গোটা দেশজুড়ে এই মুহূর্তে চাকরির বাজারের ঠিক কীরকম অবস্থা? বিশেষ করে নতুন যারা বিভিন্ন কলেজ এবং ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করে বেরোচ্ছেন, তারা ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন, সেই বিষয়ে অনেকেই সন্দিহান।
গোটা দেশজুড়ে এই মুহূর্তে চাকরির বাজারের ঠিক কীরকম অবস্থা? বিশেষ করে নতুন যারা বিভিন্ন কলেজ এবং ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করে বেরোচ্ছেন, তারা ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন, সেই বিষয়ে অনেকেই সন্দিহান।
প্রসঙ্গত, চার বছর আগে করোনার সময় দেশের একাধিক ইন্ডাস্ট্রি ধুঁকতে শুরু করেছিল। শুধু তাই নয়, একের পর এক ছাঁটাই, প্রোজেক্ট না থাকলে বেতন বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং বেঞ্চ করে দেওয়ারও একাধিক উদাহরণ সামনে উঠে এসেছিল। আইটি এবং আইটি এনেবেলড সার্ভিস অর্থাৎ আইটিইএস সেক্টরেও চাকরির আকাল নজরে এসেছে বেশ কয়েকবছর ধরেই।
তার একটি কারণ অবশ্যই একাধিক সাপোর্ট প্রোজেক্ট বন্ধ হয়ে যাওয়া। অন্যদিকে, এ রাজ্যের বুকে কিছু কোম্পানি ঝাঁপ খুললেও ইনটেক ভীষণই কম। আইটি জোয়ার বলা যাবে না। ভালোমতো প্রভাব পড়েছে কনসাল্টিং কিংবা ফিন্যান্সিয়াল কোম্পানিগুলির ক্ষেত্রেও। বাদ যায়নি অন্যান্য বিভিন্ন সেক্টরের সংস্থাও।
তবে দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে আইটি বা তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে। শেষ লোকসভা নির্বাচনে জিতে নরেন্দ্র মোদী সরকার তৃতীয় ইনিংস শুরু করার পরেও, পরিস্থিতির খুব একটা বদল হয়নি। অন্তত ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড সার্ভিস কোম্পানি বা ন্যাসকমের রিপোর্ট সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
তাদের একটি রিপোর্ট বলছে, গত অর্থবর্ষের তুলনায় এই বছর রীতিমতো ধস নামতে চলেছে আইটি সেক্টরে। অনেকক্ষেত্রে তো জয়েনিং দিতেই দেরি হচ্ছে বহু কোম্পানির। গত ২০২৩-২৪ আর্থিক বর্ষে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে প্রায় ২ লক্ষ ৭০ হাজার চাকরি হয়েছিল।
সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে পরিসংখ্যান বলছে, চলতি অর্থবর্ষে সেই সংখ্যা নেমে আসতে পারে মাত্র ৬০ হাজারে। অর্থাৎ, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের নিরিখে ন্যাসকমের রিপোর্ট একেবারেই উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। বরং, অঙ্কটা সত্যিই উদ্বেগজনক। মানে প্রায় পাঁচ ভাগ চাকরি কমে যাওয়া। আবারও তাই একবার দেশের বেকারত্ব সঙ্কট পূর্ণমাত্রায় প্রতিফলিত হচ্ছে। অন্যদিকে, দেশের একাধিক রাজ্যে স্টার্ট আপ বিজনেস বেড়েছে। তবে সব জায়গাতেই নিয়োগের হার সমান নয়।
ডেলয়েট সংস্থার একটি সমীক্ষা বলছে, চলতি ২০২৪ সালে ভারতে এমবিএ ছাত্রছাত্রীদের কর্মসংস্থান হবে ঠিকই, কিন্তু বেতন অনেকটাই কমে যাবে। প্রায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। অনেকক্ষেত্রে তো ফ্রেশার্সদেরও নিতে চাইছে না একাধিক কোম্পানি। আর নিলেও চাকরির শুরুতে যে প্যাকেজ অফার করা হচ্ছে, তা অনেকটাই কম।
আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এন্ট্রি লেভেলে চাকরির সুযোগ এবং গ্রহণযোগ্য বেতন যেমন কমছে, তেমনই সর্বোচ্চ পর্যায়ের চাকরিগুলির ক্ষেত্রেও ভ্যাকেন্সি কমছে। সঙ্গে চলছে কর্মী সংকোচন। অপরিদকে অনেক ক্ষেত্রেই হায়ার অ্যান্ড ফায়ার পলিসিও উঠে আসছে কর্মীদের কথায়। সবমিলিয়ে, দেশের যুব সমাজের সামনে রীতিমতো এক কঠিন সময় দাঁড়িয়ে রয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।