেকের উপর নির্ভরতা কমানো।

এটিএম ডেবিট কার্ড: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম স্বয়ংক্রিয় টেলার মেশিন (এটিএম) ১৯৬৯ সালে নিউ ইয়র্কের রকভিল সেন্টারে কেমিক্যাল ব্যাংকে প্রথণ ইনস্টল করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে, ব্যবহারকারীরা একটি ফর্ম এবং পিন ব্যবহার করে নগদ টাকা উত্তোলন করতেন। ১৯৭০-এর দশকের মধ্যে, ডেবিট কার্ড অনেকের জন্য অপরিহার্য হয়ে ওঠে।

ডেবিট কার্ড কে আবিষ্কার করেন? 

১৯৫০ সালে ফ্র্যাঙ্ক ম্যাকনামারা এবং রাল্ফ স্নাইডার কর্তৃক উদ্ভাবিত ডাইনার্স ক্লাব কার্ডটিকে প্রথম আধুনিক ডেবিট কার্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নিউ ইয়র্কে এক ডিনারের সময় ম্যাকনামারা তার মানিব্যাগ ভুলে যাওয়ার পর এখটি ডেবিট কার্ড তৈরির কথা ভাবেন।

ভারতে ডেবিট কার্ড

প্রথম ডেবিট কার্ড: আইসিআইসিআই ব্যাংক ভারতে প্রথম ডেবিট কার্ড চালু করে।

ডাইনার্স ক্লাব: ১৯৬১ সালে, কালী মোদী ভারতে ডাইনার্স ক্লাব কার্ড চালু করে।

ব্যাংক ডেবিট কার্ড: সেন্ট্রাল ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া ১৯৮০ সালে প্রথম ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড চালু করে।

এটিএম পরিষেবা: এইচএসবিসি ব্যাংক ১৯৮৭ সালে ভারতের প্রথম এটিএম চালু করে।

 

আরও পড়ুন: বিমা কী? আর্থিক স্বনির্ভর হতে বিমা কীভাবে আপনার সহায়ক হতে পারে? দেখে নিন সম্পূর্ণ গাইডলাইন

 

ডেবিট কার্ডের মূল বৈশিষ্ট্য

সরাসরি অ্যাকাউন্ট অ্যাক্সেস: আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়।

ব্যবহারের সীমা: লেনদেন উপলব্ধ অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্সের মধ্যে সীমাবদ্ধ।

আয়-ভিত্তিক ইস্যু: ডেবিট কার্ডগুলি আপনার আয়, সঞ্চয় বা বর্তমান অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে।

পুরষ্কার ক্যাশব্যাক: কিছু ব্যাংক ক্যাশব্যাক এবং পুরষ্কার পয়েন্ট অফার করে।

ইএমআই বিকল্প: ব্যাংক এবং গ্রাহকের মধ্যে চুক্তির ভিত্তিতে অফার করা হয়।

ডেবিট কার্ডের সুবিধা

সুবিধা: নগদহীন লেনদেন সহজতর করে।

বৈচিত্র্য: ইন-স্টোর, অনলাইন কেনাকাটা এবং বিল পেমেন্টের জন্য কার্যকর।

বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা: বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ ব্যবসায়ী দ্বারা গৃহীত।

নিরাপত্তা: ইএমভি চিপ এবং জালিয়াতি প্রতিরোধ ব্যবস্থার মতো বৈশিষ্ট্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

 

ডেবিট কার্ডের ব্যবহার

 

ডেবিট কার্ডের প্রকারভেদ

ভিসা ডেবিট কার্ড: ভিসা পেমেন্ট পরিষেবার সঙ্গে চুক্তির অধীনে অফার করা হয়।

রুপে ডেবিট কার্ড: দেশীয় লেনদেনের জন্য এনপিসিআই দ্বারা প্রবর্তিত।

মাস্টারকার্ড: বিশ্বব্যাপী ইলেকট্রনিক লেনদেনের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত।

মায়েস্ট্রো কার্ড: বিশ্বব্যাপী নগদ উত্তোলন এবং অনলাইন কেনাকাটা সহজতর করে।

কন্ট্যাক্টলেস কার্ড: নির্বিঘ্ন লেনদেনের জন্য এনএফসি প্রযুক্তি ব্যবহার করে।

ভিসা ইলেকট্রন কার্ড: ভিসা কার্ডের মতো কিন্তু ওভারড্রাফ্ট বিকল্প ছাড়াই।

 

ডেবিট কার্ডের মূল উপাদানগুলি

 

ডেবিট কার্ড ফি

বার্ষিক ফি: ব্যাংকের উপর নির্ভর করে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত চার্জ নেওয়া হতে পারে।

বিকল্প কার্ড ইস্যু করার ফি: হারিয়ে যাওয়া বা ক্ষতিগ্রস্ত কার্ডের জন্য চার্জ করা হয় ১০০ থেকে ৩০০ টাকা।

পিন পরিবর্তন ফি: ৫০ থেকে ১০০ টাকা নেওয়া হয়ে থাকে।

নগদ উত্তোলন ফি: হোম ব্যাংকের এটিএম-এ কোনও ফি নেই; অন্যান্য এটিএম-এ ১০-৩০ টাকা। তবে কিছু কার্ডের ক্ষেত্রে যে কোনও ব্যাংকের এটিএম থেকে যতবার খুশি নগদ উত্তোলনে কোনও চার্জ লাগে না।

