কোভিড পরবর্তী সময়ে নিউট্রাসিউটিক্যালসের কেন্দ্র হল ভারত, সারা বিশ্বের নজর এখানেই

কোভিড পরবর্তী যুগে শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক নিউট্রাসিউটিকালস সংস্থাগুলির ফোকাসে ভারত

ভারতের বাজার তাদের টানছে

আবার এখানেই রয়েছে উদ্ভাবন ও উপাদানের উত্সও

২০২৫ সালের মধ্যে ভারতের নিউট্রেসটিক্যালস বাজার বাড়তে পারে ৪ গুণ

amartya lahiri | Published : Apr 13, 2021 4:28 PM IST

কোভিড পরবর্তী যুগে শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক নিউট্রাসিউটিকালস সংস্থাগুলির ফোকাস এখন ভারতে। মনে করা হচ্ছে একই সঙ্গে ভারতের একটি বৃহত বাজার হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি উদ্ভাবন ও উপাদানের উত্স। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রশাসন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতের নিউট্রেসটিক্যালস বাজার আনুমানিক ৪ বিলিয়ন ডলার থেকে ১৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে, ভারতীয় বাজার আমদানি করে ২.৭ বিলিয়ন ডলারের নিউট্রেসটিক্যালস।

নিউট্রাসিউটিক্যালস বি২বি প্ল্যাটফর্ম নিউট্রিফাই টুডে, ভারতের প্রবেশ কৌশল, বিপণন কৌশল, উদ্ভাবনী কৌশল এবং দক্ষ উত্স কৌশল তৈরি করে। সম্প্রতি তারা বেলজিয়ামের মাইহেলথ, ইসরাইলের কামেডিস, সিঙ্গাপুরের ক্রেইভো হেলথ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেকার ডিলন গ্রুপ-এর সঙ্গে চুক্তি সাক্ষর করেছে। তারাই নিশ্চিতভাবে জানিয়েছে, এই ক্ষেত্রে ভারতের দিকেই এখন চোখ গোটা বিশ্বের। সংস্থার চিফ ক্যাটালিস্ট অমিত শ্রীবাস্তব বলেছেন, “ভারতের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিতে আগ্রহ বেড়েছে। একদল দ্রুত ভারতের বাজারে প্রবেশ করতে চাইছে। অন্যরা ভারত থেকে দক্ষতার আমদানী করতে চাইছে। রেসপন্সেবল নিউট্রিশন এবং এভিডেন্স বেসড নিউট্রিশন এই সমস্ত আলোচনার কেন্দ্রে। এই খাত এখন উল্লেখযোগ্যভাবে বিদেশী বিনিয়োগও টানছে।'

'ভারত সরকার স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই উত্পাদন খাতে ১০০ শতাংশ এফডিআই চালু করেছে এবং সংস্থাগুলি পাইকারি, খুচরা বা ই-বাণিজ্য প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তাদের পণ্য বিক্রয় করতে পারছে। একটি প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, দেশে ২০১২ সালে এফডিআই ছিল ১৩১.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেখান থেকে বেড়ে ২০১৯ সালে বিদেশি লগ্নি হয়েছে, ৫৮৪.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে এই লগ্নি আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মের সম্প্রসারণের জন্য ক্যালিফোর্নিয়ার বেকার ডিলন গ্রুপের সঙ্গে ভারতের সাক্ষরিত চুক্তির মতো, বৈশ্বিক সংস্থাগুলি যে এখন উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তি সম্প্রসারণের জন্য ভারতের দিকে তাকাচ্ছে, এটা অত্যন্ত উত্সাহজনক বলে জানিয়েছেন অমিত শ্রীবাস্তব।

বেলজিয়ামের মাইহেলথ, এবং ইসরাইলের কামেদিস, উদ্ভীজ্জ উপাদানগুলি থেকে উদ্ভাবনী পরীক্ষা চালানোর জন্য ভারতে একটি ভিত পাওয়ার চেষ্টা করছে। নিউট্রিফাই টুডের সঙ্গে এই অংশীদারিত্বের বিষয়ে কামেদিস সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রনি ক্রামার বলেছেন, তাঁদের সংস্থা চর্মরোগের জন্য উদ্ভীজ্জ পদার্থের পেটেন্ট নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষ। এই  পদার্থগুলি ইসরাইলে দারুণ সাফল্য পাওয়ার পর এখন মার্কিন বাজারেও প্রবেশ করছে। নিউট্রিফাই টুডের সঙ্গে চুক্তি কামেদিস-কে ভারতীয় চর্মরোগের বাজারে শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

সিঙ্গাপুরের ক্রেইভো হেলথ-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও জুরগেন ব্রোয়েক বলেছেন, নিউট্রিফাই টুডের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় ক্রাইভো হেলথ ভারতের বাজারে আরও মজবুত হে উঠবে। আমরা দারুণভাবে প্রবৃদ্ধির কৌশল নিয়েছি এবং আমাদের পোর্টফোলিওটি ইউরোপ এবং আফ্রিকার দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নিয়েছি। আমরা ভারত থেকে প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের নিউট্রা উদ্ভাবনের পোর্টফোলিও তৈরির পরিকল্পনা করেছি। নিউট্রিফাই টুডে আজ আমাদের পক্ষে থাকায়,  আমরা রেসপন্সেবল নিফট্রিশনের মানকে সমর্থনকারী উদ্ভাবনীগুলির বাজার ধরার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।

মাই হেলথের ভারতের কৌশল সম্পর্কে সংস্থার প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা, রাফ ডাইবাজলো বলেছেন, 'মাইহেলথ-এর পোর্টফোলিও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল নিশ্চিত করতে ফার্মাসের মানদণ্ডে ক্লিনিকাল ট্রায়াল করছে। মাই হেলথ ইউরোপে সাফল্য পেয়েছে এরপর ভারতের বাজারে প্রবেশ করতে চাইছে। পণ্যগুলি নিউট্রিফাই টুডে নির্ধারিত দায়িত্বশীল পুষ্টিমানের মান মেনে চলে এবং ভারতীয় নিয়ন্ত্রক থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য যোগ্য।'

Share this article
click me!