১ জানুয়ারি থেকে অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থা গুলোকেই রেস্তোরা থেকে জিএসটি সংগ্রহ করে সরকারের ঘরে পাঠাতে হবে। জিএসটি-র নতুন নিয়ম জারি হবে ট্রান্সপর্টের ওপর। ১২ শতাংশ জিএসটি বাড়ছে জুতো ও জামাকাপড়ের ওপর।
নতুন বছর অর্থাৎ ২০২২ সাল থেকে গুডস অ্য়ান্ড সার্ভিসেজ ট্য়াক্স সিস্টেম বা জিএসটি-তে আসতে চলেছে বিরাট পরিবর্তন। করদাতাদের বকেয়া কর আাদয়ের জন্য কর আধিকারিকরা কোনও নোটিস পাঠাবে না। সোজসুজি বকেয়া কর উদ্ধারের ব্য়বস্থা করবেন তাঁরা। সেই সঙ্গে ১ জানুয়ারি থেকে ট্রান্সপোর্ট সহ বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটের ওপর এবং রেস্তোরার ওপর জারি হতে চলেছে জিএসটি। এছাড়াও ১ জানুয়ারি থেকে পোষাক ও জুতোর ওপর ১২ শতাংশ জিএসটি লাঘু হবে সেই ঘোষণা তো কেন্দ্র অনেক আগেই করে দিয়েছে। এর ফলে নতুন বছরে একদিকে যেমন দামী হবে জামাকাপড় ও জুতো, তেমনই বাড়বে অনলাইন খাবারের দামও। তবে অনলাইন খাবারের দাম বাড়লেও সাধারণের পকেটে চাপ পড়বে না। তাহলে জেনে নেওয়া যাক ১ জানুয়ারি থেকে অনলাইন খাবারের ওপর কী ধরনের জিএসটি চালু হত চলেছে।
অনলাইন খাবারের ওপর জিএসটি-র নতুন নিয়ম
নতুন বছরের চালু হওয়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী রেস্তোরা থেকে জিএসটি সংগ্রহ করে সেটিকে সরকারের কাছে জমা দেওয়ার দায়িত্ব থাকবে বিভিন্ন ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মগুলোর। অর্থাৎ, অনলাইন ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটাফর্ম জোম্যাটো, সুইগির মত সংস্থাগুলোর কাঁধে চাপল বাড়তি বোঝা। কারন ১ জানুয়ারি থেকে এই সংস্থা গুলোকেই রেস্তোরা থেকে জিএসটি সংগ্রহ করে সরকারের ঘরে পাঠাতে হবে। এই পরিষেবা দেওয়ার বদলে তাদের বিলও জারি করতে হবে। এর ফলে গ্রাহকদের ওপর কোনও অতিরিক্ত বোঝা বাড়ছে না। কারন রেস্তোরা গুলো আগে থেকেই জিএসটি রেভিনিউ সংগ্রহ করছে। পরিবর্তন বলতে শুধু জিএসটি জমা করা ও বিল জারি করার দায়িত্ব এখন থেকে ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মের কাঁধে চলে এসেছে। নতুন বছরে ফুড ডেলিভারি সংস্থাগুলোর ওপর এই নতুন দায়িত্ব দেওয়ার পিছনে রয়েছে একটি বিশেষ কারন। সরকারের অনুমান বিভিন্ন অনলাইন ফুড ডেলিভারি প্ল্য়াটফর্মগুলো সম্পূর্ণ ও সঠিক তথ্য প্রদান না করায় সরকারি খাজানায় বেশ অনেকটাই লোকসান হচ্ছে। তাই এই নতুন নিয়ম জারির ফলে কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা অনেকটা কমবে।
আরও পড়ুন-GST-মহার্ঘ হচ্ছে জামাকাপড়, জুতো,নতুন বছরে GST বাড়ছে ১২ শতাংশ
ট্রান্সপর্টের ওপর জিএসটি-র নতুন নিয়ম
নতুন বছর থেকে অটো রিক্সা চালকদের অফলাইন পেমেন্ট করলে ট্রান্সপর্ট পরিষেবায় ছাড় পাওয়া যাবে। কিন্তু কোনও অনলাইন পেমেন্ট অ্যাপ বা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পেমেন্ট করা হলে ৫ শতাংশ জিএসটি ধার্য করা হবে।
বলা বাহুল্য, সব দিক ঠিক ঠাক থাকলে অর্থাৎ করদাতারা যদি সঠিক সময় সৎ ভাবে কর প্রদান করত তাহলে এত কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনই পড়ত না। উপযুক্ত জিএসটি না দিয়ে, বিভিন্ন নথির আড়ালে কর ফাঁকি দেওয়ার একটা প্রবণতা সামনে এসেছে বহুবার। কর ফাঁকি দেওয়ার মত দুর্নীতি রুখতেই ১ জানুয়ারি থেকে নয়া পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।