মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বার্তা অনুযায়ী চলতি বছর ডাক্তারি ও মেডিক্য়াল পরীক্ষায় যোগ্যশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে পড়ুয়া বিশেষে সুবিধে পেয়েছেন।
যোগ্যশ্রী প্রকল্প নিয়ে এবার বড় ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা প্রশিক্ষণের জন্যই এটি চালু করা হয়েছিল। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য রাজ্যের তরুণ তরুণীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য তৈরি করা। এবার যোগ্যশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে এতদিন রাজ্য সরকার সংখ্যালঘু, ওবিসি ছাত্রছাত্রীদের ইঞ্জিয়ারিং ও মেডিক্যাল কোর্সে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এবার সংখ্যালঘু আর ওবিসির সঙ্গে জেনারেল ক্যাটাগরির পড়ুয়াদেরও যুক্ত করা হল। মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় এইকথা জানিয়েছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, 'জানাতে গর্ব হচ্ছে যে, আমাদের "যোগ্যশ্রী" স্কিম যাতে আমরা রাজ্যের SC/ST ছাত্র-ছাত্রীদের ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেডিকেল কোর্সে ভর্তির জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি, তা আমাদের SC/ST ছেলে-মেয়েদের জীবনে প্রতিষ্ঠিত হবার পথে খুবই কাজে লাগছে। এই স্কিমে আমরা এবার সংখ্যালঘু, ওবিসি এবং জেনারেল ক্যাটেগরি ছাত্রছাত্রীকেও যুক্ত করব।
এই ২০২৪ সালের পরীক্ষাতেই আমাদের "যোগ্যশ্রী" ছেলেমেয়েরা JEE (অ্যাডভান্সড) পরীক্ষায় ২৩টি র্যাঙ্ক (১৩টি IIT রব়্যাঙ্ক সহ), JEE (মেইন) এ ৭৫টি র্যাঙ্ক, WBJEE-এ ৪৩২টি র্যাঙ্ক এবং NEET-এ ১১০টি র্যাঙ্ক পেয়েছে। এইসব কঠিন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এই ফলাফল আগের বছরের ফলাফলের চেয়েও অনেক ভালো।
"যোগ্যশ্রী" র এই বিপুল সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে এটাকে আমরা আরো বড় আকারে করছি। রাজ্যজুড়ে মোট ৫০টি সেন্টার খোলা হয়েছে যেখানে আমার দুহাজার SC/ST ছেলেমেয়ে ট্রেনিং পাবে। এখন ক্লাস ১১ থেকেই প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হবে। এতে ছেলেমেয়েরা আরো ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারবে।
আমাদের পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর ছেলে-মেয়েরা আরও অনেক বেশি সংখ্যায় ইঞ্জিনিয়ার-ডাক্তার হবে - এটাই আমি চাই। এবার যুক্ত হবে সংখ্যালঘু, ওবিসি এবং জেনারেল ক্যাটেগরির ছেলেমেয়েরাও। সবার জন্য রইল আমার অভিনন্দন।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বার্তা অনুযায়ী চলতি বছর ডাক্তারি ও মেডিক্য়াল পরীক্ষায় যোগ্যশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে পড়ুয়া বিশেষে সুবিধে পেয়েছেন। এতদিন পর্যন্ত সংখ্যালঘু ও পিছিয়ে পড়ারা এই সুধিবে পেয়ে থাকলেও এবার থেকে রাজ্যের সাধারণ পড়ুয়ারাও এই সুবেধি পাবেন। মমতা জানিয়েছেন, রাজ্যে মোট ৫০টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে সেখানে দুই হাজার এসটি ও এসটি পড়ুয়াকে ট্রেনিং দেওয়া হবে। একাদশ শ্রেণী ছেকেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সাফল্যের কথা মাথায় রেখেই এই প্রকল্প দ্রুত কার্যকর করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, পিছিয়ে পড়াদের পাশাপাশি সাধারণ পড়ুয়ারাও যাতে এগিয়ে যেতে পারে তার জন্যই এই চেষ্টা করা হয়েছে।