তাপস দাসঃ জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিধানসভা কুলতলি। কুলতলি স্বাধীনতার পর থেকে এসইউসিআই-র দুর্গ বললেও কম বলা হয়। রাজ্যের অন্যত্র এসইউসিআইয়ের তেমন শক্তি না থাকলেও, জয়নগর, কুলতুলি অর্থাৎ দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই অংশটুকু জুড়ে একসময় এসইউসিআইয়ের একাধিপত্ব ছিল। ১৯৬৭ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এখানকার ভোটে ছিল এসইউ সিআইয়ের একচ্ছত্র আধিপত্য, ব্যতিক্রম ১৯৭২ সালের ভোট।
২০১১ সালে, বাম গণেশ ওল্টাবার বছরে এখানে জিতে যান সিপিএম প্রার্থী। ২০১৬ সালেও সিপিএমই জেতে এখানে। ২০১১ সালে সিপিএমের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল এসইউসিআই। ২০১৬ সালে এসইউসিআই তিন নম্বরে নেমে যায়, দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১১ সালে সিপিএমের সঙ্গে এসইউসিআইয়ের ভোটের ব্যবধান ছিল ৫ হাজারের কিছু বেশি, ২০১৬ সালে তৃণমূলের সঙ্গে সিপিএমের ভোটের ব্যবধান ছিল ১১ হাজারের বেশি।
২০১৯ সালের লোকসভার নিরিখ যদি বিশ্লেষণ করা হয়, তাহলে দেখা যাচ্ছে, এই বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল প্রার্থীর চেয়ে হাজার দশেক ভোটে পিছিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী। কুলতলি কেন্দ্রে এবার সিপিএমের প্রার্থী রামশংকর হালদার, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী গণেশচন্দ্র মণ্ডল। বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েছেন মিন্টু হালদার। এসইউসিআইয়ের প্রার্থী হয়েছেন জয়কৃষ্ণ হালদার। এই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ তৃতীয় দফায়. অর্থাৎ আগামী ৬ এপ্রিল, মঙ্গলবার। এবার দেখার বিষয় কোন দিকে বাঁক নেয় কুলতলির রাজনীতি।