আন্তর্জাতিক ফি: বিদেশী লেনদেনের জন্য শতাংশ-ভিত্তিক চার্জ।

 

আরও পড়ুন: Credit Card: ক্রেডিট কার্ড কী? এটি থাকলে আপনার কী সুবিধা বা অসুবিধা হবে, কীভাবে পাবেন, রইল পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন

 

ডেবিট কার্ড আবেদনের জন্য যোগ্যতা

 

প্রয়োজনীয় নথি

পরিচয় প্রমাণ: ভোটার আইডি, পাসপোর্ট, অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স।

ঠিকানার প্রমাণ: ভোটার আইডি, পাসপোর্ট, অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স।

অতিরিক্ত নথি: প্যান কার্ড, ফর্ম ১৬, এবং সাম্প্রতিক পাসপোর্ট আকারের রঙিন ছবি।

ডেবিট কার্ডের জন্য আবেদন করা

অফলাইন প্রক্রিয়া

অনলাইন প্রক্রিয়া

 

ডেবিট কার্ডগুলি কীভাবে কাজ করে

 

ডেবিট কার্ড লেনদেন

এটিএম: নগদ টাকা তোলা, ব্যালেন্স পরীক্ষা করা এবং বিল পরিশোধ করা।

ব্যবসায়ীরা: পয়েন্ট-অফ-সেল (PoS) টার্মিনালে সোয়াইপ করুন বা টাচের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারেন।

অনলাইন কেনাকাটা: কেনাকাটার জন্য কার্ড নম্বর, মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ এবং সিভিভি ব্যবহার করুন।

 

ডেবিট কার্ডের সুবিধা

ঋণমুক্ত: অ্যাকাউন্টের সীমার মধ্যে নিয়ন্ত্রিত ব্যয়কে উৎসাহিত করে।

বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা: বিশ্বব্যাপী গৃহীত।

নিরাপত্তা: হারিয়ে গেলে দ্রুত নিষ্ক্রিয় করা যেতে পারে।

 

ডেবিট কার্ডের অসুবিধা

নিরাপত্তা ঝুঁকি: স্কিমিং এবং ফিশিংয়ের ঝুঁকিপূর্ণ।

সীমিত পুরষ্কার: ক্রেডিট কার্ডের তুলনায় পুরস্কার এবং অন্যান্য সুবিধা কিছুটা কম থাকে।

ক্রেডিট স্কোরের প্রভাব নেই: ক্রেডিট ইতিহাস তৈরি করে না। ফলে ক্রেডিট স্কোরে কোনও প্রভাব পড়ে না।

 

ডেবিট কার্ড বনাম ক্রেডিট কার্ড

 

নিরাপত্তা টিপস

 

ডেবিট কার্ডের ভবিষ্যত

বায়োমেট্রিক কার্ড: ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা রেটিনা স্ক্যানিংয়ের সঙ্গে সমন্বিত।

পরিবেশ বান্ধব বিকল্প: পুনর্ব্যবহৃত উপকরণ থেকে তৈরি কার্ড।

ডিজিটাল-ফার্স্ট কার্ড: অনলাইন লেনদেনের জন্য ভার্চুয়াল কার্ড।

 

ডেবিট কার্ড সম্পর্কে প্রায়শই জিজ্ঞাস্য প্রশ্নাবলী (FAQs)

সিভিভি কী? 

কার্ডের পিছনে 3-সংখ্যার নিরাপত্তা কোড।

অনলাইন পেমেন্টের জন্য কি এটিএম কার্ড ব্যবহার করা যেতে পারে?

হ্যাঁ, যদি ব্যাংক দ্বারা সমর্থিত হয়।

আমি যদি আমার কার্ড হারিয়ে ফেলি তাহলে কী হবে? 

এটি ব্লক করার জন্য অবিলম্বে ব্যাংককে অবহিত করুন।

কার্ড ব্লক করার জন্য কি কোন ফি আছে? 

হ্যাঁ, কিছু ব্যাংক জরিমানা ধার্য করে।

ডেবিট কার্ডের বৈশিষ্ট্য, ব্যবহার এবং সতর্কতাগুলি বোঝার মাধ্যমে, ব্যবহারকারীরা সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং তাদের আর্থিক নিরাপত্তা বাড়াতে পারেন।

Share this article
click me!

Latest Videos

বড় সাজা! নাকি...আজ সঞ্জয়ের কথা শুনবেন বিচারক, উঠে আসতে পারে চাঞ্চল্যকর কিছু? | RG Kar News Today
দোষী সঞ্জয় রায়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সাজা দিলেন বিচারক | RG Kar case verdict today | Sanjay Roy
'ছেলেকে শুধু ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার বানালেই হবে না, কট্টর হিন্দু তৈরি করুন' | Sukanta Majumdar | News
Suvendu Adhikari : ভিনরাজ্যে আলু পাচারের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে, দেখুন কী বলছেন শুভেন্দু অধিকারী
Rashifal Today : সোমবার সারাদিন কেমন কাটবে আপনার! দেখুন আজকের রাশিফল