সাইরাস মিস্ত্রিকে ভাবা হয়েছিল রতন টাটার উত্তরসূরি, তবে বিতর্ক সঙ্গী করেই চেয়ারম্যান পদ ছাড়তে হয় তাঁকে

২০১২ সালে টাটা গ্রুপের ষষ্ঠ চেয়ারম্য়ান হিসেবে দায়িত্ব নেন সাইরাস মিস্ত্রি। প্রথম দিকে সাইরাস মিস্ত্রি বা শাপুরজি পালোনজি পরিবারের সঙ্গে টাটাদের সম্পর্ক ছিল বন্ধুত্বপূর্ণ। কিন্তু তারপরই দুই পরিবারের মধ্যে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান পদ নিয়ে সম্পর্কের অবণতি শুরু হয়।

সাইরাস মিস্ত্রি, প্রয়াত পালোনজি মিস্ত্রির ছেলে। শাপুরজি পালোনজি পরিবারের সদস্য। ১৯৩০ সাল থেকেই শাপুরজি মিস্ত্রিরা টাটা সন্সের সঙ্গে যুক্ত। সাইরাস মিস্ত্রি টাটা সন্সের ১৮.৪ শতাংশ শেয়ারের মালিক। ২০১৮ সালে তাঁর মোট সম্পত্তির প্রায়১০ বিলিয়ন। তবে সাইরাস মিস্ত্রি টাটা সন্সের দায়িত্ব নেওয়ার পরই দুই ব্যবসায়ী পরিবারের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। যার মিমাংশা হয় সুপ্রিম কোর্টে। 

২০১২ সালে টাটা গ্রুপের ষষ্ঠ চেয়ারম্য়ান হিসেবে দায়িত্ব নেন সাইরাস মিস্ত্রি। প্রথম দিকে সাইরাস মিস্ত্রি বা শাপুরজি পালোনজি পরিবারের সঙ্গে টাটাদের সম্পর্ক ছিল বন্ধুত্বপূর্ণ। কিন্তু তারপরই দুই পরিবারের মধ্যে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান পদ নিয়ে সম্পর্কের অবণতি শুরু হয়। যা সুপ্রিম কোর্ট অবধি পৌঁছে গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ২০১৬ সালে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তবে তার পরেও প্রায় পাঁচ বছর ধরে হাই-প্রোফাইল বোর্ডরুম যুদ্ধ শুরু হয়। 

Latest Videos

টাটাদের সঙ্গে মিস্ত্রি পরিবারের বিরোধিতার কারণ- সাইরাস মিস্ত্রি টাটার দায়িত্ব নিয়ে বেশ কয়েকটি বড় পদক্ষেপ করেছিলেন। তিনি এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যাতে মূলধনের আয় বেড়েছিল। উল্টোদিকে শেয়ারহোল্ডারদের লাভ কমেছিল। তারপরই তিনি উচ্চপদে থাকা রতন টাটার ঘনিষ্টদের সরিয়ে দিয়েছিলেন দায়িত্ব থেকে। সেই জায়গায় নিজের পছন্দের লোককে বসিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর সবথেকে বড় পদক্ষেপ ছিল ব্রিটেনে টাটা স্ট্রিলের প্ল্যান্ট বিক্রি করে দেওয়ার প্রস্তাব পেশ করা। যা বিদেশে টাটা গোষ্ঠীর অর্জিত সুনামে কাঁটার মত বিঁধেছিল। তারপর থেকেই টাটারা সাইরাস মিস্ত্রিকে সরিয়ে দেওয়ার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করতে শুরু করে। প্রথমেই  অবশ্য স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। তারপরই হয় 

প্রথমে সাইরাস মিস্ত্রিকে স্বেচ্ছায় পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বলা হয়েছিল টাটা সন্সের পক্ষ থেকে। কিন্তু তারপর টাটা গ্রুপের হোল্ডিং কোম্পানির বোর্ড সাইরাস মিস্ত্রিকে সরিয়ে দেওয়ার পক্ষে অপসারণের পক্ষে ভোট দেয়। তাতেই সরে যেতে হয় সাইরাস মিস্ত্রিকে। 

তারপর থেকেই দেশের দুই প্রাচীন ব্যবসায়ী পরিবারের মধ্যে শুরু হয় আইনি যুদ্ধ। সাইরাস মিস্ত্রি প্রথমে ন্যাশানাল কোম্পানি ল ট্রাইবুনালের দ্বারস্থ হন। টাটাদের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করেন। পরবর্তীকালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সুপ্রিম কোর্ট ২০২১ সালে তাঁকে চেয়ারম্যান পদে পুনর্বহাল করার জন্য ট্রাইবুনালের রায়ের ওপর স্থাগিতাদেশ জারি করে। 

তারপর শাপুরজি পালোনজি পরিবারের দখলে থাকা কোম্পানিগুলি ২০২১ সালের ২৪ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে নতুন একটি পিটিশন দায়ের করে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশের ওপর। কিন্তু চলতি বছর ১৯ মে সেই পিটিশন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শেষ হয় দুই পরিবারের দীর্ঘ ৬ বছরের আইনি লড়াই। তবে সাইরাস মিস্ত্রিকে আংশিক স্বস্তি দিয়ে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এনভি রমনার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ তাঁর বিরুদ্ধে করা কিছু বিরুপ মন্তব্য বাতিল করতে সম্মন হয়। যা কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছিল বিশিষ্ট ব্যবসায়ীকে।  

Read more Articles on
Share this article
click me!

Latest Videos

‘প্রণামের সংস্কৃতি ভুলে যাচ্ছে বাঙালি’ বিস্ফোরক মন্তব্য Dilip Ghosh-এর, দেখুন কী বলছেন | Dilip Ghosh
পুলিশের তৎপরতায় বানচাল ডাকাতির প্ল্যান! গ্রেফতার ২ অপরাধী, চাঞ্চল্য Birbhum-এ
'কুমিল্লা ছেড়ে চলে যা' কুমিল্লায় বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতোর মালা! | Bangladesh News |
'যেসব মুসলমানরা হিন্দুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তাঁদেরই পূর্বপুরুষেরা হিন্দু ছিল' বিস্ফোরক অর্জুন
চমকে উঠবেন! কৃষ্ণনগর পক্সো আদালতের বড় সাজা ঘোষণা | Nadia Latest News