Education Loan: শিক্ষা ঋণ নিলে ছাড় পেতে পারেন কর, জানুন দেশে-বিদেশে পড়তে কী কী খরচ দেবে ব্যাঙ্ক

শিক্ষার্থী বা পড়ুয়ার জন্য ঋণ নিলে মিলতে পারে কর ছাড়ের সুবিধা। দেশ বা বিদেশ সর্বোত্রই শিক্ষার্থীদের জন্য লোনের ব্যবস্থা রয়েছে।  

Web Desk - ANB | Published : Jan 24, 2022 1:19 AM IST / Updated: Jan 25 2022, 07:06 PM IST

শিক্ষার্থী বা পড়ুয়ার ( Students) জন্য ঋণ নিলে মিলতে পারে কর ছাড়ের সুবিধা ( Tax exemption)। দেশ বা বিদেশ সর্বোত্রই শিক্ষার্থীদের জন্য লোনের ব্যবস্থা রয়েছে। ব্যাঙ্কের যোগ্যতা বা চাহিদার সঙ্গে যদি পড়ুয়ার প্রয়োজনীয়তা মিলে যায়, সেক্ষেত্রে খুব সহজেই এই ঋণ মিলে যায়। বিদেশে পড়াশোনার ক্ষেত্রে   সমস্তটাই ব্যাঙ্ক বহন করে। মূলত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কোর্সের উপর ভিত্তি করেই ব্যাঙ্ক এই ঋণ অনুমোদন করে। এই ঋণে সুদের হারের পাশাপাশি আয়কর রিটার্ন ফাইলের সময়ও বেশ ছাড় পাওয়া যায়। উল্লখ্যে আবেদনকারীর পারিবারিক আয় এবং কী ধরণের কোর্সের জন্য আবদন করা হচ্ছে এক্ষেত্রে যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখে নেওয়া হয়, তারপরেই মেলে ঋণ (Education Loan)।

এডুকেশন লোন অর্থাৎ শিক্ষা ঋণের ক্ষেত্রে একাধিক সুবিধা রয়েছে। আয়কর আইন ১৯৬৭ সেকশন ৮০ ই অনুযায়ী এই ঋণ শোধ করার সময় ঋণের সুদের উপর কর ছাড়ের সুবিধা রয়েছে। শুধুমাত্র উচ্চশিক্ষার জন্য নেওয়া ঋণের ক্ষেত্রেই সুদের উপর কর ছাড়ের সুবিধা রয়েছে।  দেশ বা বিদেশ সর্বোত্রই শিক্ষার্থীদের জন্য লোনের ব্যবস্থা রয়েছে। বিদেশে পড়াশোনার ক্ষেত্রে টিউশন ফি থেকে শুরু করে পরীক্ষার ফি, হস্টেল ফি, যাতায়াত খরচ অর্থাৎ ডিগ্রি সম্পূর্ণ করতে যা যা খরচ দরকার তা সমস্তটাই ব্যাঙ্ক বহন করে। এই ঋণ শোধ করার সময় ছাড় শুধুমাত্র প্রদত্ত ইএমআই-র সুদের উপর প্রযোয্য, মূল অর্থের উপরে নয়। অর্থাৎ আপনার মাসিক কিস্তির পরিমাণ যদি ১০ হাজার টাকা হয়, নির্দিষ্ট হারে সুদের পরিমাণ যদি ৫০০ টাকা হয়, তাহলে সুদের ৫০০ টাকার উপরে কর ছাড় পাওয়া যাবে। 

আরও পড়ুন, ইউনিয়ন বাজেটের আগে প্রবীণ নাগরিকদের কর কমানোর আর্জি এসবিআই রিসার্চ-এর

এই ঋণ শোধের সময় কর ছাড়ের জন্য ব্যাঙ্ক এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের থেকে একটি শংসাপত্র দেওয়া হয়। এই শংসাপত্রেই মাসিক কিস্তি এবং সুদের পরিমাণ আলাদা করে উল্লেখ থাকে। এই ঋণ শোধের ক্ষেত্রে প্রথম দিন থেকে সর্বোচ্চ আটবছর পর্যন্ত এই সুবিধা পাওয়া যায়। তবে মূল ঋণ শোধের আগে যদি সুদের টাকা শোধ হয়ে যায়, , তাহলে তার পরের কিস্তি থেকে শিক্ষার্থী কর ছাড় পাবে না। সর্বোচ্চ ৬ বছর পর্যন্ত এই শিক্ষা ঋণের ইএমআই সুদের উপরেই কর ছাড়ের সুবিধা রয়েছে।এই ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভর্তি প্রমাণ, সর্বশেষ মার্কশিট, বয়েস-পরিচয়ের প্রমাণ, ঠিকানা, রোজগারের প্রমাণ পত্র, ঠিকানা, ব্যালেন্স শিট এবং বিদেশে পড়াশোনার ক্ষেত্রে পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ভিসা এবং আই ২০ ফর্ম লাগে।

Share this article
click me!