অবশেষে আপার প্রাইমারি জট খুলল! লক্ষ লক্ষ টাকা লোকাসান দিয়ে ৭ বছর পরে চাকরি পেতে চলেছেন প্রার্থীরা
সাত বছরের লড়াইয়ের পরে অবশেষে জয়। হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি পেতে চলেছেন প্রায় ১৪ হাজার আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী।
কিন্তু আদালতে ঘুরতে ঘুরতে প্রায় সাত সাতটা বছর কাটিয়ে ফেলছেন প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা। শুধু বছরই না প্রায় ৩৭ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বেতনও হারিয়েছেন এই যোগ্য প্রার্থীরা।
অর্থাৎ সরকারের প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি বেতন বাঁচল। যোগ্য সকলেই কিন্তু স্কুলে ক্লাস নেওয়ার বদলে আদালতে চক্কর কাটতে হয়েছে তাঁদের।
২০১৫ সালে পরীক্ষা হয় আপার প্রাইমারির। পরীক্ষা দিয়েছিলেন প্রায় ৫ লক্ষ পরীক্ষার্থী। পাশ করেছেন ২ লক্ষ ২৮ হাজার ৬৬০ জন। কিন্তু ২০২০ সালে ১১ ডিসেম্বর সেই তালিকা বাতিল হয়ে যায়। এরপর মামলা দায়ের করা হয় হাই কোর্টে।
এরপর ২০২১ এর জুলাই মাসের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে বলে জানায় হাইকোর্ট। ভেরিফিকেশনের পরে তাতে ১৪ হাজার ৫২ জনের নাম ছিল। কিন্তু তাতেও পরীক্ষার্থী তাঁদের তালিকায় নাম নেই বলে অভিযোগ করেন। তাঁরা ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
এরপর ২০২৩ এর ১৬ অগস্ট পুনরায় আরও একটি মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয় স্কুল যাতে ১৩ হাজার ৩৩৩ জনের নাম থাকে। কাউন্সিলিং হয় ১৭ সেপ্টেম্বর। এতেও ৮ হাজার ৯৪৫ জন ডাক পান। এরপর বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশে ২১ সালে ২১ জুন যে ১৪ হাজার ৫২ জনের ইন্টারভিউ হয়েছিল তাঁদের চাকরি দিতে বলা হয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।