আর এটিএম-এ ভরসা নয়, ভারতে মাইক্রো এটিএম চালু করতে চলেছে র‍্যাপিপে

  • দেশের মোট ১৯ শতাংশ এটিএম গ্রামাঞ্চলে রয়েছে
  • অথচ জনসংখ্যার ৬২ শতাংশ বাস করেন গ্রামে
  • এটিএমের মোট সংখ্যা প্রতি বছর কমছে
  • গ্রামাঞ্চলে টাকা তোলার জন্য এটিএম গুলির চাহিদা বেড়ে চলেছে 

deblina dey | Published : Sep 8, 2020 11:23 AM IST / Updated: Sep 08 2020, 05:10 PM IST

আরবিআইয়ের এক সাম্প্রতিক তথ্যে প্রকাশিত হয়েছে যে, দেশের ২.২ লক্ষ এটিএমের মধ্যে কেবল ১৯ শতাংশ এটিএম গ্রামাঞ্চলে রয়েছে। যেখানে মোট ভারতীয় জনসংখ্যার ৬২ শতাংশ বাস করেন । গ্রামীণ অঞ্চলে এটিএম সংখ্যা কম। তার উপরে এটিএমের মোট সংখ্যা প্রতি বছর কমছে। সুতরাং, দেশের প্রতিটি প্রান্তে এবং গ্রামাঞ্চলে টাকা তোলার সুবিধার জন্য এটিএম গুলির চাহিদা বেড়ে চলেছে । 

এমন অবস্থায় ভারতের ফিনটেক সংস্থা, র‍্যাপি পে (RapiPay)দেশ জুড়ে মাইক্রো এটিএম (mATMs) চালু করলো। র‍্যাপি পে ফ্র্যাঞ্চাইজড রিটেল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে গ্রাহকদের ব্যাঙ্কিং বিজনেস করেসপন্ডেন্টস (BCs)পরিষেবা দেয় । এই  সংস্থাটির দৃঢ় বিশ্বাস  যে, এটিএম থেকে নগদ টাকা তোলার ক্ষেত্রে এই  মাইক্রো এটিএমগুলি ভারতীয় গ্রাহকদের কাছে  বিশেষত  গ্রামাঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য এক যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসবে । র‌্যাপি পে - এর বিসি মডেল লক্ষ লক্ষ ভারতীয় খুচরা বিক্রেতাকে আত্ম কর্মসংস্থানের সুযোগ দিয়ে এক ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ  ভূমিকা পালন করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে।  

ভারত উচ্চ নগদ অর্থনীতির অঞ্চলে থাকায়, লক্ষাধিক লেনদেন ইতি মধ্যেই  মাইক্রো এটিএমের মাধ্যমে ঘটছে। এই লেনদেন  আধার এনাবেল্ড পেমেন্ট সিস্টেম  এর মাধ্যমে বা মাইক্রো এটিএম ডিভাইসের মাধ্যমেই হচ্ছে । বর্তমানে  মহামারীর সময়  নগদ টাকা তোলার ক্ষেত্রে এই মাইক্রো এটিএমগুলি বিশেষ ভূমিকা পালন করে চলেছে। বিশেষত কর্মহীন শ্রমিক, কৃষকদের জন্য জন ধন  অ্যাকাউন্টে সরকারের পাঠানো ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা তোলার সময় এটি সহায়তা করেছে । র‌্যাপি পে, আরবিআই এর পিপিআই অর্থাৎ প্রি-পেইড ইনস্ট্রুমেন্ট লাইসেন্স প্রদত্ত এবং এটি  এজেন্ট এবং গ্রাহকদের জন্য সম্পূর্ণ সুরক্ষিত এবং নির্ভরযোগ্য।

Share this article
click me!