রাশিয়ার ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি আর বিটকয়েনের বাজারে। রাশিয়ার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধঘোষণার পরই ক্রিপ্টোকারেন্স , বিটকয়েন চার শতাংশ পড়ে হয়েছে ৩৪,৯৩২.০৭ ডলার।
রাশিয়ার ও ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine Crisis) প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি (cryptocurrency) আর বিটকয়েনের (Bitcoin )বাজারে। রাশিয়ার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধঘোষণার পরই ক্রিপ্টোকারেন্স , বিটকয়েন চার শতাংশ পড়ে হয়েছে ৩৪,৯৩২.০৭ ডলার। এথেরিয়াম মূলধনের দ্বারা দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি ১০ শতাংশেরও বেশি কমে ২.৩৭৬.১৯ ডলার পড়েছে। অন্যান্য জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি যেমন ডজকয়েন ১২ শতাংশের বেশি পতনের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে। শিবা ইন্দু ১০ শতাংশ নিচে নেমে গেছে। পোলকাডট ১০ শতাংশেরও বেশি ও পলিগন ১২ শতাংশেরও বেশি কমেছে। XRP ৯ শতাংশের বেশি কমেছে।
ক্রিপ্টোকারেন্সির মার্কেট পড়ে যাওয়ার কারণগুলি হলঃ
ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯১ শতাংশ নিচে নেমে গেছে। রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার পর বিটকয়েন, ইথেরিয়াম ও অন্যান্য প্রধান অল্টকয়েকগুলিতে রীতিমত লালবাতি জ্বলতে শুরু করেছে। তেমনই দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। আগামী কয়েক সপ্তাহের জন্য ক্রিপ্টোর বাজার নিচের দিকে থাকবে বলেও সতর্ক করেছেন তাঁরা।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই রাশিয়া ইউক্রেন সংকটের কারণে গোটা বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। যা আগামী দিনে আরও বেশি করে প্রভাব ফেলতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে। এই যুদ্ধের উত্তেজনার প্রথম দিনেই দেখা যাচ্ছে ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার নিচের দিকে নেমে গেছে। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এই পরিস্থিতি শুধুমাত্র ক্রিপ্টোকারেন্সিকেই প্রভাবিত করবে না বড় প্রভাব ফেলতে পারে আর্থিক বাজারে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ইক্যুইটিগুলিও।
ভোরবেলাই টেলিভিষণে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিয়েছের রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। তাঁর যুদ্ধ ঘোষণার পরই রুশ বাহিনী ইউক্রেন (Ukraine) আক্রমণ করে। রাশিয়ার (Russia) দাবি ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহরে ইতিমধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তারা। হামলা চালান হয়েছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভেও (Kyiv)। যুদ্ধের আতঙ্কে পুরোপুরি নিস্তব্ধ রাজধানী কিয়েভ। দীর্ঘ দিন ধরেই রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট চলছিল। এই অবস্থায় পুতিন জানিয়েছেন, আধুনিক ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে রাশিয়া নিজেকে নিরাপদ মনে করছে না। যা দিনে দিনে রাশিয়ার অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে তুলছে। তাই এই যুদ্ধে রক্তপাতের সমস্ত দায়ই ইউক্রেনের। সেই কারণ দেখিয়ে তিনি ইউক্রেনের সেনা বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে বলেন। পুতিন আরও বলেছেন, রাশিয়ার উদ্দেশ্য ইউক্রেনের ভূখণ্ড দখল করা বা রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করা নয়। মস্কো কোনও কিছুই ইউক্রেনের ওপর চাপিয়ে দেবে না।
যদিও রাশিয়ার হামলার পরই ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, রাশিয়ার এই হামলার জবাব দেবে ইউক্রেন। এই যুদ্ধে তারা লড়াই করবে। জেতার বিষয়েও তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে এটি একটা আগ্রাসনের যুদ্ধে। তাই ইউক্রেন রাশিয়ার কাছে মাথা নত করবে না।