হিসাব উল্টে-পাল্টে দিচ্ছে করোনা, মোদীভক্ত হয়ে উঠলেন রাহুল গান্ধী

করোনাভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্ক উল্টে পাল্টে দিচ্ছে হিসাব

নরেন্দ্র মোদী ও রাহুল গান্ধী এমনিতে রাজনীতির দুই মেরুতে

কিন্তু, বৃহস্পতিবার সেই হিসাবও বদলে গেল

বিপর্যয়ের মুখে মোদীভক্ত হয়ে উঠলেন রাহুল গান্ধী

amartya lahiri | Published : Mar 26, 2020 12:56 PM IST / Updated: Mar 26 2020, 07:05 PM IST

করোনাভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্ক অনেক হিসেবই উল্টে পাল্টে দিচ্ছে। অনেকের নির্ধারিত বিয়ে বাতিল করতে হয়েছে। অনেকে অপারেশনের তারিখ নিয়েও ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। এমন অনেককিছুর মতো অদল বদল ঘটছে রাজনৈতিক মহলেও। কয়েকদিন আগেও যদি কেউ বলতেন নরেন্দ্র মোদী সরকারের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করছেন রাহুল গান্ধী, কেউ হয়তো বিশ্বাসই করতেন না। অথচ, বৃহস্পতিবার তেমনটাই ঘটল।

বৃহস্পতিবার দুপুরেই দরিদ্র, বৃদ্ধ, স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং স্বল্প আয়ের গোষ্ঠীগুলিকে দেশ জুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে জারি ২১ দিনের লকডাউনের সময় ১.৭০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। এরপরই কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম, এবং প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন সরকারের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন। প্যাকেজ ঘোষণার অল্প সময়ের মধ্যেই, রাহুল গান্ধী টুইট করে বলেন, এই আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণাই মোদী সরকারের পক্ষ থেকে প্রথম সঠিক পদক্ষেপ। এই লকডাউনের সময় সমস্যার মুখোমুখি হওয়া প্রতিটি কৃষক, দিনমজুর, শ্রমিক, মহিলা এবং প্রবীণদের কাছে ভারত ঋণী।

প্রসঙ্গত, রাহুল গান্ধী ইতিমধ্যেই তাঁর সংসদীয় এলাকা ওয়ানাড়-এ করোনারভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রয়াসে সামিল হয়েছেন। তাঁর সাংসদ তহবিলের টাকা থেকে ২.৬৬ কোটি টাকা জেলাশাসকের তহবিলে দিয়েছেন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার জন্য। কংগ্রেস নেতা জেলাশাসককে চিঠি লিখে ওই টাকা দিয়ে ভেন্টিলেটর, টেস্ট কিট, মুখোশ এবং অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার অনুরোধ করেছেন।

এদিন অবশ্য, এই আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার আগেই কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সনিয়া গান্ধীও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-কে চিঠি লিখে সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। সেই চিঠিতে তিনি, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে অসংগঠিত খাতের শ্রমিকদের জন্য আর্থিক প্যাকেজ দাবি করেছিলেন। দেশের বেশিরভাগ জেলা লকডাউনের আওতায়। তাই অর্থনৈতিক কার্যক্রম অনেকাংশেই বন্ধ। এই কারণে অসংগঠিত খাতের কর্মীরা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বলে দাবি করেছিলেন সনিয়া।

এর আগে বুধবার কংগ্রেসের বিসিষ্ট নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম-ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একুশ দিনের জন্য দেশে লকডাউন জারির ঘোষণাকে সমর্থন করেছিলেন। তাঁ মত ছিল, এটি করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত। এই যুদ্ধে নরেন্দ্র মোদী জেনারেল এবং জনতা তাঁর সৈন্য। তিনিও অবশ্য কৃষক, শ্রমিক ও দরিদ্রদের অ্যাকাউন্টে আর্থিক সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।

 

Share this article
click me!